ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মাদারীপুরের কালকিনিতে নাকের সামনে চেতনা নাশক দিয়ে ৮ বছরের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে অচেতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা কাউকে বললে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত সোহাগ শিকদার পলাতক। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার নিজ ঘরে ডেকে নেয় শিশুটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সে। দরজা বন্ধ করে ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সোহাগের বিরুদ্ধে। তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে জানালে মেয়েটি ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে বাড়িতে চলে আসে নির্যাতিতা ওই শিশুটি। গতকাল রোববার দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। আমার ছেলেদেরও মেরে ফেলবে। আমরা খুব ভয়ে আছি। এ ঘটনার বিচার পাব কিনা তাও জানি না। আপনারা পাশে থাকলেই কেবল আমি কথা বলবো। নইলে আমি কিছু বলতে চাই না বলেই কাঁদতে থাকেন তিনি। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটি জানায়, ‘ঘরে ডেকে নিয়ে মুহূর্তেই তাকে অচেতন করে সোহাগ শিকদার। পরে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। প্রচন্ড ব্যথা আর যন্ত্রণা হলে মেয়েটি মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।’ এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এত ছোট্ট শিশুকে ধর্ষণ করা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার বিচার দাবী করছি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এই ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করতে না পারে।’ মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। গাইনি চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিক্যাল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘দুই দিন আগের ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে মেয়েটির সঙ্গে কথা বললে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হবে। যদি নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দেয় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মাদারীপুরের কালকিনিতে নাকের সামনে চেতনা নাশক দিয়ে ৮ বছরের তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে অচেতনের পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা কাউকে বললে পুরো পরিবারকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পর অভিযুক্ত সোহাগ শিকদার পলাতক। বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও।
স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার নিজ ঘরে ডেকে নেয় শিশুটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে সে। দরজা বন্ধ করে ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সোহাগের বিরুদ্ধে। তিন ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি কাউকে জানালে মেয়েটি ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। পরে বাড়িতে চলে আসে নির্যাতিতা ওই শিশুটি। গতকাল রোববার দুপুরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার মা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। আমার ছেলেদেরও মেরে ফেলবে। আমরা খুব ভয়ে আছি। এ ঘটনার বিচার পাব কিনা তাও জানি না। আপনারা পাশে থাকলেই কেবল আমি কথা বলবো। নইলে আমি কিছু বলতে চাই না বলেই কাঁদতে থাকেন তিনি। ধর্ষণের শিকার হওয়া শিশুটি জানায়, ‘ঘরে ডেকে নিয়ে মুহূর্তেই তাকে অচেতন করে সোহাগ শিকদার। পরে ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। প্রচন্ড ব্যথা আর যন্ত্রণা হলে মেয়েটি মায়ের কাছে বিষয়টি জানায়। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।’ এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে কয়েকজন এলাকাবাসী জানিয়েছেন, এত ছোট্ট শিশুকে ধর্ষণ করা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এই ঘটনার বিচার দাবী করছি। যাতে ভবিষ্যতে কেউ যেন এই ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড করতে না পারে।’ মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। গাইনি চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিক্যাল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’
মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘দুই দিন আগের ঘটনা। বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে মেয়েটির সঙ্গে কথা বললে ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক ভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করা হবে। যদি নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দেয় তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’