ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করেছেন ওই হাসপাতালের এক নারী কর্মচারী। রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সরাসরি এফআইআর করার জন্য কিশোরগঞ্জ মডেল থানাকে নির্দেশ নিদেয়ছেন। তবে অভিযুক্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। মামলার বিবরণ ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোসিং বিভাগের প্যাথলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের এক নারী কর্মচারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হেলিশ রঞ্জন সরকার। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২১ আগস্ট বিকেলে ওই কর্মচারীকে পরিচালকের কোয়ার্টারে নিয়ে যান। সেখানে গুলি করে হত্যা ও চাকুরীচ্যুতির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি জানালে হত্যা করার হুমকি দেন। এরপর গত ২৬ আগস্ট বিকেলে পরিচালকের অফিসে নিয়ে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় ওই নারী কর্মচারীর ডাকচিৎকারে হাসপাতালের লোকজন ছুটে আসেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তিন দিনের সময় দিলেও পরিচালক বিষয়টি সমাধান করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
আদাতের বিচারক জেলা দায়রা জজ নুরুল আমিন বিপ্লব মামলাটি আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। তবে অভিযুক্ত ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। হাসপাতালের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) একরাম হোসেনকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বদলীর চিটি দেয়ায় একরাম হোসেনের অনুগত ওই নারী কর্মচারীকে দিয়ে এ মামলাটি সাজানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মামলা করেছেন ওই হাসপাতালের এক নারী কর্মচারী। রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সরাসরি এফআইআর করার জন্য কিশোরগঞ্জ মডেল থানাকে নির্দেশ নিদেয়ছেন। তবে অভিযুক্ত পরিচালক ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। মামলার বিবরণ ও স্থানীয়সুত্রে জানা গেছে, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটসোসিং বিভাগের প্যাথলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের এক নারী কর্মচারীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন হাসপাতালের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হেলিশ রঞ্জন সরকার। এতে রাজী না হওয়ায় গত ২১ আগস্ট বিকেলে ওই কর্মচারীকে পরিচালকের কোয়ার্টারে নিয়ে যান। সেখানে গুলি করে হত্যা ও চাকুরীচ্যুতির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের বিষয়টি জানালে হত্যা করার হুমকি দেন। এরপর গত ২৬ আগস্ট বিকেলে পরিচালকের অফিসে নিয়ে আবারো ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় ওই নারী কর্মচারীর ডাকচিৎকারে হাসপাতালের লোকজন ছুটে আসেন। এ বিষয়টি সমাধানের জন্য তিন দিনের সময় দিলেও পরিচালক বিষয়টি সমাধান করবেন না বলে জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হলে মানসম্মানের কথা চিন্তা করে রবিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা করেন ভুক্তভোগী।
আদাতের বিচারক জেলা দায়রা জজ নুরুল আমিন বিপ্লব মামলাটি আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ মডেল থানা পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। তবে অভিযুক্ত ডা. হেলিশ রঞ্জন সরকার জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। হাসপাতালের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) একরাম হোসেনকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বদলীর চিটি দেয়ায় একরাম হোসেনের অনুগত ওই নারী কর্মচারীকে দিয়ে এ মামলাটি সাজানো হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।