বরগুনার পাথরঘাটায় কোস্টগার্ড ও জেলেদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে এ ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে।
এসময়ে দুই জেলে আহতসহ প্রাণে বাঁচতে ট্রলার থেকে খালে ঝাঁপ দিয়ে ৪ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম আকন বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরার জন্য যান উপকূলের হাজার হাজার জেলে। বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমার একটি ট্রলার ঘাটের দিকে আসে। এ সময় কোস্ট গার্ড ট্রলারটি আটক করে। এর পরপরই আলম কোম্পানির
আরেকটি ট্রলার আটক করে। পরে আমাদের উপস্থিতিতে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখালেও তা গ্রহণ না করে ট্রলার ধ্বংসের চেষ্টা করে কোস্ট গার্ড।
এ সময় পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের বৈধ কাগজপত্র ও হাইকোর্টের আদেশ দেখে ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যান। তবে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বিষয়টি না মেনে মঙ্গলবার রাতে ট্রলার ধ্বংস করা শুরু করেন। এ সময় জেলেরা আপত্তি জানালে দুজন জেলেকে মারধর করা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কোরবানির ঈদের ছুটির আগেও পাথরঘাটা স্টেশনের
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছি। ঈদের ছুটির পর বাড়ি থেকে এসে আবারও আমাকে তাদের স্টেশনে ডেকে নিয়ে ট্রলিং ট্রলারের তালিকা চায় এবং এর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, এর আগেও কয়েক দফায় টাকা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ট্রলিং দিয়ে সাগরে মাছ শিকার করে আসছিলেন একটিমহল।
সাধারণ জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অবৈধ টলিং বন্ধ করার।
১৭ জুন বেশ কয়েকটি অবৈধ ট্রলার আটক করে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোস্ট গার্ডের পাথরঘাটা জেটিতে কোস্টগার্ডকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারেন অবৈধ ট্রলিং ট্রলারের শতাধিক জেলেরা । ঘন্টাব্যাপী কোস্টগার্ড এর সাথে জেলেদের এভাবে সংঘর্ষ চলে,
একপর্যায়ে নিজেদের রক্ষার্থে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড । পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক বলেন যেখানে জেলেরা কোস্টগার্ড এর কাছে নিরাপত্তা মনে করবে, সেখানে কোস্টগার্ডকে এখন জেলেরা ঘৃণা করে কোস্টগার্ডকে জেলেরা অনিরপত্তা মনে করে। তিনি বলেন কোস্টগার্ডের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে, তিনি এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাথরঘাটা নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ইসমে বলেন জেলেদের সাথে কোস্টগার্ড এর বৈরী সম্পর্ক হবে কেন? তাদের সাথে সংঘর্ষ হবে কেন? এটাই আমার প্রশ্ন। তিনি বলেন প্রশাসন এবং আমাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, যদি কোনরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত তাহলে অগণিত লাশ পড়তো কেন পরিস্থিতি এমন হবে,তিনি বলেন পাথরঘাটাবাসী এর অবসান চান।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেছি। ঘটনার পরপরই পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক অবৈধ ট্রলিংবোট জব্দ করে পরবর্তীতে স্হানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে কোস্টগার্ড স্হাপনায় হামলাসহ সরকারি গাড়ী ভাংচুর ও কোস্টগার্ড সদস্যদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
বরগুনার পাথরঘাটায় কোস্টগার্ড ও জেলেদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে এ ঘটনায় আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে।
এসময়ে দুই জেলে আহতসহ প্রাণে বাঁচতে ট্রলার থেকে খালে ঝাঁপ দিয়ে ৪ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলেরা।
বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুম আকন বলেন, ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরার জন্য যান উপকূলের হাজার হাজার জেলে। বঙ্গোপসাগরে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে আমার একটি ট্রলার ঘাটের দিকে আসে। এ সময় কোস্ট গার্ড ট্রলারটি আটক করে। এর পরপরই আলম কোম্পানির
আরেকটি ট্রলার আটক করে। পরে আমাদের উপস্থিতিতে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তখন আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখালেও তা গ্রহণ না করে ট্রলার ধ্বংসের চেষ্টা করে কোস্ট গার্ড।
এ সময় পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের বৈধ কাগজপত্র ও হাইকোর্টের আদেশ দেখে ট্রলার ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে চলে যান। তবে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বিষয়টি না মেনে মঙ্গলবার রাতে ট্রলার ধ্বংস করা শুরু করেন। এ সময় জেলেরা আপত্তি জানালে দুজন জেলেকে মারধর করা হয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ শুরু হয়।
মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কোরবানির ঈদের ছুটির আগেও পাথরঘাটা স্টেশনের
কোস্ট গার্ড কর্মকর্তাকে ১ লাখ টাকা দিয়েছি। ঈদের ছুটির পর বাড়ি থেকে এসে আবারও আমাকে তাদের স্টেশনে ডেকে নিয়ে ট্রলিং ট্রলারের তালিকা চায় এবং এর থেকে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি আরও জানান, এর আগেও কয়েক দফায় টাকা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ট্রলিং দিয়ে সাগরে মাছ শিকার করে আসছিলেন একটিমহল।
সাধারণ জেলেদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল অবৈধ টলিং বন্ধ করার।
১৭ জুন বেশ কয়েকটি অবৈধ ট্রলার আটক করে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোস্ট গার্ডের পাথরঘাটা জেটিতে কোস্টগার্ডকে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছুড়ে মারেন অবৈধ ট্রলিং ট্রলারের শতাধিক জেলেরা । ঘন্টাব্যাপী কোস্টগার্ড এর সাথে জেলেদের এভাবে সংঘর্ষ চলে,
একপর্যায়ে নিজেদের রক্ষার্থে ২৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করেন পাথরঘাটা কোস্ট গার্ড । পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক চৌধুরী মো. ফারুক বলেন যেখানে জেলেরা কোস্টগার্ড এর কাছে নিরাপত্তা মনে করবে, সেখানে কোস্টগার্ডকে এখন জেলেরা ঘৃণা করে কোস্টগার্ডকে জেলেরা অনিরপত্তা মনে করে। তিনি বলেন কোস্টগার্ডের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে, তিনি এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিষয়টি দ্রুত দেখার জন্য অনুরোধ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী পাথরঘাটা নতুন বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন ইসমে বলেন জেলেদের সাথে কোস্টগার্ড এর বৈরী সম্পর্ক হবে কেন? তাদের সাথে সংঘর্ষ হবে কেন? এটাই আমার প্রশ্ন। তিনি বলেন প্রশাসন এবং আমাদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে, যদি কোনরকম পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেত তাহলে অগণিত লাশ পড়তো কেন পরিস্থিতি এমন হবে,তিনি বলেন পাথরঘাটাবাসী এর অবসান চান।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেছি। ঘটনার পরপরই পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলেও জানান তিনি।
কোস্ট গার্ড পাথরঘাটা স্টেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক অবৈধ ট্রলিংবোট জব্দ করে পরবর্তীতে স্হানীয় উচ্ছৃঙ্খল জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে কোস্টগার্ড স্হাপনায় হামলাসহ সরকারি গাড়ী ভাংচুর ও কোস্টগার্ড সদস্যদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ড বিধি মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।