alt

সালিশে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তালাক, ভুক্তভোগী পেলেন মাত্র ৮০ হাজার

প্রতিনিধি, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ঘটে গেল এক বেদনাদায়ক ও প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনা। ভালোবাসা, বিবাহ, তারপর তালাক সবই যেন এক চুক্তিপত্রে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল টাকার লেনদেনের খেলায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও গ্রামে, যেখানে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে বসে মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক তরুণীকে তালাক নিতে বাধ্য করা হয়, যদিও শুরুতে চুক্তি ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার।

এ সময় ভুক্তভোগীসহ তার দাদা ও দাদী,স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকশেদা ও হালিমা আক্তার, ইউপি সদস্য মো. আব্দুল করিম, আব্দুল আজিজ, আজিজ মেকার, আলম মিয়া, মো. রমজান আলী ও কাজী বারীসহ অন্যান্য লোকজন।

ভুক্তভোগী সেতু আক্তার, প্রেম করে বিবাহ করেছিলেন মো. সুমন মিয়াকে। ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর সামাজিকভাবে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ১ জুলাই, সুমন মিয়া নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এক তরফাভাবে তালাকের ঘোষণা দেন, যা ইসলামী আইন ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে তা অকার্যকর।

এরপর ১২ এপ্রিল রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল করিমের বাড়িতে বসে ‘সামাজিক সমঝোতা’র নামে এক প্রহসন চলে। সেখানে সেতু আক্তারকে ৮০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে তালাক নিতে বাধ্য করা হয়। অথচ চুক্তি ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার! ভুক্তভোগী স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমি তালাক চাইনি। আমার কাবিনে ছিল ৪ লাখ টাকা। অথচ আমাকে জোর করে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। সুমনের বাবা রমজান আলী দাবি করেছেন, তিনি ইউপি সদস্যদের হাতে পূর্ণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকশেদা ও সদস্য মো. আব্দুল করিমের নিকট জানতে চাইলে তারা মো. রমজানের কাছ থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী সেতুকে নগদ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪০ হাজার টাকা গেল কোথায়? এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই।

কলমাকান্দা ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি দায়িত্বে থাকা চামেলি খাতুন মতে, শুধু নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তালাক ঘোষণা আইনত অবৈধ ও অকার্যকর। তালাকের ক্ষেত্রে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অনুযায়ী স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে তালাক নোটিশ প্রদান, ৯০ দিন ইদ্দতকাল এবং পুনর্মিলনের সুযোগ দেওয়া আবশ্যক। এসব কিছুই এখানে মানা হয়নি।

ছবি

পলিশেড হাউজে চারা উৎপাদন আধুনিক কৃষি উদ্যোক্তা বিকাশ চন্দ্র

ছবি

রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ

ছবি

চকরিয়ায় বেপরোয়া গতির যাত্রীবাহী মারছা বাস কেড়ে নিয়েছে একই পরিবারের পাঁচ নারী পর্যটকের প্রাণ

ছবি

১৩৪২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৫ লাখ গোলাবারুদের হদিস নেই

ছবি

চট্টগ্রাম-৮ এ বিএনপি প্রার্থীর জনসংযোগে গুলিতে নিহত ১, এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ

ছবি

বেতাগী পৌর শহরের অটোরিকশার যানজটে দুর্ভোগে পথচারী

ছবি

করিমগঞ্জে সার সংকট দিশেহারা কৃষক

ছবি

লালপুরে মাল্টা চাষ করে স্বাবলম্বী আশরাফ

ছবি

সৈয়দপুরে রং মিশিয়ে মুগ ডাল বিক্রি, ব্যবসায়ীর জরিমানা

ছবি

মুন্সীগঞ্জে মজিবল হত্যা গ্রেপ্তার ১

ছবি

শিবপুরে কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

চুনারুঘাটে প্রতিপক্ষের হামলায় পোলট্রি ফার্মে লুটপাট-ভাঙচুর

ছবি

চান্দিনা-বাগুর বাস স্ট্যান্ডে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সওজের অভিযান

ছবি

বোয়ালখালীতে জালে আটকা পড়া অজগর

ছবি

শিক্ষকদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও চাঁদাবাজির বিচার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

