কুমিল্লার মুরাদনগরে রান্নাঘরের ধোঁয়া ছড়ানোকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ বিবাদের জেরে গরম পানি ঢেলে গৃহবধূকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার অন্তর্গত বেনিখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঝলসে যাওয়া গৃহবধূর নাম স্বপ্না আক্তার (২৬)। তিনি স্থানীয় প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে দেবিদ্বারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
স্বপ্নার শাশুড়ি ফিরোজা বেগম জানান, “রান্নার চুলার ধোঁয়া নাকি আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ঘরে যায়—এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। কিন্তু এতটুকু ব্যাপারে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেবে, ভাবতেই পারিনি।”
স্বপ্নার বোনের স্বামী জসিম উদ্দিন সবুজ বলেন, “সকাল বেলা স্বপ্না রান্না ও গরুর জন্য পানি গরম করছিল। তখন কুদ্দুস মোল্লা ধোঁয়া নিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। স্বপ্না প্রতিবাদ করতেই সে দৌড়ে এসে চুলায় থাকা গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
আহত গৃহবধূর শরীরের বেশিরভাগ অংশে ঝলসানো ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, “খবর পাওয়ার পর বিকেলেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
---
বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে রান্নাঘরের ধোঁয়া ছড়ানোকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ বিবাদের জেরে গরম পানি ঢেলে গৃহবধূকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালে উপজেলার বাঙ্গরা থানার অন্তর্গত বেনিখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঝলসে যাওয়া গৃহবধূর নাম স্বপ্না আক্তার (২৬)। তিনি স্থানীয় প্রবাসী নাছির উদ্দিনের স্ত্রী। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে দেবিদ্বারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
স্বপ্নার শাশুড়ি ফিরোজা বেগম জানান, “রান্নার চুলার ধোঁয়া নাকি আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ঘরে যায়—এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলছিল। কিন্তু এতটুকু ব্যাপারে গরম পানি ঢেলে ঝলসে দেবে, ভাবতেই পারিনি।”
স্বপ্নার বোনের স্বামী জসিম উদ্দিন সবুজ বলেন, “সকাল বেলা স্বপ্না রান্না ও গরুর জন্য পানি গরম করছিল। তখন কুদ্দুস মোল্লা ধোঁয়া নিয়ে গালিগালাজ শুরু করেন। স্বপ্না প্রতিবাদ করতেই সে দৌড়ে এসে চুলায় থাকা গরম পানি শরীরে ঢেলে দেয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।”
আহত গৃহবধূর শরীরের বেশিরভাগ অংশে ঝলসানো ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঙ্গরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, “খবর পাওয়ার পর বিকেলেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
---