alt

মধুপুরে জৌলুস হারাচ্ছে মৃৎশিল্প

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল) : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

মধুপুর (টাঙ্গাইল) : পাল পাড়ার কুমাররা তাদের বংশপরম্পরার পেশাকে টিকিয়ে রেখে মাটির তৈরি জিনিস পত্র তৈরি করছে। ছবিটি মধুপুরের জলছত্র থেকে তোলা হয়েছে -সংবাদ

গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও বাঙালির সংস্কৃতির সাথে নানা পেশা ধর্ম বর্ণ জাতিগোষ্ঠীর মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক পার্বন ও পর্বে। আদি বিভিন্ন পেশার মানুষদের নানা আচার অনুষ্ঠান ও তাদের তৈরিকৃত তৈজসপত্র বাঙালির ঐতিহ্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি তাদের পেশাও সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে আধুনিকতার কারণে অনেক লোকেরা তাদের বংশপরম্পরায় লালিত তাদের পেশার টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। পাল পাড়ায় গেল পহেলা বৈশাখে কোন হৈচৈ পড়েনি। নেই তাদের আগ্রহ। কারিগর শ্রমিক আর নিজেদের মজুরি তোলাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে বৈশাখের সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করা হয়ে উঠেনি। শুধু এ বছরই নয়, কয়েক বছর যাবত চলছে তাদের এমন অবস্থা। এসব কারণে জৌলুস হারাচ্ছে তাদের বংশপরম্পরায় পাওয়া এ পেশা। টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র পালপাড়ায় গিয়ে কুমারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

মধুপুর শহর থেকে ৫- ৬ কিলোমিটার দূরে বেরিবাইদ ও অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র গ্রামে পালদের ২৪-২৫ পরিবার কুমারদের বসবাস। টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই আনারস বাজারের দুপাশে ৩০-৩৫ বছর যাবত বাস করছে। পাল পাড়ায় গিয়ে নারী পুরুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের বাপদাদার পেশার নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।

এরা কেউ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়। তাদের পূর্ব পুরুষেরা দুই তিন যুগ আগে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গা থেকে বসতি গড়ে মাটির বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। এভাবে জলছত্র গ্রামে তাদের বসতি। স্থানীয় চাড়ালজানি হাওদাবিলসহ বিভিন্ন বিলের মাটি এনে তারা হাড়ি পাতিলসহ নানা মাটির জিনিসপত্র বানাতো। এক সময় মাটি কিনতে না হলেও এখন কিনে আনতে হয়। শ্রমের মজুরি বেড়েছে।আনুপাতিক হারে বাড়েনি তাদের মাটির জিনিসের দাম। গ্রামে এক সময় তাদের তৈরি মাটির জিনিসপত্রের কদর ও চাহিদা থাকলেও পাস্টিকের কারণে চাহিদা কমে গেছে। এখন শুধুই জীবিকা আর বাপদাদার পেশাকে টিকিয়ে রাখতেই এ মাটির করছে এমনটাই জানালেন তারা। তবে তাদের ছেলে মেয়েরা এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ মিষ্টির দোকানে, কেউ বিপনি কেন্দ্রে। কেউবা আবার দিন মজুরির কাজে। তাদের মতে,বংশপরম্পরার এ পেশাকে টিকিয়ে রাখা এখন তাদের কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আধুনিক মানের মাটির জিনিসপত্র তৈরির প্রশিক্ষণসহ বাজার ব্যবস্থা করতে পারলে বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে পারবে বলেও মনে করছে তারা। এ গ্রামের সুদেব পাল (৩৫) জানালেন, মাটি কিনে ভ্যান ভাড়া দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতে আগের চেয়ে খরচ অনেক বেশি। গ্রামে গ্রামে বিক্রি করাও কমে গেছে। চাহিদাও কম। সারা দিন ঘুরে ঘুরে বিক্রিত টাকায় পোষানো কঠিন।

পারুল রানী পাল (৩৫) জানালেন, তাদের দুটি এনজিও-র সপ্তাহে কিস্তি।তাই এখন হাড়ি পাতিল পুতুল খেলনা তৈরি না করে শুধু দইয়ের পাতিল তৈরি করে। অর্ডার নিয়ে তৈরি করে। শুধু তিনিই নয় তাদের পাড়ায় সবাই এই একই ধরনের কাজ করে। গেল বৈশাখের জন্য তারা কোন শৌখিন জিনিস পত্র তৈরি করেনি। সুমতি রানী পাল (৬০) জানালেন, নতুন করে কেউ এ কাজ করতে চায় না। যারা পুরানো তারাই এ কাজ করছে।তারমতে, সব পেশার মানুষরা আয় উন্নতি করতে পারলেও তারা পারছে না। হাট বাজারে এ সময় মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা থাকলেও সেখানে এখন প্লাস্টিকের চাহিদা বাড়ছে।

