ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ডিমলা হাসপাতালে মবজাস্টিস সৃষ্টি করে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ৬ জন নামিও ও অজ্ঞাত ২০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে নীলফামারী জেলার ডিমলার উপজেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত একটি দালাল চক্র প্রভাব বিস্তার করে রোগীদের কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজি পরীক্ষার বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম নামের একজন চিকিৎসক যোগদান করেন । তিনি যোগদান করার পর হতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের একাধিক প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্য ডাক্তারদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসকগন প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষা করাতে রাজি না হলে চক্রটির সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টানাপোড়ন শুরু হয়। এর একপর্যায়ে রোববার দুপুরে পুকুড়ে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হলে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুর অভিভাবকরা । হাসপাতলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা থেকে সম্প্রতি বদলি হয়ে আসা ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম। তিনি পুকুরে পড়ে মৃত্যু শিশুটির পরীক্ষার নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটির হাসপাতালে আনার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছে। ইমারজেন্সি রুমে ওই শিশুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় দালালচক্রের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য ডাক্তারের বিনা অনুমতিতে রুমে প্রবেশ করলে ডাক্তারের সাথে দালাল চক্র সদস্যদের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। সুযোগ পেয়ে যায় দালাল চক্রের সদস্যরা । তারা হাসপাতালের বাইরে এসে প্রচার চালায়,ডাক্তারের অবহেলার কারণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবরটা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে চতুর দিকে। এ সময় ঐ চক্রে ও তাদের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে হাসপাতাল ভাঙচুর ও ডাক্তারকে মারপিট করার জন্য লাটি সোডা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে হামলা চালায় এবং ডাক্তার সাজেদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে । সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার সাজেদুল ইসলামকে উদ্ধারসহ ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বহিরাগত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে হয়ে যায় ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অত্র হাসপাতাল প্রাক্তন কর্মচারী রান্নাবান্নার কুকার মো. রফিকের ছেলে মো. রনি ইসলামের নেতৃত্বে হাসপাতালে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠে । হাসপাতাল এলাকায় তা একটি প্যাথলজি থাকায় সেখানে পরীক্ষা-নিচ্ছার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য রোগীদের চিকিৎসা পত্রে লিখার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। হাসপাতালে সরকারিভাবে স্বল্প খরচে পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও তারা হাসপাতালে রোগীদের বাইরে নিয়ে গিয়ে দালাল চক্রটির নিজস্ব প্যাথলজিতে চড়া মূল্যে পরীক্ষা করায়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিত। ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম যোগদানের পর হতে সে সুযোগ তাদের বন্ধ হয়ে গেলে তাক বিভিন্নভাবে হেনস্তা মহারানী করার জন্য মরিয়া হয়ে পরে ওই চক্রটি।
ডাক্তার সাইদুল ইসলাম জানান, আমি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থেকে রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুপুর ১২ টার দিকে পানিতে পড়া একটি শিশু পুত্র হাসপাতাল নিয়ে আসেন শিশুটির অভিভাক। আমি জরুরি বিভাগে বাচ্চাটির পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলাম এ সময় তিন চারজন বহিরাগত আমার অনুমতি না নিয়ে জরির বিভাগের বিভাগে কক্ষে প্রবেশ করে এসময় আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি আপনারা কি শিশুটির আপনজন কেউ তারা জানায় শিশুটি তাদের কেউ না তখন আমি তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে বেড়িয়ে যেতে বলি। তারা বেরিয়ে না গিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে বাগবিতন্ড বাজলে পরবর্তীতে তারা লোকজন নিয়ে হাসপাতাল হামলা চালায়। আমার উপোর চড়াও হয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে । আমি তৎক্ষণিক ডিমলা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিমলা থানার এস আই আবুল কালাম জানান, ঘটনা সংবাদ পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনি।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, পকর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান জানান, বহিরাগত একটি দালাল চক্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করার কথা বলে তাদের পিছু নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসকদের কাছে লিখে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। না লিখলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে ডাক্তারদের হারানি করার চেষ্টা করে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইমরানুজ্জামান ও সহকারী কমিশনার( ভূমি) মো. রওশন কবির হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তিনি সংবাদিকদের জানান, খুব শীঘ্রই হাসপাতাল কে দালালমুক্ত করা হবে এবং মবজাস্টিস সৃষ্টি করে আজকে যারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায গতকাল সোমবার ডিমলা হাসপাতালের পক্ষে ডাক্তার সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় নামীয় ৬ জন ও অজ্ঞাত ২৫ জন নামের নামে মামলা দায়ের করেন । ঘটনায় জড়িত হাসপাতাল এলাকার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ( ৩০) নামের এক জনকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী মামালা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামান, মব সৃষ্টি করে হাসপাতালে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ডিমলা হাসপাতালে মবজাস্টিস সৃষ্টি করে হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ৬ জন নামিও ও অজ্ঞাত ২০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাবিবুর রহমান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। জানা গেছে নীলফামারী জেলার ডিমলার উপজেলা হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবত একটি দালাল চক্র প্রভাব বিস্তার করে রোগীদের কাছ থেকে অপ্রয়োজনীয় প্যাথলজি পরীক্ষার বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছিল। