গোবিন্দগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে অবৈধভাবে মাটিসহ আটককৃত ২টি ড্রামট্রাক নিয়ে ফেরার পথে ম্যাজিস্ট্রেটের চালকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের গাড়ির চালক আব্দুস সবুর মিয়া (৩১) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে আব্দুস সবুর মিয়া বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া (শিববাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা বাবলু চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ছেলে বাধন বিশ্বাস (২৮) ও ছোট ছেলে দেব কুমার বিশ্বাসসহ (২৪) অজ্ঞাত ১০-১২ জন ব্যক্তি। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা তালুককানুপুর ইউনিয়নের নারিচাগাড়ি গ্রামে অবস্থিত এম.এল.বি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে মাটিসহ ২টি ড্রামট্রাক আটক করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামানের গাড়ির চালক সবুর মিয়াকে আটককৃত ড্রামট্রাক ২টি তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে বলে ফিরে যান। রাত ২টার দিকে সবুর মিয়া ড্রামট্রাক ২টি নিয়ে কাটাখালী সেতু পার হয়ে যানজটের কবলে পড়েন। বাধ্য হয়ে গোবিন্দগঞ্জ পেকস চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় জঙ্গলমারা সড়কসংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এসে তালুককানুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ফরহাদ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক রিভেলীকে সঙ্গে নিয়ে সবুর মিয়া ড্রামট্রাক হতে মহাসড়কে নেমে যানজট নিরসনের চেষ্টা করলে দেব বিশ্বাস একটি ফাঁকা ড্রামট্রাক নিয়ে এসে পুনরায় যানজট সৃষ্টি করে। তখন তাকে যানজট সৃষ্টি করতে নিষেধ করলে সে উক্ত ড্রাম ট্রাকের ভিতর থেকে ধারালো দা হাতে নেমে সবুর মিয়ার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফরহাদ হোসেন ও রিভেলী মিলে দেব বিশ্বাসের কাছে থাকা দা কেড়ে নিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অজ্ঞাত কোন ব্যক্তিকে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে ৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে লাঠিসোটা, রড, ধারালো ছোরা, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিতভাবে চালক সবুর মিয়ার উপর হামলা করে। তখন দেব বিশ্বাস লাঠি নিয়ে তার মাথায় স্বজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পকেটে থাকা একটি নোকিয়া স্মার্ট ফোন ও ১৫০০০ টাকা বের করে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
গোবিন্দগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শেষে অবৈধভাবে মাটিসহ আটককৃত ২টি ড্রামট্রাক নিয়ে ফেরার পথে ম্যাজিস্ট্রেটের চালকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামানের গাড়ির চালক আব্দুস সবুর মিয়া (৩১) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে আব্দুস সবুর মিয়া বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া (শিববাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা বাবলু চন্দ্র বিশ্বাসের বড় ছেলে বাধন বিশ্বাস (২৮) ও ছোট ছেলে দেব কুমার বিশ্বাসসহ (২৪) অজ্ঞাত ১০-১২ জন ব্যক্তি। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা তালুককানুপুর ইউনিয়নের নারিচাগাড়ি গ্রামে অবস্থিত এম.এল.বি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে মাটিসহ ২টি ড্রামট্রাক আটক করে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামানের গাড়ির চালক সবুর মিয়াকে আটককৃত ড্রামট্রাক ২টি তার কার্যালয়ে নিয়ে যেতে বলে ফিরে যান। রাত ২টার দিকে সবুর মিয়া ড্রামট্রাক ২টি নিয়ে কাটাখালী সেতু পার হয়ে যানজটের কবলে পড়েন। বাধ্য হয়ে গোবিন্দগঞ্জ পেকস চক্ষু হাসপাতাল এলাকায় জঙ্গলমারা সড়কসংলগ্ন ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এসে তালুককানুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে কর্মরত ফরহাদ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক রিভেলীকে সঙ্গে নিয়ে সবুর মিয়া ড্রামট্রাক হতে মহাসড়কে নেমে যানজট নিরসনের চেষ্টা করলে দেব বিশ্বাস একটি ফাঁকা ড্রামট্রাক নিয়ে এসে পুনরায় যানজট সৃষ্টি করে। তখন তাকে যানজট সৃষ্টি করতে নিষেধ করলে সে উক্ত ড্রাম ট্রাকের ভিতর থেকে ধারালো দা হাতে নেমে সবুর মিয়ার ওপর আক্রমণ করে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা ফরহাদ হোসেন ও রিভেলী মিলে দেব বিশ্বাসের কাছে থাকা দা কেড়ে নিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অজ্ঞাত কোন ব্যক্তিকে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ১০ থেকে ১২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মিলে ৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে লাঠিসোটা, রড, ধারালো ছোরা, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র হাতে ঘটনাস্থলে এসে অতর্কিতভাবে চালক সবুর মিয়ার উপর হামলা করে। তখন দেব বিশ্বাস লাঠি নিয়ে তার মাথায় স্বজোরে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে পকেটে থাকা একটি নোকিয়া স্মার্ট ফোন ও ১৫০০০ টাকা বের করে নেয়। এ সময় তাদের চিৎকারে আশেপাশে থাকা লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, উক্ত ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।