সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ওরসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসব। আজ শুক্রবার এ উৎসবে অংশ নেন হাজারো ভক্ত।
বিপুল সংখক ভক্ত অনুরাগী ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত করে তোলেন মাজার প্রাঙ্গন থেকে লাকড়ি সংগ্রহের টিলা পর্যন্ত। ঐতিহ্য অনুযায়ী ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়, যা লাকড়ি তোড়া নামে পরিচিত।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কারও পরনে ছিল লাল জামা, কারও মাথায় লাল পট্টি। হাতে ছিল লাল পতাকা আর লম্বা দা বা তরবারি। জুমার নামাজের পর দরগা প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ‘নাকাড়া’—এক বিশেষ ধ্বনি, যা শতাব্দী পুরনো এক আধ্যাত্মিক ডাকে রূপ নিয়েছে। সেই মুহূর্তেই সমস্বরে উচ্চারিত হয়, “শাহজালাল বাবা কি জয়!” এবং সেই ধ্বনির সঙ্গেই হাজার হাজার ভক্ত পায়ে হেঁটে রওনা হন শহরতলির লাক্কাতুড়া চা-বাগানের নির্দিষ্ট টিলার দিকে।
সেখানে গিয়ে তাঁরা কাঠ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে শাহজালাল (রহ.)-এর ওরসে রান্নার শিরনিতে ব্যবহার হবে জ্বালানি হিসেবে। বহু প্রজন্ম ধরে এভাবেই পালিত হয়ে আসছে ‘লাকড়ি তোড়া’, যা অনেকেই ‘সিলেট বিজয় দিবস’ বলেও উদযাপন করেন।
উৎসবটি কেবল এক আধ্যাত্মিক স্মরণ নয় এটি এক ঐতিহাসিক দিনও। জানা যায়, প্রায় ৭০০ বছর আগে ঠিক ২৬ শাওয়াল দিনেই হজরত শাহজালাল (রহ.) তাঁর ৩৬০ আউলিয়াসহ সিলেটে পদার্পণ করেন এবং হিন্দু শাসক গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় ঘটান। সেই দিনটির স্মরণেই এই লাকড়ি তোড়া উৎসব শুরু হয় এবং আজও তা জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
সিলেটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের ওরসকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো লাকড়ি তোড়া উৎসব। আজ শুক্রবার এ উৎসবে অংশ নেন হাজারো ভক্ত।
বিপুল সংখক ভক্ত অনুরাগী ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত করে তোলেন মাজার প্রাঙ্গন থেকে লাকড়ি সংগ্রহের টিলা পর্যন্ত। ঐতিহ্য অনুযায়ী ওরসের তিন সপ্তাহ আগে লাকড়ি সংগ্রহ করা হয়, যা লাকড়ি তোড়া নামে পরিচিত।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কারও পরনে ছিল লাল জামা, কারও মাথায় লাল পট্টি। হাতে ছিল লাল পতাকা আর লম্বা দা বা তরবারি। জুমার নামাজের পর দরগা প্রাঙ্গণে বেজে ওঠে ‘নাকাড়া’—এক বিশেষ ধ্বনি, যা শতাব্দী পুরনো এক আধ্যাত্মিক ডাকে রূপ নিয়েছে। সেই মুহূর্তেই সমস্বরে উচ্চারিত হয়, “শাহজালাল বাবা কি জয়!” এবং সেই ধ্বনির সঙ্গেই হাজার হাজার ভক্ত পায়ে হেঁটে রওনা হন শহরতলির লাক্কাতুড়া চা-বাগানের নির্দিষ্ট টিলার দিকে।
সেখানে গিয়ে তাঁরা কাঠ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে শাহজালাল (রহ.)-এর ওরসে রান্নার শিরনিতে ব্যবহার হবে জ্বালানি হিসেবে। বহু প্রজন্ম ধরে এভাবেই পালিত হয়ে আসছে ‘লাকড়ি তোড়া’, যা অনেকেই ‘সিলেট বিজয় দিবস’ বলেও উদযাপন করেন।
উৎসবটি কেবল এক আধ্যাত্মিক স্মরণ নয় এটি এক ঐতিহাসিক দিনও। জানা যায়, প্রায় ৭০০ বছর আগে ঠিক ২৬ শাওয়াল দিনেই হজরত শাহজালাল (রহ.) তাঁর ৩৬০ আউলিয়াসহ সিলেটে পদার্পণ করেন এবং হিন্দু শাসক গৌড় গোবিন্দকে পরাজিত করে ইসলামের বিজয় ঘটান। সেই দিনটির স্মরণেই এই লাকড়ি তোড়া উৎসব শুরু হয় এবং আজও তা জীবন্ত ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।