ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
কুমিল্লার তিতাসে নিখোঁজের ৪দিন পর নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৮) নামে এক ট্রাক্টর চালকের খন্ডিত দুই হাত উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
১০আগস্ট রোববার দুপুরে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর মধ্যপাড়ার উত্তর পাশের তিতাস নদী থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ৬টুকরো দেহের দুই টুকরো (দুই হাত) উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত মজিদপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটকের পর হত্যার কথা অবলীলায় স্বীকার করেছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিতাস থানা পুলিশ।
নিহত নজরুল ভূঁইয়া একই ইউনিয়নের শাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ইট-বালির ট্রাক্টরের চালক ছিলো।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৬আগষ্ট রাত ১০ টার দিকে নজরুল ভূঁইয়া দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে ৮আগষ্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের তথ্যের মাধ্যমে রবিবার (১০ আগষ্ট) ভোরে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোহাম্মদ হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, জিডির সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত স্মৃতি আক্তারকে সনাক্ত করি এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ৬টুকরো করে চারটি বস্তায় ইটসহ খন্ডিত দেহগুলো ভরে বাড়ীর পাশের তিতাস নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে তারা স্বীকার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চারটি বস্তার মধ্যে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঐ বস্তায় দু’টি বিচ্ছিন্ন হাত পাওয়া যায়। বাকি অংশগুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ডুবুরিরা জানান, খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের জন্য বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযানে চালিয়ে তারা ব্যর্থ হয়ে অভিযান বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদেরকে আসামীসহ ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে সহযোগিতা করলে পুনরায় অভিযান চালাবেন বলেও তারা জানান।
স্থানীয়রা জানান, নজরুলকে হত্যার পর খুনি প্রেমিকার পক্ষ থেকে বাড়িতে অর্ধশতাধিক নারীদের নিয়ে তালিমের আয়োজন করে খিচুরী বিতরণ করেছে এবং গত শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়ারও আয়োজন করেছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, আমার ছেলে নজরুলকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে ডেকে এনে হত্যা করেছে। আমার ছেলে বাড়ীতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই মাথায় কুড়াল দিয়ে কুপ মারে, এরপর জোর করে তাকে ঘরে নিয়ে হত্যা করে হাত-পা, মাথা ও দেহ আলাদা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনা তারা স্বামী-স্ত্রী নয় শুধু। আরো ৪/৫জন মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জড়িত সকল খুনিদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
ছবি : অনলাইন থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
কুমিল্লার তিতাসে নিখোঁজের ৪দিন পর নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (৩৮) নামে এক ট্রাক্টর চালকের খন্ডিত দুই হাত উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
১০আগস্ট রোববার দুপুরে উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের মজিদপুর মধ্যপাড়ার উত্তর পাশের তিতাস নদী থেকে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় ৬টুকরো দেহের দুই টুকরো (দুই হাত) উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত মজিদপুর গ্রামের সিএনজি চালক মোহাম্মদ হোসেন ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে আটকের পর হত্যার কথা অবলীলায় স্বীকার করেছে বলেও সাংবাদিকদের জানান তিতাস থানা পুলিশ।
নিহত নজরুল ভূঁইয়া একই ইউনিয়নের শাহাবৃদ্দি গ্রামের মো: হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। সে পোশায় একজন ইট-বালির ট্রাক্টরের চালক ছিলো।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৬আগষ্ট রাত ১০ টার দিকে নজরুল ভূঁইয়া দোকানে যাওয়ার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। পরে ৮আগষ্ট নজরুলের পিতা হানিফ ভূইয়া তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে থানা পুলিশ জিডি মুলে নজরুলের ব্যবহৃত মোবাইলের তথ্যের মাধ্যমে রবিবার (১০ আগষ্ট) ভোরে উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে সিএনজি চালক মোহাম্মদ হোসেন (৩২) ও তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তারকে (২৭) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহিদ উল্যাহ বলেন, জিডির সুত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আটককৃত স্মৃতি আক্তারকে সনাক্ত করি এবং তার স্বামী হোসেনকে রবিবার ভোর রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে এবং ৬টুকরো করে চারটি বস্তায় ইটসহ খন্ডিত দেহগুলো ভরে বাড়ীর পাশের তিতাস নদীতে ফেলে দেয়া হয় বলে তারা স্বীকার করে।
তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চারটি বস্তার মধ্যে একটি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঐ বস্তায় দু’টি বিচ্ছিন্ন হাত পাওয়া যায়। বাকি অংশগুলো উদ্ধারে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
নারায়নগঞ্জ থেকে আগত ডুবুরিরা জানান, খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধারের জন্য বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অভিযানে চালিয়ে তারা ব্যর্থ হয়ে অভিযান বন্ধ করে দেন। পুলিশ তাদেরকে আসামীসহ ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে সহযোগিতা করলে পুনরায় অভিযান চালাবেন বলেও তারা জানান।
স্থানীয়রা জানান, নজরুলকে হত্যার পর খুনি প্রেমিকার পক্ষ থেকে বাড়িতে অর্ধশতাধিক নারীদের নিয়ে তালিমের আয়োজন করে খিচুরী বিতরণ করেছে এবং গত শুক্রবার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়ারও আয়োজন করেছে।
নিহতের বাবা হানিফ ভূঁইয়া জানান, আমার ছেলে নজরুলকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে ডেকে এনে হত্যা করেছে। আমার ছেলে বাড়ীতে প্রবেশ করার সাথে সাথেই মাথায় কুড়াল দিয়ে কুপ মারে, এরপর জোর করে তাকে ঘরে নিয়ে হত্যা করে হাত-পা, মাথা ও দেহ আলাদা করে বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়।
এ ঘটনা তারা স্বামী-স্ত্রী নয় শুধু। আরো ৪/৫জন মিলে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি জড়িত সকল খুনিদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।