আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৈরবের র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছিনতাইকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারিদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে অন্ততপক্ষে ২ শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।
পুলিশ, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ভৈরবের সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সূত্রমতে, গত আগস্ট থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ আবার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণও করেছে। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ও অন্যকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি। পুলিশের ভাষ্য, অধিকাংশ ঘটনাতেই থানায় মামলা বা জিডি হয় না। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই কোনো লিখিত অভিযোগ করেন না। ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলে খুব কম মানুষই থানা-পুলিশ করতে যান। ফলে যে হারে ছিনতাই ঘটে, সে তুলনায় থানায় মামলার সংখ্যা কম।
ভৈরব পৌর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোলায়মান মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে সম্প্রতি মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকার নাম বেশি আলোচনায় এসেছে। কিন্তু তার কাছে মনে হয়েছে, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে চলাচলের রাস্তা আরও বেশি ভয়াবহ। সন্ধ্যার পরপর এই এলাকার সড়কগুলোতে একটা আলো-আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা আতঙ্ক হয়ে নেমে আসে। মাঝেমধ্যে পুলিশের কোনো টহল নেই বললেই চলে। এখানকার ছিনতাইকারীদের বেশিরভাগই ভৈরব শহরের প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় বহিরাগতরা এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ও এলাকার মাদকসেবী। অপরাধ করেই তারা আবার নিজ বাসা বাড়িতে থাকেন। ভৈরব বাজার পৌরসভার সামনে থেকে পানাউল্লারচর বাজার পর্যন্ত অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে একাধিক টানা পার্টি ছুরি ও সুইচ গিয়ার চাকু হাতে সক্রিয় থাকে। দিনে থাকে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও পকেটমার। প্রতিদিন এই এলাকায় গড়ে ২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে ভুক্তভোগীরা থানায় যান না।
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
আগস্টের পর ভৈরব পৌর শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হঠাৎ করে ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে গেলেও এলাকাভিত্তিক বিএনপির কিছু নেতাকর্মীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করছে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভৈরবের র্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ছিনতাইকারীরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
পুলিশ ও র্যাবের সূত্রমতে, ভৈরবে ছিনতাই যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। মাসে ঘটছে অর্ধশতাধিক ঘটনা। সব ঘটনা আবার জানাজানিও হয় না। ভৈরবের ২০টি স্পট এখন ছিনতাইকারীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আতঙ্ক বেড়েছে পথচারিদের মনে। আগে রাতে ছিনতাই হলেও এখন দিন দুপুরেই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। পৌর শহরের অনেক স্থানেই লোক চলাচল কমে গেছে। ভয় আর অনিশ্চয়তার মধ্যে বসবাস করছেন এখানকার বাসিন্দারা। বিশেষ করে একটু রাত করে যাদের বাড়ি ফিরতে হয়, তারা ভোগেন ভীষণ টেনশনে। পুলিশ বলছে, সেনা, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে পুরো ভৈরব শহরে। এর মধ্যে অন্ততপক্ষে ২ শতাধিক ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার করা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না।
পুলিশ, বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং ভৈরবের সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সূত্রমতে, গত আগস্ট থেকে ৫ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনায় আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কেউ আবার ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণও করেছে। অনেকে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা ও অন্যকোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ছিনতাইয়ের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা এর কয়েকগুণ বেশি। পুলিশের ভাষ্য, অধিকাংশ ঘটনাতেই থানায় মামলা বা জিডি হয় না। বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই কোনো লিখিত অভিযোগ করেন না। ছিনতাইয়ের ঘটনায় খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত না হলে খুব কম মানুষই থানা-পুলিশ করতে যান। ফলে যে হারে ছিনতাই ঘটে, সে তুলনায় থানায় মামলার সংখ্যা কম।
ভৈরব পৌর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সোলায়মান মিয়া এই প্রতিবেদককে জানান, অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবে সম্প্রতি মেঘনা নদী তীরবর্তী এলাকার নাম বেশি আলোচনায় এসেছে। কিন্তু তার কাছে মনে হয়েছে, ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে চলাচলের রাস্তা আরও বেশি ভয়াবহ। সন্ধ্যার পরপর এই এলাকার সড়কগুলোতে একটা আলো-আঁধারি পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যা আতঙ্ক হয়ে নেমে আসে। মাঝেমধ্যে পুলিশের কোনো টহল নেই বললেই চলে। এখানকার ছিনতাইকারীদের বেশিরভাগই ভৈরব শহরের প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায় বহিরাগতরা এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ও এলাকার মাদকসেবী। অপরাধ করেই তারা আবার নিজ বাসা বাড়িতে থাকেন। ভৈরব বাজার পৌরসভার সামনে থেকে পানাউল্লারচর বাজার পর্যন্ত অপরাধের হার সবচেয়ে বেশি। এখানে একাধিক টানা পার্টি ছুরি ও সুইচ গিয়ার চাকু হাতে সক্রিয় থাকে। দিনে থাকে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি ও পকেটমার। প্রতিদিন এই এলাকায় গড়ে ২টি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝামেলা এড়িয়ে চলতে ভুক্তভোগীরা থানায় যান না।