লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধকে বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন ২২ বছর বয়সী তরুণী আইরিন আক্তার। বর শরিফুল ইসলাম প্রধান ও নববধূ আইরিনের বয়সের ব্যবধান ৪৪ বছর। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
গত ২২ মার্চ পারিবারিক সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শরিফুল ইসলামের বাড়ি পাটগ্রাম পৌরসভার দক্ষিণ কোর্টতলি রসুলগঞ্জ এলাকায় এবং আইরিনের বাড়ি একই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নে। মোহরানা ধরা হয় ১০ লাখ টাকা।
আইরিন রংপুরের একটি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। স্কুলজীবন থেকেই শরিফুল তাকে পড়াশোনায় সহায়তা করতেন। তিনি জানান, শরিফুল শুধু আর্থিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও সব সময় তার পাশে ছিলেন। তার পড়াশোনার জন্য শরিফুল ব্যাংকে ছয় লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিলেন, যা দিয়ে তার শিক্ষা চলছিল।
আইরিন বলেন, “পরিবার যখন বিয়ের চিন্তা শুরু করে, তখন ভয় ছিল পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু শরিফুলের মতো কেউ আমার পাশে থাকবেন না। তখনই মনে হলো, যার সঙ্গে আমি সব সময় নির্ভার থাকতে পেরেছি, তিনি-ই যদি জীবনসঙ্গী হন, তাহলে আমার স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকবে।”
প্রথমে শরিফুল এই বিয়েতে সম্মত ছিলেন না, তবে আইরিনের অনুরোধ ও আন্তরিকতা তাকে বিয়েতে রাজি করায়।
তাদের বিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ একে আবেগ বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন ভালোবাসা ও নির্ভরতার জয় হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, “আইরিন আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছে, আমি শুধু তাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। অন্য কেউ বুঝুক বা না বুঝুক, আমরা জানি আমরা কাকে বেছে নিয়েছি।”
আইরিনের পরিবারও মেয়ের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। তার ফুফা সাফিউল ইসলাম বলেন, “মেয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই বিয়ে হয়েছে। মেয়ের সুখই আমাদের সবার সুখ।”
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুন হোসেন সরকার বলেন, “বিয়ে-শাদির ক্ষেত্রে বয়স কোনো বড় বিষয় নয়, মনটাই আসল। শরিফুলের প্রতি আইরিনের শ্রদ্ধা সব সমালোচনাকে হার মানিয়েছে।”
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ৬৬ বছরের এক বৃদ্ধকে বিয়ে করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন ২২ বছর বয়সী তরুণী আইরিন আক্তার। বর শরিফুল ইসলাম প্রধান ও নববধূ আইরিনের বয়সের ব্যবধান ৪৪ বছর। তাদের বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।
গত ২২ মার্চ পারিবারিক সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। শরিফুল ইসলামের বাড়ি পাটগ্রাম পৌরসভার দক্ষিণ কোর্টতলি রসুলগঞ্জ এলাকায় এবং আইরিনের বাড়ি একই উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নে। মোহরানা ধরা হয় ১০ লাখ টাকা।
আইরিন রংপুরের একটি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী। স্কুলজীবন থেকেই শরিফুল তাকে পড়াশোনায় সহায়তা করতেন। তিনি জানান, শরিফুল শুধু আর্থিকভাবেই নয়, মানসিকভাবেও সব সময় তার পাশে ছিলেন। তার পড়াশোনার জন্য শরিফুল ব্যাংকে ছয় লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিলেন, যা দিয়ে তার শিক্ষা চলছিল।
আইরিন বলেন, “পরিবার যখন বিয়ের চিন্তা শুরু করে, তখন ভয় ছিল পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু শরিফুলের মতো কেউ আমার পাশে থাকবেন না। তখনই মনে হলো, যার সঙ্গে আমি সব সময় নির্ভার থাকতে পেরেছি, তিনি-ই যদি জীবনসঙ্গী হন, তাহলে আমার স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকবে।”
প্রথমে শরিফুল এই বিয়েতে সম্মত ছিলেন না, তবে আইরিনের অনুরোধ ও আন্তরিকতা তাকে বিয়েতে রাজি করায়।
তাদের বিয়ে নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ একে আবেগ বলছেন, আবার কেউ মনে করছেন ভালোবাসা ও নির্ভরতার জয় হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে শরিফুল ইসলাম বলেন, “আইরিন আমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে চেয়েছে, আমি শুধু তাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। অন্য কেউ বুঝুক বা না বুঝুক, আমরা জানি আমরা কাকে বেছে নিয়েছি।”
আইরিনের পরিবারও মেয়ের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছে। তার ফুফা সাফিউল ইসলাম বলেন, “মেয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই বিয়ে হয়েছে। মেয়ের সুখই আমাদের সবার সুখ।”
এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুন হোসেন সরকার বলেন, “বিয়ে-শাদির ক্ষেত্রে বয়স কোনো বড় বিষয় নয়, মনটাই আসল। শরিফুলের প্রতি আইরিনের শ্রদ্ধা সব সমালোচনাকে হার মানিয়েছে।”