মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : বাগান থেকে সংগ্রহ করা আম বিক্রির জন্য প্যাকেটজাত করা হচ্ছে -সংবাদ
কম বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও সঠিক পরিচর্যার কারণে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্নের নানা জাতের আম। বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করছে আম চাষিরা। দাম ভালো পেলে লাভবান হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাইয়ে ১৮৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করেছেন ২শ’ আমচাষি। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গতবারের তুলনায় আমের ফলন এবার কিছুটা কম হয়েছে। এবছর ১ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, মীরসরাই, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, কার্টিমন, বারি-৪, বারি-১১, ল্যাংড়া ভোগ, মল্লিকা, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, সূর্যডিম, ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানে আমের চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও স্বল্পসুদে ঋণ পেলে আম উৎপাদন আরও বাড়বে বলে জানান আম চাষি ও বাগান মালিকরা।
করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগরে অবস্থিত হিলসডেল মাল্টি ফার্ম ও মধুরিমা রিসোর্টের উদ্যোক্তা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মঈন উদ্দিন বলেন, আমার বাগানে ৭শ আমরুপালি, হাঁড়িভাঙাসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হওয়ায় এবার ২শ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে। ক্রেতাদের জন্য বাগানে এসে আম পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি খুচরা ও পাইকাররা সরাসরি আম কিনে নিয়ে যেতে পারবেন এবং অনলাইনেও আম বিক্রি করছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ইউনাইটেড এগ্রোর পরিচালক আমচাষি মো. সিরাজ উদ্দিন মাসুদ জানান, এ বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৯ একর জমিতে ২০ জাতের আম চাষ করছেন তিনি।
এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক জাতের আম হার্ভেস্ট করে বিক্রি শুরু করেছি।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও মীরসরাইয়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। ১ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে আমের ভালো দাম থাকায় আম চাষিরা লাভবান হবেন।’
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) : বাগান থেকে সংগ্রহ করা আম বিক্রির জন্য প্যাকেটজাত করা হচ্ছে -সংবাদ
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
কম বৃষ্টিপাত হওয়া সত্ত্বেও সঠিক পরিচর্যার কারণে চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। গাছে গাছে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে দুলছে কৃষকের সোনালি স্বপ্নের নানা জাতের আম। বিভিন্ন জাতের আম সংগ্রহ করে বাজারজাত করছে আম চাষিরা। দাম ভালো পেলে লাভবান হবে বলে আশা করছেন বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, মীরসরাইয়ে ১৮৫ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ করেছেন ২শ’ আমচাষি। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গতবারের তুলনায় আমের ফলন এবার কিছুটা কম হয়েছে। এবছর ১ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, জোরারগঞ্জ, মীরসরাই, খৈয়াছরা ও ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের পাহাড়ের পাদদেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা আম্রপালি, হাঁড়িভাঙা, কার্টিমন, বারি-৪, বারি-১১, ল্যাংড়া ভোগ, মল্লিকা, ব্যানানা ম্যাংগো, মিয়াজাকি, সূর্যডিম, ফজলিসহ বিভিন্ন জাতের আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও বাড়ির আঙ্গিনায় ও বাগানে আমের চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও স্বল্পসুদে ঋণ পেলে আম উৎপাদন আরও বাড়বে বলে জানান আম চাষি ও বাগান মালিকরা।
করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম অলিনগরে অবস্থিত হিলসডেল মাল্টি ফার্ম ও মধুরিমা রিসোর্টের উদ্যোক্তা অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মঈন উদ্দিন বলেন, আমার বাগানে ৭শ আমরুপালি, হাঁড়িভাঙাসহ বিভিন্ন জাতের আম গাছ রয়েছে। গতবারের চেয়ে এবার ফলন কিছুটা কম হওয়ায় এবার ২শ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে। ক্রেতাদের জন্য বাগানে এসে আম পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি খুচরা ও পাইকাররা সরাসরি আম কিনে নিয়ে যেতে পারবেন এবং অনলাইনেও আম বিক্রি করছি।
জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের ইউনাইটেড এগ্রোর পরিচালক আমচাষি মো. সিরাজ উদ্দিন মাসুদ জানান, এ বছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ৯ একর জমিতে ২০ জাতের আম চাষ করছেন তিনি।
এখানকার মাটি ও আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক জাতের আম হার্ভেস্ট করে বিক্রি শুরু করেছি।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও মীরসরাইয়ে আমের ভালো ফলন হয়েছে। ১ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজারে আমের ভালো দাম থাকায় আম চাষিরা লাভবান হবেন।’