নড়াইল : ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে হাসপাতালে মা -সংবাদ
গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নড়াইলে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরাও ভর্তি আছে হাসপাতালে। নড়াইল জেলা হাসপাতালে সংক্রামক (ডায়রিয়া) বিভাগে ছয় বেডের বিপরীতে ভর্তি আছেন অর্ধশতাধিক রোগী। প্রতিদিনই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী। গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে এমনটি দেখা গেছে। এর মধ্যে পাঁচ মাস থেকে শুরু করে দুই-তিন বছরের শিশুরাই বেশি। যে কারণে ছয় বেডের বিপরীতে ঠাসাঠাসি করে অর্ধশত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরেজমিনে নড়াইল জেলা হাসপাতালে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে। এমনও শিশু আছে, যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোগীর অভিভাবকরা জানান, প্রচ- গরমে তাদের শিশু সন্তানরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে এসে আরও গাদাগাদি পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। এতে অনেক কষ্টে আছেন তারা। অনেকের সুস্থ হতে এক সপ্তাহ লাগছে।
হাসপাতালের নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানান, একদিকে অনেক রোগীর চাপ; তারপর জনবল সংকটে তাদের চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবু প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে।
লাহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়া নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বেড়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি আছে। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার বেড থাকলেও প্রতিদিন সবমিলে প্রায় ৯০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু বেশি। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বলেন, এখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন তারা।
নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন, গত নয়দিনে ৪৪০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দিনপ্রতি ৪২ থেকে ৬৬ জন রোগী আছেন। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করতে হবে। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলতে হবে।
নড়াইল : ডায়েরিয়া আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে হাসপাতালে মা -সংবাদ
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
গরম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নড়াইলে ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুরাও ভর্তি আছে হাসপাতালে। নড়াইল জেলা হাসপাতালে সংক্রামক (ডায়রিয়া) বিভাগে ছয় বেডের বিপরীতে ভর্তি আছেন অর্ধশতাধিক রোগী। প্রতিদিনই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী। গত এক সপ্তাহের পরিসংখ্যানে এমনটি দেখা গেছে। এর মধ্যে পাঁচ মাস থেকে শুরু করে দুই-তিন বছরের শিশুরাই বেশি। যে কারণে ছয় বেডের বিপরীতে ঠাসাঠাসি করে অর্ধশত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সরেজমিনে নড়াইল জেলা হাসপাতালে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে। এমনও শিশু আছে, যে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডায়রিয়ায় দুইবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোগীর অভিভাবকরা জানান, প্রচ- গরমে তাদের শিশু সন্তানরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালে এসে আরও গাদাগাদি পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। এতে অনেক কষ্টে আছেন তারা। অনেকের সুস্থ হতে এক সপ্তাহ লাগছে।
হাসপাতালের নার্স ও পরিচ্ছন্নকর্মীরা জানান, একদিকে অনেক রোগীর চাপ; তারপর জনবল সংকটে তাদের চিকিৎসা দিতে সমস্যা হচ্ছে। তবু প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে।
লাহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু। এ ছাড়া নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বেড়েছে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগী ভর্তি আছে। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যার বেড থাকলেও প্রতিদিন সবমিলে প্রায় ৯০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু বেশি। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বলেন, এখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হচ্ছেন তারা।
নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল গফফার বলেন, গত নয়দিনে ৪৪০ জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে দিনপ্রতি ৪২ থেকে ৬৬ জন রোগী আছেন। এ পরিস্থিতিতে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করতে হবে। তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতা মেনে চলতে হবে।