বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : অসুস্থ শিশু তালহার সাথে মা-বাবা -সংবাদ
রঘুনাথপুর গ্রামের সরু মাটির পথ ধরে হাঁটলেই দেখা মেলে ক্ষীণদেহী এক শিশুর। বয়স মাত্র সাত। নাম তার আবু তালহা। চোখে ভরপুর ক্লান্তি। শরীরটাও যেন রোগে-শোকে ভেঙে পড়েছে। অথচ সেই চোখেই লুকিয়ে আছে অপার স্বপ্ন আবার মাদ্রাসায় যাওয়া, সহপাঠীদের সঙ্গে পড়াশোনা আর খেলা। কিন্তু সেই স্বপ্নের মাঝপথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মরণব্যাধি কিডনি রোগ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তালহার দুটি কিডনিই ধীরে ধীরে অচল হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে তার জীবন মুছে যেতে পারে অকালেই।
জন্মের পর থেকেই যেন তালহাকে তাড়া করছে দুঃখ। ছোট্ট বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। বাবা খবর নেন না, মা-ও পাশে নেই। দাদার বাড়ি থেকে নানা বাড়ি কোথাও আশ্রয় মেলেনি দীর্ঘদিন। অবশেষে খালার ঘরে ঠাঁই মিললেও শান্তি আসেনি জীবনে। এখন সেই খালাই তালহার সর্বস্ব, একাই লড়াই করছেন ভাগ্যের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতায় চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থ যা গরিব খালার পক্ষে একা বহন করা সম্ভব নয়। প্রতিদিনই ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর চিকিৎসকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করছেন, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
তালহার খালা কাঁদতে কাঁদতে বলেন- আমার ভাইপো বাঁচুক, আবার স্কুলে যাক। সবাই যদি একটু পাশে দাঁড়ায়, আল্লাহ হয়তো আমার তালহাকে ফিরিয়ে দেবেন।
তালহার স্বপ্নগুলো খুব ছোট্ট। সে শুধু আবার মাদ্রাসার ক্লাসে বসতে চায়, কোরআনের আয়াত মুখস্থ করতে চায়। বয়স যেখানে খেলার, সেখানে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকতে হচ্ছে বিছানায়। তবুও তার চোখের চাহনিতে লুকানো আছে একরাশ আশা।
মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটি এমন সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। হয়তো কারও একদিনের আয়, কারও সামান্য সঞ্চয় দিয়েই বাঁচানো সম্ভব একটি জীবন। সাত বছরের নিষ্পাপ শিশুটি যদি সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে হয়তো একদিন সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে পারবে।
সমাজের প্রতিটি সহৃদয় মানুষের কাছে তাই আবেদন আবু তালহাকে নতুন জীবনের সুযোগ দিন। তার নিষ্পাপ হাসি থেমে যেতে দেবেন না।
বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) : অসুস্থ শিশু তালহার সাথে মা-বাবা -সংবাদ
রোববার, ৩১ আগস্ট ২০২৫
রঘুনাথপুর গ্রামের সরু মাটির পথ ধরে হাঁটলেই দেখা মেলে ক্ষীণদেহী এক শিশুর। বয়স মাত্র সাত। নাম তার আবু তালহা। চোখে ভরপুর ক্লান্তি। শরীরটাও যেন রোগে-শোকে ভেঙে পড়েছে। অথচ সেই চোখেই লুকিয়ে আছে অপার স্বপ্ন আবার মাদ্রাসায় যাওয়া, সহপাঠীদের সঙ্গে পড়াশোনা আর খেলা। কিন্তু সেই স্বপ্নের মাঝপথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মরণব্যাধি কিডনি রোগ। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তালহার দুটি কিডনিই ধীরে ধীরে অচল হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা না গেলে তার জীবন মুছে যেতে পারে অকালেই।
জন্মের পর থেকেই যেন তালহাকে তাড়া করছে দুঃখ। ছোট্ট বয়সেই বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ। বাবা খবর নেন না, মা-ও পাশে নেই। দাদার বাড়ি থেকে নানা বাড়ি কোথাও আশ্রয় মেলেনি দীর্ঘদিন। অবশেষে খালার ঘরে ঠাঁই মিললেও শান্তি আসেনি জীবনে। এখন সেই খালাই তালহার সর্বস্ব, একাই লড়াই করছেন ভাগ্যের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় মানুষজনের সহযোগিতায় চলছে প্রাথমিক চিকিৎসা। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনেক অর্থ যা গরিব খালার পক্ষে একা বহন করা সম্ভব নয়। প্রতিদিনই ওষুধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা আর চিকিৎসকের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করছেন, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।
তালহার খালা কাঁদতে কাঁদতে বলেন- আমার ভাইপো বাঁচুক, আবার স্কুলে যাক। সবাই যদি একটু পাশে দাঁড়ায়, আল্লাহ হয়তো আমার তালহাকে ফিরিয়ে দেবেন।
তালহার স্বপ্নগুলো খুব ছোট্ট। সে শুধু আবার মাদ্রাসার ক্লাসে বসতে চায়, কোরআনের আয়াত মুখস্থ করতে চায়। বয়স যেখানে খেলার, সেখানে তাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকতে হচ্ছে বিছানায়। তবুও তার চোখের চাহনিতে লুকানো আছে একরাশ আশা।
মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটি এমন সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রাসঙ্গিক। হয়তো কারও একদিনের আয়, কারও সামান্য সঞ্চয় দিয়েই বাঁচানো সম্ভব একটি জীবন। সাত বছরের নিষ্পাপ শিশুটি যদি সুস্থ হয়ে ওঠে, তবে হয়তো একদিন সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দিতে পারবে।
সমাজের প্রতিটি সহৃদয় মানুষের কাছে তাই আবেদন আবু তালহাকে নতুন জীবনের সুযোগ দিন। তার নিষ্পাপ হাসি থেমে যেতে দেবেন না।