alt

সারাদেশ

নাগেশ্বরীতে প্রকৃতির বৈরিতায় শেষ সময়ে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক

প্রতিনিধি, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় শুকাতে না পারায় ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকের ধান -সংবাদ

নাগেশ্বরীতে প্রকৃতির বৈরি আচরণের শিকার কৃষক হয়েছেন। বৃষ্টি, ভেজা মাঠ, উঠোনে পড়ে আছে কেটে আনা ধান। অগ্রিম কাটা-মাড়াই করা ধানগুলোও আবহাওয়ার প্রতিকুলতায় শুকাতে না পারায় ঘরে তোলা যাচ্ছে না। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে অবশিষ্ট পাকা ধান। উদ্বিগ্ন কৃষক।

টানা খরার পর গত ১২ মে গভীর রাতে আচমকাই শুরু ঝড়-বজ্র-বৃষ্টি। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন রাত ও দিনে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে কৃষক কিছু জমির ধান কেটে বাড়িতে আনলেও সেগুলোর মাড়াই ও শুকনার কাজ ঠিকমত করতে পারছেন না। বৃষ্টির পানিতে প্রায় সর্বক্ষণ ভেজা থাকছে মাটি। ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকাতে দিলেই তা আরও ভিজে যাচ্ছে। এরপর বৃষ্টি বিড়ম্বনায় বারবার উঠাতে হচ্ছে। এর মধ্যে বাকি জমির ধান পেকে গেছে। সেগুলো খেতে রাখলে সমস্যা। ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ঝড়ে যাচ্ছে ধান। আবার কেটে বাড়ি নিয়ে আসলেও সঠিক সময়ে মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকাতে না পারায় উঠোনেই ধান থেকে গজাচ্ছে গাছ। উভয় সংকটে পড়েছেন তারা।

কৃষক পৌরসভার বানিয়াপাড়ার এলাকার অনেক কৃষকই বলেন, এবারে অন্য বারের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করেছিলাম উৎপাদন খরচ বাদে কিছুটা সাশ্রয় হবে আমাদের।

বাজারে আশানুরূপ দাম পেলে মৌসুম ঘিরে নেয়া ঋণ পরিশোধ করে আমরা পরিবার নিয়ে ভালভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারব। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না বোধহয়। এখন যে অবস্থা তাতে করে নির্বেঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। এ সুযোগে বাজারে কমে গেছে ধানের দাম। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকা দরে। এর চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে আমাদের। ফলে ফের হয়ত আমরা ঋণের বৃত্তে আটকা পড়ব।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকার জানান, এটি মৌসুমী বৃষ্টিপাত। চলবে আগামী ২০ মে পর্যন্ত। তবে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন বাড়বে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবারে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর- যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন হয়েছে ভালো। তবে শেষে মুহূর্তে ফসল ঘরে উঠার সময় প্রকৃতির বৈরিতায় দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।

উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এ সময় সাধারণ বৃষ্টিতে ধানের তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা। তাই ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলেই তা কাটার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষককে।

ছবি

দামুড়হুদার পথে প্রান্তে রাঙিয়ে তুলেছে লাল টুকটুকে কৃষ্ণচূড়া

ছবি

বিলুপ্তির পথে ৩০০ বছরের পুরনো রমজান মিয়া মসজিদ

ছবি

ঘোড়ায় চড়ে কনের বাড়িতে বর, উৎসুক জনতার ভিড়

ছবি

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে লজ্জাবতী বানর ও চশমা পরা হনুমানের মৃত্যু

ছবি

কালীগঞ্জে বিরতুল গ্রামের নারীরা দোলনা তৈরি করে স্বাবলম্বী

ছবি

খোয়াই নদীর চরে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়

সংযোগ সড়কে ধস ৫ মাসেও নেই সংস্কারের উদ্যোগ

অগ্নিকাণ্ডে শ্রীনগর সদর বাজারের শতাধিক দোকান ছাই

জিপ গাড়ি খাদে পড়ে যুবক নিহত

নজ ঘর থেকে ৬ দিন পর পচা মরদেহ উদ্ধার

বিদ্যালয়ে সময় দেন না শিক্ষক, অভিযোগ করায় সহকর্মীকে মারধর

লাউকাঠী নদীতে ডুবে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

চেতনানাশক খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ পল্লী চিকিৎসক গ্রেপ্তার

রামগড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

৪৬ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস

বজ্রপাতে কৃষক নিহত

ইটভাটার আগুনের তাপে পুড়ে গেছে শতাধিক বিঘা জমির ধান

মেঘনায় চাইসহ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ

আম পাড়া নিয়ে সংঘর্ষ টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ৮

কুড়িয়ে পাওয়া ২৭ লাখ টাকার ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্ব, আটক ১

