বেতাগী (বরগুনা) : পুরোদমে শুরু হয়েছে আমন চাষাবাদ -সংবাদ
বেতাগীতে মৌসুমী রোপা আমন ধান চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদের জমিতে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। অনেক স্থানে ধানের চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই এ চাষাবাদে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে এখন পুরোদমে রোপণ শুরু করা হয়েছে।
এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এসব ধনের মধ্যে রয়েছে, ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশিয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন চাষাবাদে জমি প্রস্তুতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ শুরু হয়েছে এবং সেইসঙ্গে জমিতে ধানের চারা রোপণও শুরু করা হয়েছে। তবে টানা বর্ষণে এ চাষাবাদ এগিয়ে যাচ্ছে। অতি বর্ষণে অনেক কৃষকের বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। এতে অনেক স্থানে চারা সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বিশেষ করে শস্যভা-ার খ্যাত উল্লেখিত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদে কামলা সংকটের সৃষ্টি ও মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ রোপা আমন চাষাবাদও শুরু করা হয়েছে।
এদিকে এ চাষাবাদের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ বপণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ১ পণ (৮০ তার) ধানের চারা সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক এলাকায় এককাঠি বীজ (২৬ কেজিতে এককাঠি বীজ) দাম ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার হোসনাবাদ জলিশা গ্রামের কৃষক বারেক হাওলাদার (৭২) বলেন, আমন বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বীজের দাম চড়া।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবাহান মৃধা (৬৮) বলেন, এই বছর অতিবৃষ্টির কারণে বীজ রোপনের শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলে দৈনিক মজুরি দিতে হয় ১০০০-১২০০ টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রোপা আমন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে বীজতলা কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা তেমন নেই। চলতি মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ শেষ হবে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বেতাগী (বরগুনা) : পুরোদমে শুরু হয়েছে আমন চাষাবাদ -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেতাগীতে মৌসুমী রোপা আমন ধান চাষাবাদ পুরোদমে শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদের জমিতে ধানের চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। অনেক স্থানে ধানের চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগী উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যেই এ চাষাবাদে বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে এখন পুরোদমে রোপণ শুরু করা হয়েছে।
এই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জাতের রোপা আমন ধানের চারা জমিতে রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এসব ধনের মধ্যে রয়েছে, ব্রি ধান ৭১, ৭৫, ৪৯, ১০৩ এবং দেশিয় জাতের ধানের চারাও রোপণ করা হচ্ছে। এ চাষাবাদে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, গত মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে রোপা আমন চাষাবাদে জমি প্রস্তুতে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ শুরু হয়েছে এবং সেইসঙ্গে জমিতে ধানের চারা রোপণও শুরু করা হয়েছে। তবে টানা বর্ষণে এ চাষাবাদ এগিয়ে যাচ্ছে। অতি বর্ষণে অনেক কৃষকের বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে। এতে অনেক স্থানে চারা সংকট ও তার মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। বিশেষ করে শস্যভা-ার খ্যাত উল্লেখিত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ চাষাবাদে কামলা সংকটের সৃষ্টি ও মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে এ রোপা আমন চাষাবাদও শুরু করা হয়েছে।
এদিকে এ চাষাবাদের জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বীজ বপণ করা হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ১ পণ (৮০ তার) ধানের চারা সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার অনেক এলাকায় এককাঠি বীজ (২৬ কেজিতে এককাঠি বীজ) দাম ১৭ হাজার থেকে ১৮ হাজার টাকা। এ কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার হোসনাবাদ জলিশা গ্রামের কৃষক বারেক হাওলাদার (৭২) বলেন, আমন বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বাজারে বীজের দাম চড়া।
বেতাগী সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবাহান মৃধা (৬৮) বলেন, এই বছর অতিবৃষ্টির কারণে বীজ রোপনের শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু শ্রমিক পাওয়া গেলে দৈনিক মজুরি দিতে হয় ১০০০-১২০০ টাকা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কৃষিকর্তা তানজিলা আহমেদ বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রোপা আমন চাষাবাদ শুরু হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে বীজতলা কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে চারা সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা তেমন নেই। চলতি মাসের শেষের দিকে এ চাষাবাদ শেষ হবে এবং এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।