যশোরের কেশবপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে মতিয়ার রহমান মতি নামে এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে। গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক গোলাম কবির এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মতিয়ার রহমান মতি কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম একই এলাকার বাসিন্দা জামসেদ আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মতি দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় নিয়মিত উত্যক্ত করতেন তিনি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নতুন বউ দেখতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে স্থানীয় আহাদের দোকানসংলগ্ন এলাকা থেকে মতি ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর গত ৯ জানুয়ারি ভিকটিমের মা আকলিমা খাতুন কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি কেশবপুর থানা পুলিশ মতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
যশোরের কেশবপুরে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণের দায়ে মতিয়ার রহমান মতি নামে এক যুবককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশও দেয়া হয়েছে। গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক গোলাম কবির এই রায় ঘোষণা করেন।
আসামি মতিয়ার রহমান মতি কেশবপুর উপজেলার লক্ষীনাথকাটি মাঝেরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ভিকটিম একই এলাকার বাসিন্দা জামসেদ আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, মতি দীর্ঘদিন ধরে ভিকটিমকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় নিয়মিত উত্যক্ত করতেন তিনি। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নতুন বউ দেখতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পথে স্থানীয় আহাদের দোকানসংলগ্ন এলাকা থেকে মতি ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এরপর গত ৯ জানুয়ারি ভিকটিমের মা আকলিমা খাতুন কেশবপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ যশোর সদর উপজেলার শেখহাটি এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত মতিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ২৮ জানুয়ারি কেশবপুর থানা পুলিশ মতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছেন আদালত।