টঙ্গীতে হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

ভবদহে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে মাছ চাষ, বন্যার আশঙ্কা

মোহনগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত

ছবি

লক্ষ্মীপুরে মাদ্রাসা ছাত্রকে নির্মম বেত্রাঘাত, শিক্ষক পলাতক

ভালুকায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২

মোংলায় ধর্ষক আটক

ছবি

মীরসরাইয়ে আমের ভালো ফলনে খুশি বাগানিরা

পাঁচ জেলায় গৃহবধূসহ ৫ হত্যা

শীতলক্ষ্যার বর্জ্যে মেঘনায় মাছের মড়ক

পুকুরে বিষ প্রয়োগে মাছ নিধন, লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি

টঙ্গীতে বকেয়া বেতন দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

মধুখালীতে বালুমহালের ইজারা বন্ধের আবেদন

কলমাকান্দায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

বাঘায় ইউপি সদস্যের এক হাজার পেঁপে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার

বোয়ালমারীতে স্মৃতিস্তম্ভ ভাঙায় পালন হয়নি ‘হাসামদয়িা গণহত্যা দবিস’

tab

সারাদেশ

নাগেশ্বরীতে প্রকৃতির বৈরিতায় শেষ সময়ে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষক

প্রতিনিধি, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম)

নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : আবহাওয়ার প্রতিকূলতায় শুকাতে না পারায় ঘরে তুলতে পারছে না কৃষকের ধান -সংবাদ

শনিবার, ১৭ মে ২০২৫

নাগেশ্বরীতে প্রকৃতির বৈরি আচরণের শিকার কৃষক হয়েছেন। বৃষ্টি, ভেজা মাঠ, উঠোনে পড়ে আছে কেটে আনা ধান। অগ্রিম কাটা-মাড়াই করা ধানগুলোও আবহাওয়ার প্রতিকুলতায় শুকাতে না পারায় ঘরে তোলা যাচ্ছে না। ক্ষেতেই ঝরে যাচ্ছে অবশিষ্ট পাকা ধান। উদ্বিগ্ন কৃষক।

টানা খরার পর গত ১২ মে গভীর রাতে আচমকাই শুরু ঝড়-বজ্র-বৃষ্টি। এরপর থেকে প্রায় প্রতিদিন রাত ও দিনে কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর আগে কৃষক কিছু জমির ধান কেটে বাড়িতে আনলেও সেগুলোর মাড়াই ও শুকনার কাজ ঠিকমত করতে পারছেন না। বৃষ্টির পানিতে প্রায় সর্বক্ষণ ভেজা থাকছে মাটি। ভেজা ও নরম মাটিতে ধান শুকাতে দিলেই তা আরও ভিজে যাচ্ছে। এরপর বৃষ্টি বিড়ম্বনায় বারবার উঠাতে হচ্ছে। এর মধ্যে বাকি জমির ধান পেকে গেছে। সেগুলো খেতে রাখলে সমস্যা। ঝড়-বাতাসে শীষ থেকে ঝড়ে যাচ্ছে ধান। আবার কেটে বাড়ি নিয়ে আসলেও সঠিক সময়ে মাড়াই, পরিষ্কার ও শুকাতে না পারায় উঠোনেই ধান থেকে গজাচ্ছে গাছ। উভয় সংকটে পড়েছেন তারা।

কৃষক পৌরসভার বানিয়াপাড়ার এলাকার অনেক কৃষকই বলেন, এবারে অন্য বারের তুলনায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আশা করেছিলাম উৎপাদন খরচ বাদে কিছুটা সাশ্রয় হবে আমাদের।

বাজারে আশানুরূপ দাম পেলে মৌসুম ঘিরে নেয়া ঋণ পরিশোধ করে আমরা পরিবার নিয়ে ভালভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারব। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ায় তা আর সম্ভব হচ্ছে না বোধহয়। এখন যে অবস্থা তাতে করে নির্বেঘ্নে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে সংশয়ে আছি। এ সুযোগে বাজারে কমে গেছে ধানের দাম। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকা দরে। এর চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি পড়েছে আমাদের। ফলে ফের হয়ত আমরা ঋণের বৃত্তে আটকা পড়ব।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র নরকার জানান, এটি মৌসুমী বৃষ্টিপাত। চলবে আগামী ২০ মে পর্যন্ত। তবে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন বাড়বে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, উপজেলায় এবারে ২৩ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্জিত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর- যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৫ হেক্টর বেশি। ফলন হয়েছে ভালো। তবে শেষে মুহূর্তে ফসল ঘরে উঠার সময় প্রকৃতির বৈরিতায় দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।

উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন জানান, এ সময় সাধারণ বৃষ্টিতে ধানের তেমন কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে শিলাবৃষ্টি হলেই সমস্যা। তাই ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলেই তা কাটার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষককে।

back to top