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম নামের একজন চিকিৎসক যোগদান করেন । তিনি যোগদান করার পর হতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীদের একাধিক প্যাথলজি পরীক্ষা নিরীক্ষা জন্য ডাক্তারদের চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রে লিখার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। কর্তব্যরত চিকিৎসকগন প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষা করাতে রাজি না হলে চক্রটির সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের টানাপোড়ন শুরু হয়। এর একপর্যায়ে রোববার দুপুরে পুকুড়ে পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হলে ডিমলা হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশুর অভিভাবকরা । হাসপাতলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা থেকে সম্প্রতি বদলি হয়ে আসা ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম। তিনি পুকুরে পড়ে মৃত্যু শিশুটির পরীক্ষার নিরীক্ষা করে জানান, শিশুটির হাসপাতালে আনার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছে। ইমারজেন্সি রুমে ওই শিশুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় দালালচক্রের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য ডাক্তারের বিনা অনুমতিতে রুমে প্রবেশ করলে ডাক্তারের সাথে দালাল চক্র সদস্যদের সাথে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। সুযোগ পেয়ে যায় দালাল চক্রের সদস্যরা । তারা হাসপাতালের বাইরে এসে প্রচার চালায়,ডাক্তারের অবহেলার কারণে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। খবরটা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ে চতুর দিকে। এ সময় ঐ চক্রে ও তাদের লোকজন হাসপাতাল ঘেরাও করে হাসপাতাল ভাঙচুর ও ডাক্তারকে মারপিট করার জন্য লাটি সোডা নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রবেশ করে হামলা চালায় এবং ডাক্তার সাজেদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখে । সংবাদ পেয়ে ডিমলা থানার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার সাজেদুল ইসলামকে উদ্ধারসহ ঘটনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বহিরাগত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার কার্যক্রম বন্ধ করে হয়ে যায় ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অত্র হাসপাতাল প্রাক্তন কর্মচারী রান্নাবান্নার কুকার মো. রফিকের ছেলে মো. রনি ইসলামের নেতৃত্বে হাসপাতালে একটি দালাল চক্র গড়ে উঠে । হাসপাতাল এলাকায় তা একটি প্যাথলজি থাকায় সেখানে পরীক্ষা-নিচ্ছার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষার জন্য রোগীদের চিকিৎসা পত্রে লিখার জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। হাসপাতালে সরকারিভাবে স্বল্প খরচে পরীক্ষা নিরীক্ষার সুযোগ থাকলেও তারা হাসপাতালে রোগীদের বাইরে নিয়ে গিয়ে দালাল চক্রটির নিজস্ব প্যাথলজিতে চড়া মূল্যে পরীক্ষা করায়ে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিত। ডাক্তার সাজেদুল ইসলাম যোগদানের পর হতে সে সুযোগ তাদের বন্ধ হয়ে গেলে তাক বিভিন্নভাবে হেনস্তা মহারানী করার জন্য মরিয়া হয়ে পরে ওই চক্রটি।
ডাক্তার সাইদুল ইসলাম জানান, আমি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থেকে রোগীদের চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। দুপুর ১২ টার দিকে পানিতে পড়া একটি শিশু পুত্র হাসপাতাল নিয়ে আসেন শিশুটির অভিভাক। আমি জরুরি বিভাগে বাচ্চাটির পরীক্ষা নিরীক্ষা করছিলাম এ সময় তিন চারজন বহিরাগত আমার অনুমতি না নিয়ে জরির বিভাগের বিভাগে কক্ষে প্রবেশ করে এসময় আমি তাদের জিজ্ঞাসা করি আপনারা কি শিশুটির আপনজন কেউ তারা জানায় শিশুটি তাদের কেউ না তখন আমি তাদেরকে জরুরি বিভাগ থেকে বেড়িয়ে যেতে বলি। তারা বেরিয়ে না গিয়ে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করলে বাগবিতন্ড বাজলে পরবর্তীতে তারা লোকজন নিয়ে হাসপাতাল হামলা চালায়। আমার উপোর চড়াও হয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে । আমি তৎক্ষণিক ডিমলা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করে ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিমলা থানার এস আই আবুল কালাম জানান, ঘটনা সংবাদ পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনি।
ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প,প, পকর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান জানান, বহিরাগত একটি দালাল চক্র হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করার কথা বলে তাদের পিছু নিয়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত প্যাথলজি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসকদের কাছে লিখে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। না লিখলে তারা বিভিন্ন অজুহাতে ডাক্তারদের হারানি করার চেষ্টা করে।
সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইমরানুজ্জামান ও সহকারী কমিশনার( ভূমি) মো. রওশন কবির হাসপাতালে ছুটে যান। এ সময় তিনি সংবাদিকদের জানান, খুব শীঘ্রই হাসপাতাল কে দালালমুক্ত করা হবে এবং মবজাস্টিস সৃষ্টি করে আজকে যারা বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এ ঘটনায গতকাল সোমবার ডিমলা হাসপাতালের পক্ষে ডাক্তার সাজেদুর রহমান বাদী হয়ে ডিমলা থানায় নামীয় ৬ জন ও অজ্ঞাত ২৫ জন নামের নামে মামলা দায়ের করেন । ঘটনায় জড়িত হাসপাতাল এলাকার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ( ৩০) নামের এক জনকে রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলে এলাহী মামালা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জামান, মব সৃষ্টি করে হাসপাতালে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।