ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একদিনেই অন্তত ১১০ জন মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে (পুশইন) বলে অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে এদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে।
বুধবার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে মোট ৪৪ জন এবং খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, “সকালে রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি।”
ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুরি সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৪ জনকে প্রবেশ করানো হয়, যারা সবাই রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক।
এদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৬৬ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্য, গুজরাট থেকে বিমানে করে এনে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে নামিয়ে দেন এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেন।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, “বিজিবি বিষয়টি তদারকি করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিজিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। পুশব্যাক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
আটকদের অধিকাংশ বাংলা ভাষাভাষী। তাদের পরিচয় যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ একদিনেই অন্তত ১১০ জন মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে (পুশইন) বলে অভিযোগ উঠেছে। কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে এদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়েছে।
বুধবার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে মোট ৪৪ জন এবং খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়।
রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান জানান, “সকালে রৌমারী সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এদের মধ্যে ২২ জন রোহিঙ্গা এবং ৮ জন বাংলাদেশি।”
ভূরুঙ্গামারীর ভাওয়ালকুরি সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৪ জনকে প্রবেশ করানো হয়, যারা সবাই রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব উল হক।
এদিকে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৬৬ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্য, গুজরাট থেকে বিমানে করে এনে বিএসএফ সদস্যরা সীমান্তে নামিয়ে দেন এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দেন।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, “বিজিবি বিষয়টি তদারকি করছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিজিবির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। পুশব্যাক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
আটকদের অধিকাংশ বাংলা ভাষাভাষী। তাদের পরিচয় যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।