লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এক মাদ্রাসায় পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার অভিযোগে একজন আট বছরের ছাত্রকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির প্রথম ২৩ সেকেন্ডেই শিশুটিকে ২১ বার বেত দিয়ে পিটানো হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মাসুম (৩৫) গত ১২ মে ছাত্রটিকে মারধর করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটিকে কান ধরে রাখার পাশাপাশি বারবার বেত দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। মারধরের সময় শিক্ষক নিজেই ভিডিওটি রেকর্ড করেন, যা পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
- মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ: শিক্ষক মাসুমকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
- পলাতক শিক্ষক: ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মাসুম নিখোঁজ। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
- স্থানীয় প্রতিবাদ: শিশু নির্যাতনের এই ঘটনায় আইনজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে লক্ষ্মীপুর শহরের আল মুঈন একাডেমিতে কোরআন শরিফ না পারার অজুহাতে এক শিক্ষক কর্তৃক ৮ বছরের ছাত্র সানিম হোসাইনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক শিশু নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি আজমুল হুদা মিঠু বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।’
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, ‘ঘটনাটি অমানবিক। শিক্ষককে খুঁজে বের করতে তৎপরতা চলছে।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এর আগেও মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ‘স্থানীয়ভাবে’ সমাধান করা হতো। এবার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। শিশুটির পরিবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার এক মাদ্রাসায় পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়ার অভিযোগে একজন আট বছরের ছাত্রকে নির্মমভাবে বেত্রাঘাতের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ৩৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটির প্রথম ২৩ সেকেন্ডেই শিশুটিকে ২১ বার বেত দিয়ে পিটানো হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে স্থানীয়রা।
ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের আলীপুর নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মো. মাসুম (৩৫) গত ১২ মে ছাত্রটিকে মারধর করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটিকে কান ধরে রাখার পাশাপাশি বারবার বেত দিয়ে আঘাত করা হচ্ছে। মারধরের সময় শিক্ষক নিজেই ভিডিওটি রেকর্ড করেন, যা পরে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
- মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ: শিক্ষক মাসুমকে চাকরিচ্যুত করেছে এবং তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
- পলাতক শিক্ষক: ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে মাসুম নিখোঁজ। তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।
- স্থানীয় প্রতিবাদ: শিশু নির্যাতনের এই ঘটনায় আইনজীবী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ সামাজিক মাধ্যমে নিন্দা জানিয়েছেন এবং দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।
এ ঘটনার মাত্র দুই দিন আগে লক্ষ্মীপুর শহরের আল মুঈন একাডেমিতে কোরআন শরিফ না পারার অজুহাতে এক শিক্ষক কর্তৃক ৮ বছরের ছাত্র সানিম হোসাইনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক শিশু নির্যাতনের ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহসভাপতি আজমুল হুদা মিঠু বলেন, ‘শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।’
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ওসি মো. আবদুল মোন্নাফ জানান, ‘ঘটনাটি অমানবিক। শিক্ষককে খুঁজে বের করতে তৎপরতা চলছে।’
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এর আগেও মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ‘স্থানীয়ভাবে’ সমাধান করা হতো। এবার ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে। শিশুটির পরিবার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।