দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ‘ওএমএস’ এর প্রায় সাড়ে ৫ টন চাল (১৮০ বস্তা) জব্দ করেছে প্রশাসন।
গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণ পাশে মিল ঘরে (ধান ভাঙা) অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব চাল জব্দ করা হয়। এ সময় ১০৪টি খালি বস্তাও জব্দ করা হয়। বর্তমানে চালগুলো উদ্ধার করে উপজেলা খাদ্য গুদাম এল এসডি গোডাউনে জমা রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মনশাপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। অভিযানে ওই এলাকার একটি মিল ঘর (ধান ভাঙা) থেকে সরকারি এসব চাল জব্দ করা হয়। এ সময় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল ইমরান, উপজেলা খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলিহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. সবিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান যেখানে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এমন সময় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (বস্তায় সরকারি সিল) এতগুলো চাল একটা মিল ঘরে মজুত রাখা আছে। এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালের বরাদ্দ পেয়েছি ১ হাজার ৩৪১ বস্তা (৩০ কেজি বস্তা)। দুই দিনে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৫ বস্তা বাকি ৩৬ বস্তা জমা রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। আমার কাছে মাস্টার রোল বা তালিকা আছে। বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি সিল যুক্ত বস্তায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল মিল ঘরে কীভাবে আসে আমার জানা নেই। আমি পরিষদে চাল বিক্রি করি এরপর পরিষদের প্রায় ১ কি. মি. দূরে চাল পাওয়া গেলে এরদায়-দ্বায়িত্ব আমি নিতে পারব। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল ইমরান জানান, এখানে পরিষদের সংশ্লিষ্টতার কোন সুযোগ নাই। চাল বিক্রয়ের পরিষদের ভিতরে একটি একটি করে চালের বস্তা সুবিধাভোগীরা গেট দিয়ে বাহির করে নিয়ে আসে। এরপরও এতগুলা চাল মিল ঘরে জমা আছে বিষয়টা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানাচ্ছি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে একটি মিল ঘরে মজুত করে রাখা হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের মনশাপুর বাজারের পাশে একটি মিল ঘরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচলনা করা হয়। অভিযানে মিল ঘর থেকে প্রায় ৫ হাজার কেজি (১৮০ বস্তা) সরকারি চাল পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০৪টি সরকারি বস্তাও পাওয়া গেছে। ডিলার কর্তৃক বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি খাদ্য বান্ধব চাল এখানে মজুত রাখা বেআইনী ও অপরাধ। তবে অভিযানের সময় চাল ও মিল মালিকে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়মিত মামলায় জড়িতদের নাম উল্লেখসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ‘ওএমএস’ এর প্রায় সাড়ে ৫ টন চাল (১৮০ বস্তা) জব্দ করেছে প্রশাসন।
গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার দক্ষিণ পাশে মিল ঘরে (ধান ভাঙা) অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব চাল জব্দ করা হয়। এ সময় ১০৪টি খালি বস্তাও জব্দ করা হয়। বর্তমানে চালগুলো উদ্ধার করে উপজেলা খাদ্য গুদাম এল এসডি গোডাউনে জমা রাখা হয়েছে।
জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মনশাপুর গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়। অভিযানে ওই এলাকার একটি মিল ঘর (ধান ভাঙা) থেকে সরকারি এসব চাল জব্দ করা হয়। এ সময় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল ইমরান, উপজেলা খাদ্য বিভাগ ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলিহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. সবিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার প্রধান যেখানে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। এমন সময় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (বস্তায় সরকারি সিল) এতগুলো চাল একটা মিল ঘরে মজুত রাখা আছে। এটা সত্যিই অপ্রত্যাশিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালের ডিলার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবারে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি চালের বরাদ্দ পেয়েছি ১ হাজার ৩৪১ বস্তা (৩০ কেজি বস্তা)। দুই দিনে বিক্রি করা হয়েছে ১ হাজার ৩০৫ বস্তা বাকি ৩৬ বস্তা জমা রয়েছে যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অবগত আছে। আমার কাছে মাস্টার রোল বা তালিকা আছে। বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি সিল যুক্ত বস্তায় খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল মিল ঘরে কীভাবে আসে আমার জানা নেই। আমি পরিষদে চাল বিক্রি করি এরপর পরিষদের প্রায় ১ কি. মি. দূরে চাল পাওয়া গেলে এরদায়-দ্বায়িত্ব আমি নিতে পারব। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আলিহাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আল ইমরান জানান, এখানে পরিষদের সংশ্লিষ্টতার কোন সুযোগ নাই। চাল বিক্রয়ের পরিষদের ভিতরে একটি একটি করে চালের বস্তা সুবিধাভোগীরা গেট দিয়ে বাহির করে নিয়ে আসে। এরপরও এতগুলা চাল মিল ঘরে জমা আছে বিষয়টা আমার বোধগম্য নয়। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানাচ্ছি।
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে একটি মিল ঘরে মজুত করে রাখা হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাতে উপজেলার আলিহাট ইউনিয়নের মনশাপুর বাজারের পাশে একটি মিল ঘরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচলনা করা হয়। অভিযানে মিল ঘর থেকে প্রায় ৫ হাজার কেজি (১৮০ বস্তা) সরকারি চাল পাওয়া যায়। এ সময় গোডাউন থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০৪টি সরকারি বস্তাও পাওয়া গেছে। ডিলার কর্তৃক বিক্রির পরে এতগুলো সরকারি খাদ্য বান্ধব চাল এখানে মজুত রাখা বেআইনী ও অপরাধ। তবে অভিযানের সময় চাল ও মিল মালিকে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়মিত মামলায় জড়িতদের নাম উল্লেখসহ সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।