সার সংকটে ভাঙ্গুড়ায় কৃষকের বিক্ষোভ

ছবি

চট্টগ্রামে যুবশক্তি নেতাদের ওপর হামলা, আহত ৩

ছবি

ড. মঈন খান মনোনয়ন পাওয়ায় পলাশে আনন্দ মিছিল

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে গ্রামীণ সড়কের অগ্রাধিকার নির্ধারণে কর্মশালা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির বাশারীতে অগ্নিকা-, ৮ দোকান পুড়ে ছাই

ছবি

সিরাজদিখানে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সিরাজগঞ্জে হেরোইনসহ নারী মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ছবি

মধুপুরের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন 

ছবি

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে প্রেমিককে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার

ছবি

গোদাগাড়ীতে আদিবাসী পরিবারের উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

দৌলতপুর কলিয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনে পাঠদান

ছবি

চলনবিলের অবৈধ সোঁতিজাল দিয়ে মাছ ধরায় পানি নিষ্কাশনে ধীর গতি

ছবি

৪ বছরের আফরোজা বাঁচতে চায়

ছবি

এই মনোনয়ন শুধু আমার নয়, গোয়ালন্দের প্রতিটি নেতাকর্মীর : খৈয়ম

ছবি

বৃষ্টি ও বাতাসে সুন্দরগঞ্জে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ছবি

পঞ্চগড়ের উত্তরের আকাশে উঁকি দিচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা

ছবি

চট্টগ্রামে ডাকাতের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ, বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

ছবি

মেঘনায় যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ১ হাজার কেজি জাটকা জব্দ

ছবি

শরণখোলায় জলাতঙ্কে আক্রান্ত গরু জবাই করে বিক্রির অভিযোগ

ছবি

ঝিনাইগাতীতে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

tab

সালিশে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে তালাক, ভুক্তভোগী পেলেন মাত্র ৮০ হাজার

প্রতিনিধি, কলমাকান্দা (নেত্রকোনা)

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ঘটে গেল এক বেদনাদায়ক ও প্রশ্নবিদ্ধ ঘটনা। ভালোবাসা, বিবাহ, তারপর তালাক সবই যেন এক চুক্তিপত্রে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ল টাকার লেনদেনের খেলায়। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ওমরগাঁও গ্রামে, যেখানে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে বসে মাত্র ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক তরুণীকে তালাক নিতে বাধ্য করা হয়, যদিও শুরুতে চুক্তি ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার।

এ সময় ভুক্তভোগীসহ তার দাদা ও দাদী,স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকশেদা ও হালিমা আক্তার, ইউপি সদস্য মো. আব্দুল করিম, আব্দুল আজিজ, আজিজ মেকার, আলম মিয়া, মো. রমজান আলী ও কাজী বারীসহ অন্যান্য লোকজন।

ভুক্তভোগী সেতু আক্তার, প্রেম করে বিবাহ করেছিলেন মো. সুমন মিয়াকে। ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর সামাজিকভাবে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ১ জুলাই, সুমন মিয়া নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এক তরফাভাবে তালাকের ঘোষণা দেন, যা ইসলামী আইন ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে তা অকার্যকর।

এরপর ১২ এপ্রিল রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আব্দুল করিমের বাড়িতে বসে ‘সামাজিক সমঝোতা’র নামে এক প্রহসন চলে। সেখানে সেতু আক্তারকে ৮০ হাজার টাকা ধরিয়ে দিয়ে তালাক নিতে বাধ্য করা হয়। অথচ চুক্তি ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার! ভুক্তভোগী স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমি তালাক চাইনি। আমার কাবিনে ছিল ৪ লাখ টাকা। অথচ আমাকে জোর করে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হলো। সুমনের বাবা রমজান আলী দাবি করেছেন, তিনি ইউপি সদস্যদের হাতে পূর্ণ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা বুঝিয়ে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোকশেদা ও সদস্য মো. আব্দুল করিমের নিকট জানতে চাইলে তারা মো. রমজানের কাছ থেকে এক লাখ বিশ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ভুক্তভোগী সেতুকে নগদ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ৪০ হাজার টাকা গেল কোথায়? এই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর নেই।

কলমাকান্দা ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি দায়িত্বে থাকা চামেলি খাতুন মতে, শুধু নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তালাক ঘোষণা আইনত অবৈধ ও অকার্যকর। তালাকের ক্ষেত্রে মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অনুযায়ী স্থানীয় চেয়ারম্যান মাধ্যমে তালাক নোটিশ প্রদান, ৯০ দিন ইদ্দতকাল এবং পুনর্মিলনের সুযোগ দেওয়া আবশ্যক। এসব কিছুই এখানে মানা হয়নি।

back to top