রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রূপলাল (৫০) ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপ (৪৮) নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রূপলাল উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বেলতলী বুড়িরহাট রোডে বিলিং লেদার কোম্পানির পাশে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন মুচি এবং দীর্ঘদিন ধরে তারাগঞ্জ বাজারের মতি টেইলার্সের সামনে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। অপর নিহত প্রদীপ মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ছড়ান গ্রামের বাসিন্দা এবং রূপলালের ভাগ্নি জামাই।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রূপলালের মেয়ে নুপুর সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে। গতকাল রোববার তার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। বর পক্ষের পাত্রের নাম কমল (ডিপজল), তিনি রংপুর জেলার চন্দনপাট এলাকার লালচানের ছেলে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে প্রদীপ ও রূপলাল গ্রামে রহনা দিয়েলেন। মূল সড়ক (বিশ্বরোড) এড়িয়ে তারা ভ্যানে করে গ্রামের ভিতরের রাস্তা ধরে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ মোড় সংলগ্ন বটতলা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের ব্যাগে থাকা মদ দেখতে পেয়ে ব্যাগটি কেড়ে নেন। একপর্যায়ে তারা চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে মুহূর্তেই লোকজন জড়ো হয়ে কোনো কথা না শুনে তাদেরেক বেধড়ক মারধর শুরু করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রূপলাল ও প্রদীপকে বুড়িহাট স্কুল মাঠে ফেলে রেখে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে রূপলাল মারা যান। পরে পুলিশ আহত প্রদীপকে উদ্ধার করে প্রথমে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টহলে রয়েছে যৌথ বাহিনী। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে রূপলালের মরদেহ তারাগঞ্জ থানায় এবং প্রদীপের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এ ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রূপলালের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রূপলাল (৫০) ও তার ভাগ্নি জামাই প্রদীপ (৪৮) নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সয়ার ইউনিয়নের বুড়িহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রূপলাল উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর বেলতলী বুড়িরহাট রোডে বিলিং লেদার কোম্পানির পাশে বসবাস করেন। তিনি পেশায় একজন মুচি এবং দীর্ঘদিন ধরে তারাগঞ্জ বাজারের মতি টেইলার্সের সামনে জুতা সেলাইয়ের কাজ করতেন। অপর নিহত প্রদীপ মিঠাপুকুর উপজেলার গোপালপুর ছড়ান গ্রামের বাসিন্দা এবং রূপলালের ভাগ্নি জামাই।
নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রূপলালের মেয়ে নুপুর সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে। গতকাল রোববার তার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করার কথা ছিল। বর পক্ষের পাত্রের নাম কমল (ডিপজল), তিনি রংপুর জেলার চন্দনপাট এলাকার লালচানের ছেলে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে প্রদীপ ও রূপলাল গ্রামে রহনা দিয়েলেন। মূল সড়ক (বিশ্বরোড) এড়িয়ে তারা ভ্যানে করে গ্রামের ভিতরের রাস্তা ধরে ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে সয়ার ইউনিয়নের ফরিদাবাদ মোড় সংলগ্ন বটতলা এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাদের ব্যাগে থাকা মদ দেখতে পেয়ে ব্যাগটি কেড়ে নেন। একপর্যায়ে তারা চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকলে মুহূর্তেই লোকজন জড়ো হয়ে কোনো কথা না শুনে তাদেরেক বেধড়ক মারধর শুরু করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা রূপলাল ও প্রদীপকে বুড়িহাট স্কুল মাঠে ফেলে রেখে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যে রূপলাল মারা যান। পরে পুলিশ আহত প্রদীপকে উদ্ধার করে প্রথমে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। গতকাল রোববার ভোর ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকায় টহলে রয়েছে যৌথ বাহিনী। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে রূপলালের মরদেহ তারাগঞ্জ থানায় এবং প্রদীপের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম.এ ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত রূপলালের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।