ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ক্ষোভের মুখে স্কুল শিক্ষককে সামরিক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে আজ রোববার ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার।
কমিটিকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ বিশ্বাস গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। সাময়িক বহিষ্কৃত স্কুল শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক কমলেশ বিশ্বাস আরো বলেন, গত ৬ আগস্ট সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর জন্মদিন ছিল। স্কুল ছুটির পর বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করেন ওই শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে ওই শিক্ষার্থী ভুল করে সেখানে একটি ডায়েরি রেখে চলে আসে। পরে সে সেখানে আবার ডায়েরি আনতে যায়। তখন শিক্ষক মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন তাকে একা পেয়ে তার সাথে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে পরিত্যক্ত ভবনের ওই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। সহপাঠীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সে জানায়। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ আগস্ট শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে পরে আমি পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য গ্রহণ করি। ঘটনার সত্যতা পাই। ওই শিক্ষক আগেও স্কুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটান। তখন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ঘটনায় দুই তিন মাস জেল খেটেছেন। পরে আপস মীমাংসা করে তিনি মামলা থেকে রক্ষা পান বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
গতকাল রোববার সকাল দশটায় স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড বহন করে। স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গন উত্তাল করে তোলে। খবর পেয়ে স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তার কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থীর অভিভাবক সহ অন্যান্যদের ডেকে নেন। শিক্ষার্থীর বাবা সহ উপস্থিত সবার কথা শুনে ঘটনার সত্যতা পান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি। তুমি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
শিক্ষকের সাময়িক বহিষ্কারের খবর স্কুলে এসে পৌঁছালে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সেলিম তালুকদার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার অরুণচন্দ্র মন্ডল। কমিটির অন্য দু’জন সদস্য হলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান ও স্কুলের সহকারী শিক্ষক তাজভীন নাহার। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষক মিরাজ হোসেন দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করব।
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
গোপালগঞ্জে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ক্ষোভের মুখে স্কুল শিক্ষককে সামরিক বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনার তদন্তে আজ রোববার ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম তালুকদার।
কমিটিকে আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ বিশ্বাস গতকাল রোববার বিকাল সাড়ে চারটায় এসব তথ্য জানিয়েছেন। সাময়িক বহিষ্কৃত স্কুল শিক্ষকের নাম মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক কমলেশ বিশ্বাস আরো বলেন, গত ৬ আগস্ট সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর জন্মদিন ছিল। স্কুল ছুটির পর বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পৌনে পাঁচটার দিকে বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে জন্মদিনের অনুষ্ঠান করেন ওই শিক্ষক সহ শিক্ষার্থীরা। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে ওই শিক্ষার্থী ভুল করে সেখানে একটি ডায়েরি রেখে চলে আসে। পরে সে সেখানে আবার ডায়েরি আনতে যায়। তখন শিক্ষক মোহাম্মদ মিরাজ হোসেন তাকে একা পেয়ে তার সাথে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করেন। এরপর ওই শিক্ষার্থী কাঁদতে কাঁদতে পরিত্যক্ত ভবনের ওই রুম থেকে বেরিয়ে আসে। সহপাঠীসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সে জানায়। এ ঘটনায় পরের দিন ৭ আগস্ট শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে আমার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ ব্যাপারে পরে আমি পঞ্চাশ জন শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য গ্রহণ করি। ঘটনার সত্যতা পাই। ওই শিক্ষক আগেও স্কুলে একই ধরনের ঘটনা ঘটান। তখন ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ঘটনায় দুই তিন মাস জেল খেটেছেন। পরে আপস মীমাংসা করে তিনি মামলা থেকে রক্ষা পান বলে প্রধান শিক্ষক জানান।
গতকাল রোববার সকাল দশটায় স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে ওই শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় তারা শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড বহন করে। স্লোগানে স্লোগানে শিক্ষার্থীরা স্কুল প্রাঙ্গন উত্তাল করে তোলে। খবর পেয়ে স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি তার কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষক, শিক্ষার্থীর অভিভাবক সহ অন্যান্যদের ডেকে নেন। শিক্ষার্থীর বাবা সহ উপস্থিত সবার কথা শুনে ঘটনার সত্যতা পান অ্যাডহক কমিটির সভাপতি। তুমি তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
শিক্ষকের সাময়িক বহিষ্কারের খবর স্কুলে এসে পৌঁছালে দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়ে স্কুল ম্যানেজিং অ্যাডহক কমিটির সভাপতি সেলিম তালুকদার বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার অরুণচন্দ্র মন্ডল। কমিটির অন্য দু’জন সদস্য হলেন স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মফিজুর রহমান ও স্কুলের সহকারী শিক্ষক তাজভীন নাহার। আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্ত শিক্ষক মিরাজ হোসেন দোষী সাব্যস্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি তাকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করব।