alt

news » bangladesh

বারনই ও হোজা নদীর বিষাক্ত বর্জ্যে হুমকিতে পবিবেশ ও জনস্বাস্থ্য

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী : বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে উঠছে বারনই নদী -সংবাদ

রাজশাহী মহানগরীর বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে বারনই নদী। এই দূষিত পানি ব্যবহার করে নদী পাড়ের রাজশাহী ও নাটোরের ৭ উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। নদীতে গোসল করে কিংবা দৈনন্দিন কাজে এর পানি ব্যবহার করে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন চর্মরোগে। দূষণের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশু ও ফসলের মাঠে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীববৈচিত্র।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত রোববার পবার নওহাটা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী এক চর্মরোগ চিকিৎসা ক্যাম্প। রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয় ও পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই উদ্যোগে সকাল থেকেই ঢল নামে শত শত অসহায় রোগীর।

ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা নওহাটার পূর্ব পুঠিয়াপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, আগে নিয়মিত বারনই নদীতে গোসল করতাম। একদিন নদীর মরা মাছ রান্না করে খেয়েছিলাম। তারপর থেকেই এই চুলকানি রোগে ভুগছি। চামড়া উঠে যাচ্ছে, অসহ্য যন্ত্রণা। একই এলাকার নূরজাহান বেগম জানান, নদীতে গোসল করার পর থেকেই তার শরীরে দাউদের মতো দাগ হয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।

মহানগরীর পয়নিষ্কাশন, হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং কলকারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত বর্জ্য দুটি প্রধান খালের মাধ্যমে সরাসরি বারনই নদীতে যাচ্ছে। ফলে পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা, পুঠিয়া এবং নাটোরের দুটি উপজেলার নদীপাড়ের গ্রামগুলোতে চর্মরোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এসআইএম রাজিউল করিম বলেন, এখানে আসা অধিকাংশ রোগীই জানিয়েছেন, নদীর পানি ব্যবহার ও মাছ খাওয়ার কারণে তাদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরও ক্যাম্প করা হবে।

নদী দূষণের কারণে শুধু মানুষই নয়, বিপন্ন হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকাও। নওহাটার জেলে প্রফুল জানান, কয়েক বছর ধরে বিষাক্ত পানিতে নদী-নালা, খাল-বিলের মাছ মরে যাচ্ছে। সরকারিভাবে পোনা ছাড়লেও তা বাঁচে না। যে খালের মাছ ধরে একসময় সংসার চলত, এখন সেই খালের পানি শরীরে লাগলেই ঘা-চুলকানি হয়।

নদী গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার উচিত নগরীর তরল বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে ফেলা। তা না হলে আগামীতে আরও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, তরল বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতার দিকে তাকিয়ে না থেকে জরুরি ভিত্তিতে নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে যুতসই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, নতুবা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নেবে ।

এদিকে রাজশাহী হোজা নদীর যৌবন ফিরিয় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। গত রোববার বিকালে রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোজা নদীটি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া এলাকায় মুসাখান নদে গিয়ে পড়েছে। এর দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার। এক সময় নদীটি দিয়ে নৌকা চলাচল করত। নদীতে ধরা পড়ত প্রচুর মাছ। নদীর সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। কিন্তু এখন এসব শুধুই অতীত। অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে নদীর উপর নির্ধারিত প্রস্থের তুলনায় অনেক ছোট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নদীটি ভরাট হয়ে গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দখল-দূষণে হুমকির মুখে পড়েছে নদীটির অস্তিত্ব। এর মধ্যে ৯ কিলোমিটারেই পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। অনেক স্থান দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। আবার ফলিয়ার বিল অংশে নদীর আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পুকুর করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌরসভার সিংগাবাজার অংশের নদীর দুই পাশে পৌর এলাকার সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে ওই সেতুর দুই পাশের অনেক জমি ভরাট হয়ে গেছে। কোনো বর্জ্য নদীতে ফেলার নিয়ম নেই। অথচ নদীতে বর্জ্য ফেলছে।

তারা দাবি করেন, নদীটার খনন দরকার, সেই সাথে নদীর সংযোগ খালগুলো পুনঃখনন করা হলে অত্র এলাকার জীববৈচিত্র ব্যাপক প্রাণচঞ্চল্যতা ফিরে আসবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সমন্বয়ই পারবে হোজা নদীর যৌবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

