এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে খাতা দেখতে না দেওয়ায় সহপাঠীদের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ইমন হোসেন মারা গেছে । ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার এনায়েতপুর খাজা ইউনুসআলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমন হোসেন শাহজাদপুরি উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে। সে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছিল। এনায়েতপুর থানা পুলিশ জিডি মূলে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার পরীক্ষার্থী ইমনের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ।
নিহত ইমনের বড় ভাই আরাফাত ও চাচা শহিদুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে সহপাঠী বন্ধুরা ইমনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিতে চাইলে সে তাতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে পরদিন গত শুক্রবার বিকেলে সহপাঠীরা ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং দৌলতপুর নতুন পাড়া এলাকায় তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এতে ইমনের মাথার খুলি ভেঙে যায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্রপ্রচার শেষে গত বুধবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার ভোরে ফের তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যায়।
এদিকে খুকনী ইউনিয়ন পরিষদে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোতা মিয়া জানান, ইমন নিহত হওয়ার পর স্বজনরা এনায়েতপুর ও বেলকুচি থানায় মামলা করতে গেলেও সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ বিষয়ে গত রোববার এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন ইয়াজদানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত ইমনের বাড়ী এনায়েতপুর থানার অন্তর্গত হলেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বেলকুচি থানা এলাকায়। সেহেতু তিনি নিহতের স্বজনদের বেলকুচি থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকারিয়া ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মামলা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালে খাতা দেখতে না দেওয়ায় সহপাঠীদের হাতুড়ি পেটায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থী ইমন হোসেন মারা গেছে । ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত শুক্রবার এনায়েতপুর খাজা ইউনুসআলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইমন হোসেন শাহজাদপুরি উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে। সে খুকনী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করছিল। এনায়েতপুর থানা পুলিশ জিডি মূলে হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল শনিবার পরীক্ষার্থী ইমনের মরদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ।
নিহত ইমনের বড় ভাই আরাফাত ও চাচা শহিদুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার এনায়েতপুর ইসলামী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে সহপাঠী বন্ধুরা ইমনের খাতা দেখে পরীক্ষা দিতে চাইলে সে তাতে রাজি হয়নি। এর জের ধরে পরদিন গত শুক্রবার বিকেলে সহপাঠীরা ইমনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এবং দৌলতপুর নতুন পাড়া এলাকায় তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। এতে ইমনের মাথার খুলি ভেঙে যায়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থল থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। একপর্যায়ে মাথায় অস্ত্রপ্রচার শেষে গত বুধবার তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। শুক্রবার ভোরে ফের তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইমন মারা যায়।
এদিকে খুকনী ইউনিয়ন পরিষদে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তোতা মিয়া জানান, ইমন নিহত হওয়ার পর স্বজনরা এনায়েতপুর ও বেলকুচি থানায় মামলা করতে গেলেও সীমানাসংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে পুলিশ মামলা নেয়নি। এ বিষয়ে গত রোববার এনায়েতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রওশন ইয়াজদানির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিহত ইমনের বাড়ী এনায়েতপুর থানার অন্তর্গত হলেও মারধরের ঘটনা ঘটেছে বেলকুচি থানা এলাকায়। সেহেতু তিনি নিহতের স্বজনদের বেলকুচি থানায় মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন।
অন্যদিকে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকারিয়া ইসলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে মামলা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।