আরতি রানী পাল (৫৯) জানালেন, তারা বংশপরম্পরায় এ কাজ করে ভাসছে। এ সময় তাদের এ গ্রামেও চাক ঘুরিয়ে হাড়ি পাতিল খেলনাসহ বাহারি জিনিসপত্র তৈরি হতো। এখন চাক ঘুরে না। পোষে না তাদের। তাদের মতে, প্রায় সবারই এনজিও-র লোন নিয়েছে,তাদের কারো দুইটা কারো একটা সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা গুণতে হয়। এভাবে কয়েক যুগেও তাদের পেশার কোন গুণগত পরিবর্তন ঘটেনি।

তুলসী রানী পাল জানালেন, এ গ্রামে ২৪-২৫ ঘর কুমারদের সবার অবস্থা এমনই। শিক্ষা দীক্ষায়ও তেমন এগিয়ে যেতে পারেনি।নারী পুরুষদের মধ্যে বয়স্করা এ কাজেই আছে তবে নতুন বিভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কুমারদের পেশাও টিকে থাকবে এগিয়ে যেতে পারবে তারা এমনটাই মনে করছে এখানকার কুমার পল্লীর মানুষেরা।

ছবি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

আনোয়ারায় আবারও ৩১ রোহিঙ্গা আটক

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত টেকনাফ

ছবি

তিতাসে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ, উৎসবের আমেজ নদী পাড়ে

ছবি

রাজধানীতে ৩ স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

ছবি

রংপুরে জুলাই যোদ্ধাদের নামে অটোরিকশার লাইসেন্স, ৫ কোটি টাকা বাণিজ্যের পাঁয়তারা!

ছবি

বাগেরহাটের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল, ফরিদপুরে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ছবি

সওজের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভবন

ছবি

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

ছবি

গৌরনদীতে ২০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ

ছবি

পীরগাছায় গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

ছবি

শিবালয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় ৫ বখাটে আটক

ছবি

মহেশপুরে বিষ পানে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবককের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৫ চিকিৎসকে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

ছবি

ভালুকায় শ্রমিক লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

কালীগঞ্জে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

হবিগঞ্জে সিএনজি-টমটম সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

বিস্ফোরণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

পাঁচবিবিতে ৭৫টি মণ্ডপে চলছে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি

ছবি

ডিমলায় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে নব্যতা হারাচ্ছে নদীগুলো

ছবি

কালুখালীর নূরনেছা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

৯৩ বছরে দেশের সমবায় সমিতির অনন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিনত

ছবি

রংপুরে ‘পদ্মরাগ কমিউটার’ ট্রেনের ছয় বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ছবি

ইমামকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

ডিমলায় অবৈধ পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা, বন্ধের নির্দেশ

ছবি

টাঙ্গাইলে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দেবীর মুর্তি

ছবি

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ইলিশের দামে সাধারণ ক্রেতা দিশেহারা

ছবি

সাপাহারে তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানার আমচাষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ

ছবি

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝি গ্রেপ্তার

ছবি

ফরিদগঞ্জে মাদকসেবী যুবদল নেতা দণ্ডিত

ইয়াবাসহ জামাই-শাশুড়ি আটক

ছবি

ডুমুরিয়ায় শামুক নিধন, হুমকিতে পরিবেশ

ছবি

আ’লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৩

tab

মধুপুরে জৌলুস হারাচ্ছে মৃৎশিল্প

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

মধুপুর (টাঙ্গাইল) : পাল পাড়ার কুমাররা তাদের বংশপরম্পরার পেশাকে টিকিয়ে রেখে মাটির তৈরি জিনিস পত্র তৈরি করছে। ছবিটি মধুপুরের জলছত্র থেকে তোলা হয়েছে -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও বাঙালির সংস্কৃতির সাথে নানা পেশা ধর্ম বর্ণ জাতিগোষ্ঠীর মানুষের এক নিবিড় সম্পর্ক। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক পার্বন ও পর্বে। আদি বিভিন্ন পেশার মানুষদের নানা আচার অনুষ্ঠান ও তাদের তৈরিকৃত তৈজসপত্র বাঙালির ঐতিহ্যকে যেমন সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি তাদের পেশাও সমৃদ্ধ হয়েছে। তবে আধুনিকতার কারণে অনেক লোকেরা তাদের বংশপরম্পরায় লালিত তাদের পেশার টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। পাল পাড়ায় গেল পহেলা বৈশাখে কোন হৈচৈ পড়েনি। নেই তাদের আগ্রহ। কারিগর শ্রমিক আর নিজেদের মজুরি তোলাই যেখানে কষ্টসাধ্য, সেখানে বৈশাখের সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করা হয়ে উঠেনি। শুধু এ বছরই নয়, কয়েক বছর যাবত চলছে তাদের এমন অবস্থা। এসব কারণে জৌলুস হারাচ্ছে তাদের বংশপরম্পরায় পাওয়া এ পেশা। টাঙ্গাইলের মধুপুরের জলছত্র পালপাড়ায় গিয়ে কুমারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