ছবি

খিলগাঁওয়ে দুই ট্রাফিক পুলিশকে মারধর, চিকিৎসক আটক

ছবি

শ্রমিকদের দাবি: শান্তিপূর্ণ অবস্থানে হামলা, নিহতের দায় সরকারকে নিতে হবে

ছবি

ধোবাউড়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তলন, জেল জরিমানা

ছবি

নাটোরে নিজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

ছবি

যশোর জেনারেল হাসপাতালে বক্ষব্যাধির ডাক্তার নেই

ছবি

বরেন্দ্র অঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী ধান চাষ সম্প্রসারণে মাঠ দিবস

ছবি

ভাঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত

ছবি

যশোরে মামলায় আটকে আছে ব্রিজ নির্মাণ, চলাচলে দুর্ভোগ

ছবি

বাঁকখালীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান: দখলবাজদের বাঁধায় পুলিশ আহত, আটক ৩

ছবি

চারদিন বন্ধ থাকার পর মধ্যপাড়া পাথরখনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন শুরু

ছবি

কাঞ্চন পৌরসভার ডাস্টবিন অকেজো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বন্ধ : দুর্ভোগ চরমে

ছবি

আদমদীঘিতে চার চোরাই গরুসহ দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

পাঁচবিবিতে বিদ্যুৎষ্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

ছবি

সিরাজদিখানে কাউসার হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

শত্রুতার জেরে কাজিপুরে ধানের চারা নষ্ট

ছবি

বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবিতে এক জেলে নিখোঁজ

ছবি

সারিয়াকান্দিতে গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার

ছবি

কালিয়াকৈরে বন বিভাগের উচ্ছেদ অভিযান

ছবি

ভারত থেকে প্রবেশকালে বাংলাদেশি নাগরিক আটক

ছবি

সড়কের ডিভাইডারে শুকানো হচ্ছে পাট, দুর্ঘটনার আশংকা

ছবি

পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন

ছবি

বেতাগীতে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

বাঁকখালী নদীতে অভিযানে ৫ একর জায়গা উদ্ধার

ছবি

নোয়াখালীতে অপহরণের ৬ মাস পর ছাত্রী উদ্ধার

ছবি

ঘোড়াঘাটে চাল বিতরণের উদ্বোধন

ছবি

মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জাল জব্দ করে ধ্বংস

ছবি

ভাঙন রোধে ফেলানো হচ্ছে জিওব্যাগ

ছবি

পাটকাঠির বিনিময়ে আঁশ ছাড়াচ্ছেন নারীরা

ছবি

পবিপ্রবিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ছবি

রাউজানে ৬ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

ছবি

ডিমলা হাসপাতালে হামলার ঘটনায় ২০ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ১

ছবি

সালথায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যায় স্বামী আটক

ছবি

বেনাপোল চেকপোস্টে কর্মহীন নারীদের ভিড়

ছবি

বেগমগঞ্জে ইউএনও সাংবাদিক মতবিনিময় সভা

ছবি

প্রবাসীর বাড়ি নির্মাণে চাঁদাবাজির অভিযোগ

ছবি

ডিমলায় বিপুল পরিমাণ অবৈধ জাল বিনষ্ট

tab

news » bangladesh

বারনই ও হোজা নদীর বিষাক্ত বর্জ্যে হুমকিতে পবিবেশ ও জনস্বাস্থ্য

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রাজশাহী : বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে উঠছে বারনই নদী -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজশাহী মহানগরীর বর্জ্যে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে বারনই নদী। এই দূষিত পানি ব্যবহার করে নদী পাড়ের রাজশাহী ও নাটোরের ৭ উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। নদীতে গোসল করে কিংবা দৈনন্দিন কাজে এর পানি ব্যবহার করে তারা আক্রান্ত হচ্ছেন চর্মরোগে। দূষণের প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশু ও ফসলের মাঠে। হুমকির মুখে পড়েছে নদীর জীববৈচিত্র।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় গত রোববার পবার নওহাটা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী এক চর্মরোগ চিকিৎসা ক্যাম্প। রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয় ও পবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এই উদ্যোগে সকাল থেকেই ঢল নামে শত শত অসহায় রোগীর।

ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা নওহাটার পূর্ব পুঠিয়াপাড়া গ্রামের হেলাল উদ্দিন বলেন, আগে নিয়মিত বারনই নদীতে গোসল করতাম। একদিন নদীর মরা মাছ রান্না করে খেয়েছিলাম। তারপর থেকেই এই চুলকানি রোগে ভুগছি। চামড়া উঠে যাচ্ছে, অসহ্য যন্ত্রণা। একই এলাকার নূরজাহান বেগম জানান, নদীতে গোসল করার পর থেকেই তার শরীরে দাউদের মতো দাগ হয়েছে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না।

মহানগরীর পয়নিষ্কাশন, হাসপাতাল-ক্লিনিক এবং কলকারখানার রাসায়নিক মিশ্রিত বিষাক্ত বর্জ্য দুটি প্রধান খালের মাধ্যমে সরাসরি বারনই নদীতে যাচ্ছে। ফলে পবা, মোহনপুর, দুর্গাপুর, বাগমারা, পুঠিয়া এবং নাটোরের দুটি উপজেলার নদীপাড়ের গ্রামগুলোতে চর্মরোগের পাশাপাশি ডায়রিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়ছে।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এসআইএম রাজিউল করিম বলেন, এখানে আসা অধিকাংশ রোগীই জানিয়েছেন, নদীর পানি ব্যবহার ও মাছ খাওয়ার কারণে তাদের চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে আরও ক্যাম্প করা হবে।

নদী দূষণের কারণে শুধু মানুষই নয়, বিপন্ন হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের জেলে সম্প্রদায়ের জীবন-জীবিকাও। নওহাটার জেলে প্রফুল জানান, কয়েক বছর ধরে বিষাক্ত পানিতে নদী-নালা, খাল-বিলের মাছ মরে যাচ্ছে। সরকারিভাবে পোনা ছাড়লেও তা বাঁচে না। যে খালের মাছ ধরে একসময় সংসার চলত, এখন সেই খালের পানি শরীরে লাগলেই ঘা-চুলকানি হয়।

নদী গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, রাজশাহী সিটি করপোরেশন ও ওয়াসার উচিত নগরীর তরল বর্জ্য পরিশোধন করে নদীতে ফেলা। তা না হলে আগামীতে আরও বড় বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।

রাজশাহী ওয়াসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, তরল বর্জ্য শোধনাগার নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতার দিকে তাকিয়ে না থেকে জরুরি ভিত্তিতে নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধে যুতসই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, নতুবা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের এই সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নেবে ।

এদিকে রাজশাহী হোজা নদীর যৌবন ফিরিয় দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। গত রোববার বিকালে রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. জামাত খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হোজা নদীটি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুঠিয়া উপজেলার ঝলমলিয়া এলাকায় মুসাখান নদে গিয়ে পড়েছে। এর দৈর্ঘ্য ২৬ কিলোমিটার। এক সময় নদীটি দিয়ে নৌকা চলাচল করত। নদীতে ধরা পড়ত প্রচুর মাছ। নদীর সৌন্দর্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যেত। কিন্তু এখন এসব শুধুই অতীত। অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন সময়ে নদীর উপর নির্ধারিত প্রস্থের তুলনায় অনেক ছোট দৈর্ঘ্যের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে, এতে নদীর স্বাভাবিক পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ময়লা-আবর্জনা ফেলায় নদীটি ভরাট হয়ে গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দখল-দূষণে হুমকির মুখে পড়েছে নদীটির অস্তিত্ব। এর মধ্যে ৯ কিলোমিটারেই পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। অনেক স্থান দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ স্থাপনা। আবার ফলিয়ার বিল অংশে নদীর আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে পুকুর করে মাছ চাষ করা হচ্ছে। এছাড়াও পৌরসভার সিংগাবাজার অংশের নদীর দুই পাশে পৌর এলাকার সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। এতে ওই সেতুর দুই পাশের অনেক জমি ভরাট হয়ে গেছে। কোনো বর্জ্য নদীতে ফেলার নিয়ম নেই। অথচ নদীতে বর্জ্য ফেলছে।

তারা দাবি করেন, নদীটার খনন দরকার, সেই সাথে নদীর সংযোগ খালগুলো পুনঃখনন করা হলে অত্র এলাকার জীববৈচিত্র ব্যাপক প্রাণচঞ্চল্যতা ফিরে আসবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের সমন্বয়ই পারবে হোজা নদীর যৌবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তারা।

back to top