ভৈরবে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিনটি ড্রেজার ও একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড নৌকা জব্দ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় দুই গ্রুপের হট্টগোলে তিনজন আহত হয়। আহতের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক থেকে মেঘনার বালু মহাল থেকে ইজারাদার মাধ্যমে সরাইল থানার মেঘনার পাড় এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার ইজারাদার রিপন আলী। ইজারা পেয়ে নির্ধারিত সীমানায় বালু উত্তোলন না করে ভৈরব প্রান্তে গত তিন দিন যাবত রাতের আধারে লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় বালু উত্তোলন করে। গত শুক্রবার সকালে চরপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে মেঘনার মধ্য থেকে তিনটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড আটক করে পাড়ে নিয়ে আসে। এ সময় ড্রেজারের পক্ষ নেন লুন্দিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া। সকালে খবর পেয়ে আগানগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর পক্ষে ছুটে আসেন। এ সময় সহিদ মেম্বারের সঙ্গে আগানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সঙ্গে বাকবিত-া হয়। পরে স্থানীয়দের মধ্যে হট্টগোল হলে সাইফুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন ও সহিদ মিয়া মেম্বার আহত হয়। এঘটনার পর আগানগর ও লুন্দিয়া গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইজারাদার রিপন মিয়া বলেন, আমি সরাইল থানায় মেঘনার প্রান্তে বালু উত্তোলনের কাজ পেয়েছি। ভৈরবে একটি ঝামেলা হয়েছে বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিক ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তালেব বলেন, সকালে বালু উত্তোলন নিয়ে লুন্দিয়া গ্রামে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড নৌকা জব্দ করেছি। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রোববার, ১১ মে ২০২৫
ভৈরবে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে মাইকে ঘোষণা দিয়ে তিনটি ড্রেজার ও একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড নৌকা জব্দ করেছে এলাকাবাসী। এ সময় দুই গ্রুপের হট্টগোলে তিনজন আহত হয়। আহতের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক থেকে মেঘনার বালু মহাল থেকে ইজারাদার মাধ্যমে সরাইল থানার মেঘনার পাড় এলাকা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি পায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার ইজারাদার রিপন আলী। ইজারা পেয়ে নির্ধারিত সীমানায় বালু উত্তোলন না করে ভৈরব প্রান্তে গত তিন দিন যাবত রাতের আধারে লুন্দিয়া চরপাড়া এলাকায় বালু উত্তোলন করে। গত শুক্রবার সকালে চরপাড়া এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে মেঘনার মধ্য থেকে তিনটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড আটক করে পাড়ে নিয়ে আসে। এ সময় ড্রেজারের পক্ষ নেন লুন্দিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া। সকালে খবর পেয়ে আগানগর ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা ঘটনাস্থলে এলাকাবাসীর পক্ষে ছুটে আসেন। এ সময় সহিদ মেম্বারের সঙ্গে আগানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল বাশারের সঙ্গে বাকবিত-া হয়। পরে স্থানীয়দের মধ্যে হট্টগোল হলে সাইফুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন ও সহিদ মিয়া মেম্বার আহত হয়। এঘটনার পর আগানগর ও লুন্দিয়া গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ইজারাদার রিপন মিয়া বলেন, আমি সরাইল থানায় মেঘনার প্রান্তে বালু উত্তোলনের কাজ পেয়েছি। ভৈরবে একটি ঝামেলা হয়েছে বলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। পরে একাধিক ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবু তালেব বলেন, সকালে বালু উত্তোলন নিয়ে লুন্দিয়া গ্রামে মারামারি হয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ও ভৈরব সেনাবাহিনী ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড নৌকা জব্দ করেছি। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।