মধুপুর শহর থেকে ৫- ৬ কিলোমিটার দূরে বেরিবাইদ ও অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র গ্রামে পালদের ২৪-২৫ পরিবার কুমারদের বসবাস। টাঙ্গাইল- ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশেই আনারস বাজারের দুপাশে ৩০-৩৫ বছর যাবত বাস করছে। পাল পাড়ায় গিয়ে নারী পুরুষদের সাথে কথা বলে জানা যায় তাদের বাপদাদার পেশার নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।

এরা কেউ এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নয়। তাদের পূর্ব পুরুষেরা দুই তিন যুগ আগে টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গা থেকে বসতি গড়ে মাটির বিভিন্ন জিনিস পত্র তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ শুরু করে। এভাবে জলছত্র গ্রামে তাদের বসতি। স্থানীয় চাড়ালজানি হাওদাবিলসহ বিভিন্ন বিলের মাটি এনে তারা হাড়ি পাতিলসহ নানা মাটির জিনিসপত্র বানাতো। এক সময় মাটি কিনতে না হলেও এখন কিনে আনতে হয়। শ্রমের মজুরি বেড়েছে।আনুপাতিক হারে বাড়েনি তাদের মাটির জিনিসের দাম। গ্রামে এক সময় তাদের তৈরি মাটির জিনিসপত্রের কদর ও চাহিদা থাকলেও পাস্টিকের কারণে চাহিদা কমে গেছে। এখন শুধুই জীবিকা আর বাপদাদার পেশাকে টিকিয়ে রাখতেই এ মাটির করছে এমনটাই জানালেন তারা। তবে তাদের ছেলে মেয়েরা এখন অন্য পেশায় চলে যাচ্ছে। কেউ মিষ্টির দোকানে, কেউ বিপনি কেন্দ্রে। কেউবা আবার দিন মজুরির কাজে। তাদের মতে,বংশপরম্পরার এ পেশাকে টিকিয়ে রাখা এখন তাদের কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও আধুনিক মানের মাটির জিনিসপত্র তৈরির প্রশিক্ষণসহ বাজার ব্যবস্থা করতে পারলে বর্তমান সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে টিকে পারবে বলেও মনে করছে তারা। এ গ্রামের সুদেব পাল (৩৫) জানালেন, মাটি কিনে ভ্যান ভাড়া দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসতে আগের চেয়ে খরচ অনেক বেশি। গ্রামে গ্রামে বিক্রি করাও কমে গেছে। চাহিদাও কম। সারা দিন ঘুরে ঘুরে বিক্রিত টাকায় পোষানো কঠিন।

পারুল রানী পাল (৩৫) জানালেন, তাদের দুটি এনজিও-র সপ্তাহে কিস্তি।তাই এখন হাড়ি পাতিল পুতুল খেলনা তৈরি না করে শুধু দইয়ের পাতিল তৈরি করে। অর্ডার নিয়ে তৈরি করে। শুধু তিনিই নয় তাদের পাড়ায় সবাই এই একই ধরনের কাজ করে। গেল বৈশাখের জন্য তারা কোন শৌখিন জিনিস পত্র তৈরি করেনি। সুমতি রানী পাল (৬০) জানালেন, নতুন করে কেউ এ কাজ করতে চায় না। যারা পুরানো তারাই এ কাজ করছে।তারমতে, সব পেশার মানুষরা আয় উন্নতি করতে পারলেও তারা পারছে না। হাট বাজারে এ সময় মাটির জিনিসপত্রের চাহিদা থাকলেও সেখানে এখন প্লাস্টিকের চাহিদা বাড়ছে।

আরতি রানী পাল (৫৯) জানালেন, তারা বংশপরম্পরায় এ কাজ করে ভাসছে। এ সময় তাদের এ গ্রামেও চাক ঘুরিয়ে হাড়ি পাতিল খেলনাসহ বাহারি জিনিসপত্র তৈরি হতো। এখন চাক ঘুরে না। পোষে না তাদের। তাদের মতে, প্রায় সবারই এনজিও-র লোন নিয়েছে,তাদের কারো দুইটা কারো একটা সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা গুণতে হয়। এভাবে কয়েক যুগেও তাদের পেশার কোন গুণগত পরিবর্তন ঘটেনি।

তুলসী রানী পাল জানালেন, এ গ্রামে ২৪-২৫ ঘর কুমারদের সবার অবস্থা এমনই। শিক্ষা দীক্ষায়ও তেমন এগিয়ে যেতে পারেনি।নারী পুরুষদের মধ্যে বয়স্করা এ কাজেই আছে তবে নতুন বিভিন্ন পেশায় চলে যাচ্ছে। সরকারি বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কুমারদের পেশাও টিকে থাকবে এগিয়ে যেতে পারবে তারা এমনটাই মনে করছে এখানকার কুমার পল্লীর মানুষেরা।

back to top