ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রুপদন গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডলের বসত বাড়িসহ প্রায় ৩ শত শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে মনি মণ্ডল ভোগ দখল করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত শনিবার ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী শোভারানী মণ্ডল পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় শোভারানী মন্ডলের ভাসুরের ছেলে কলিংঙ্গ মন্ডল ও প্রতিবেশী ওহিদ মেলকার এবং কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ সঙ্গে ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে শোভারানী মণ্ডল বলেন দীর্ঘ বছর যাবত রেকর্ডিও মালিকানা বরগুনা জেলাধীন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন মৌজায় বিভিন্ন খতিয়ানে খতিয়ানের ২৯.৮৭ একর জমি একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে মনি মণ্ডল মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়া দখল করে আসছে।
শোভা রাণী বলেন, জমি ফিরে পাওয়ার জন্য ২০১২ সালে বরগুনা জজকোর্টে মামলা করলে ২০১৭ সালে আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায়ের পরেও মনি মণ্ডলের হাত থেকে জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে কাকচিড়া ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সার্ভেয়ার নিয়ে সালিশ করে রোয়েদাদ প্রদান করে জমি মেপে পিলার পুতে দিলেও আইন কানুন সালিশ মীমাংসার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনি মণ্ডল জোর করে জমি দখল করে আসছে। তিনি বলেন, গত ১ মার্চ ২৫ সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ঢোকার সময় মনি মণ্ডল বৈদ্যুতিক ডিভাইস দিয়ে শর্ট সার্কিট করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। পরে আমার চিৎকারে এলাকাবাসী আমাকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আমি ওইদিনই মনি মণ্ডল ও তার স্ত্রী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিমন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সালিশ রোয়েদাদে আমার স্বাক্ষর থাকলেও কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য আমি একমাস সময় চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাকে সময় না দিয়ে একতরফা রোয়েদাদ প্রদান করেছে। তিনি উল্টো শোভারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন দীর্ঘ বছরের সীমানা পিলার উপড়ে ফেলার জন্য আমি শোভারানী মন্ডল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রুপদন গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক ক্ষিতীশ চন্দ্র মণ্ডলের বসত বাড়িসহ প্রায় ৩ শত শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে মনি মণ্ডল ভোগ দখল করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় গত শনিবার ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী শোভারানী মণ্ডল পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় শোভারানী মন্ডলের ভাসুরের ছেলে কলিংঙ্গ মন্ডল ও প্রতিবেশী ওহিদ মেলকার এবং কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ সঙ্গে ছিলেন।
সম্মেলনে লিখিত ও মৌখিক বক্তব্যে শোভারানী মণ্ডল বলেন দীর্ঘ বছর যাবত রেকর্ডিও মালিকানা বরগুনা জেলাধীন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন মৌজায় বিভিন্ন খতিয়ানে খতিয়ানের ২৯.৮৭ একর জমি একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে মনি মণ্ডল মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়া দখল করে আসছে।
শোভা রাণী বলেন, জমি ফিরে পাওয়ার জন্য ২০১২ সালে বরগুনা জজকোর্টে মামলা করলে ২০১৭ সালে আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের রায়ের পরেও মনি মণ্ডলের হাত থেকে জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে কাকচিড়া ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সার্ভেয়ার নিয়ে সালিশ করে রোয়েদাদ প্রদান করে জমি মেপে পিলার পুতে দিলেও আইন কানুন সালিশ মীমাংসার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনি মণ্ডল জোর করে জমি দখল করে আসছে। তিনি বলেন, গত ১ মার্চ ২৫ সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ঢোকার সময় মনি মণ্ডল বৈদ্যুতিক ডিভাইস দিয়ে শর্ট সার্কিট করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে। পরে আমার চিৎকারে এলাকাবাসী আমাকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আমি ওইদিনই মনি মণ্ডল ও তার স্ত্রী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মনিমন্ডল সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সালিশ রোয়েদাদে আমার স্বাক্ষর থাকলেও কাগজপত্র সংগ্রহ করার জন্য আমি একমাস সময় চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাকে সময় না দিয়ে একতরফা রোয়েদাদ প্রদান করেছে। তিনি উল্টো শোভারানী মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন দীর্ঘ বছরের সীমানা পিলার উপড়ে ফেলার জন্য আমি শোভারানী মন্ডল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।