নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের সীমানায় আরাকান আর্মির দৌরাত্ম্যের কারণে স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন। সেন্টমার্টিন ট্রলার বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব সাগর, সীতা এলাকায় মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মি তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে জানানো হয়েছে।
২৫ দিনেও ফেরত আসেনি নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আটক ১২ জেলে
আগস্ট মাসের ২৬
দিনে ৭৮ জন
জেলে আটক
এর আগে ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে ১০টি ট্রলার থেকে ৬৩ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।
ফলে আগস্ট মাসের ২৬ দিনে মোট ৭৮ জন জেলে আটক হয়েছেন।
ট্রলার মালিকরা জানান, নাফ নদী ও সাগরে আরাকান আর্মির দৌরাত্ম্য ক্রমবর্ধমান, যা জেলেদের জন্য আতঙ্ক তৈরি করছে।
মায়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে ১১ মাসের সংঘাতের পর গত বছরের আগস্টে রাখাইনের সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এরপর থেকে তারা নাফ নদীর জলসীমা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং এলাকার মাছ ধরা কার্যক্রমে দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে।
শাহ পরীরদ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকার হাবিবা বেগম বলেন, ৫ আগস্টে আমার স্বামী মো. আমিন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি, নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে আরাকান আর্মিরা ১২ জেলেকে ধরে নিয়েছে। ২৫ দিন হলেও এখনও ফেরত আসেনি তারা। সংসার চালানো অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শাহ পরীরদ্বীপ ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাঝি বলেন, নাফনদী ও সাগর থেকে আগস্টে ১০টি ট্রলারসহ ৬৩ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। ৩১ আগস্ট আরও ৩ ট্রলারসহ ১৮ জন জেলে আটক হয়েছে।
বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখনও কেউ মুক্তি পায়নি। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার পথে জেলেরা প্রায়ই আরাকান আর্মির হাতে আটক হচ্ছে। শাহ পরীরদ্বীপ ও নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় সতর্ক থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত কিছু পেইজে আটককৃতদের ছবি প্রকাশিত হওয়ায় পরিবারগুলো নিশ্চিত হচ্ছেন, তাদের স্বজনরা বর্তমানে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ গেল ২৮ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছেন।
আমাদের আন-অফিসিয়াল যোগাযোগ রয়েছে। জেলেদের নিরাপদে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে এবং নতুন কোনো আটক রোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ২৮২ জন জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করেছে। এর মধ্যে ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রচেষ্টায় নিরাপদে ফেরত এসেছে।
স্থানীয়রা সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের সীমানায় আরাকান আর্মির দৌরাত্ম্যের কারণে স্থানীয় জেলেরা আতঙ্কে রয়েছেন। সেন্টমার্টিন ট্রলার বোট মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আজিজ জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় সেন্টমার্টিনের দক্ষিণ-পূর্ব সাগর, সীতা এলাকায় মাছ ধরার সময় আরাকান আর্মি তিনটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৮ জন জেলেকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে গেছে।
বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও পুলিশকে জানানো হয়েছে।
২৫ দিনেও ফেরত আসেনি নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে আটক ১২ জেলে
আগস্ট মাসের ২৬
দিনে ৭৮ জন
জেলে আটক
এর আগে ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে ১০টি ট্রলার থেকে ৬৩ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি।
ফলে আগস্ট মাসের ২৬ দিনে মোট ৭৮ জন জেলে আটক হয়েছেন।
ট্রলার মালিকরা জানান, নাফ নদী ও সাগরে আরাকান আর্মির দৌরাত্ম্য ক্রমবর্ধমান, যা জেলেদের জন্য আতঙ্ক তৈরি করছে।
মায়ানমারের জান্তা সরকারের সঙ্গে ১১ মাসের সংঘাতের পর গত বছরের আগস্টে রাখাইনের সীমান্তবর্তী মংডু শহর দখল করে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এরপর থেকে তারা নাফ নদীর জলসীমা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং এলাকার মাছ ধরা কার্যক্রমে দৌরাত্ম্য দেখাচ্ছে।
শাহ পরীরদ্বীপ মাঝেরপাড়া এলাকার হাবিবা বেগম বলেন, ৫ আগস্টে আমার স্বামী মো. আমিন মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। পরে জানতে পারি, নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে আরাকান আর্মিরা ১২ জেলেকে ধরে নিয়েছে। ২৫ দিন হলেও এখনও ফেরত আসেনি তারা। সংসার চালানো অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শাহ পরীরদ্বীপ ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাঝি বলেন, নাফনদী ও সাগর থেকে আগস্টে ১০টি ট্রলারসহ ৬৩ জন জেলেকে আটক করেছে আরাকান আর্মি। ৩১ আগস্ট আরও ৩ ট্রলারসহ ১৮ জন জেলে আটক হয়েছে।
বিষয়টি কোস্টগার্ড, বিজিবি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এখনও কেউ মুক্তি পায়নি। স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, মাছ ধরার পথে জেলেরা প্রায়ই আরাকান আর্মির হাতে আটক হচ্ছে। শাহ পরীরদ্বীপ ও নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় সতর্ক থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত কিছু পেইজে আটককৃতদের ছবি প্রকাশিত হওয়ায় পরিবারগুলো নিশ্চিত হচ্ছেন, তাদের স্বজনরা বর্তমানে বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ গেল ২৮ আগস্ট সাংবাদিকদের বলেন, এ পর্যন্ত ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছেন।
আমাদের আন-অফিসিয়াল যোগাযোগ রয়েছে। জেলেদের নিরাপদে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে এবং নতুন কোনো আটক রোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে মোট ২৮২ জন জেলেকে আরাকান আর্মি আটক করেছে। এর মধ্যে ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান বিজিবি ও কোস্টগার্ডের প্রচেষ্টায় নিরাপদে ফেরত এসেছে।
স্থানীয়রা সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং ভবিষ্যতে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।