গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গ্রামের মো. রুবেল মিয়া প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে গাজুপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের চাঁন মিয়ার একমাত্র ছেলে ও ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে কাপাসিয়া থানায় ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে রুবেল মিয়া বারাব গুচ্ছগ্রামে তার বসতবাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে এগারটার দিকে একই এলাকার তানভির, মাহমুদুল ও মতিউরের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী তার ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এ সময় রুবেলের স্ত্রী রোকসানা, মা ফাতেমা ও ছেলে নয়ন বাধা দিলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত শুক্রবার সকালে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
রুবেলের ছেলে নয়ন দাবি করেন, তার পিতাকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছেন, তাদের অধিকাংশই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোক।
রুবেলের মা ফাতেমা জানান, অসহায় নাতি ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে এখন কীভাবে তার সংসার চলবে তা জানেন না। সংসারে উপার্জনকারী একমাত্র ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কাপাসিয়া থানার ওসি মুহম্মদ আবদুল বারিক জানান, এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (নং-২৬/০৪.২৫) দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি জিহাদ হোসেন মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
গাজীপুরের কাপাসিয়ার বারিষাব ইউনিয়নের বারাব গ্রামের মো. রুবেল মিয়া প্রতিপক্ষের হাতে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার রাতে গাজুপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের চাঁন মিয়ার একমাত্র ছেলে ও ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ বিষয়ে গতকাল শনিবার বিকেলে কাপাসিয়া থানায় ১২ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের মা ফাতেমা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে রুবেল মিয়া বারাব গুচ্ছগ্রামে তার বসতবাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে এগারটার দিকে একই এলাকার তানভির, মাহমুদুল ও মতিউরের নেতৃত্বে ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী তার ঘরে ঢুকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে। এ সময় রুবেলের স্ত্রী রোকসানা, মা ফাতেমা ও ছেলে নয়ন বাধা দিলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করা হয়।
পরে রুবেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। গত শুক্রবার সকালে তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে উঠলে তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
রুবেলের ছেলে নয়ন দাবি করেন, তার পিতাকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছেন, তাদের অধিকাংশই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের লোক।
রুবেলের মা ফাতেমা জানান, অসহায় নাতি ও ছেলের স্ত্রীকে নিয়ে এখন কীভাবে তার সংসার চলবে তা জানেন না। সংসারে উপার্জনকারী একমাত্র ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
কাপাসিয়া থানার ওসি মুহম্মদ আবদুল বারিক জানান, এ ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা (নং-২৬/০৪.২৫) দায়ের করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি জিহাদ হোসেন মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।