কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তরাঘাট মোহনায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কথিত জমির মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ঘটনাস্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
জমির মালিকানা দাবিদাররা ইট ছুঁড়লে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে আব্দুর রহিম নামের একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযানের সময় এক কথিত ভূমি মালিককে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করতে দেখা গেলে তাকেসহ আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানিয়েছেন, সরকারি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোট ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য আব্দুর রহিম বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট বাঁকখালী নদীর ভরাট অংশ দখল করে লাখ লাখ টাকায় প্লট বিক্রি করেছিল। সেই জমিতে ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ শত শত স্থাপনা। এর ফলে নৌবন্দর স্থাপনের জমি বেদখল হয়েছে এবং নদীর স্রোত সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
মামলার জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার সক্রিয় ভূমিকায় এই অভিযান শুরু হয়।
তবে অনেকে বলছেন, আইনের ভেতরে থেকে বাঁকখালী নদীর দখল উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের প্রশ্ন, যাদের বৈধ খতিয়ান রয়েছে তাদের উচ্ছেদ কি আইনসম্মত? আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি ছাড়া উচ্ছেদ করলে তা আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অভিযানের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর কস্তরাঘাট মোহনায় আজ দ্বিতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কথিত জমির মালিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে ঘটনাস্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
জমির মালিকানা দাবিদাররা ইট ছুঁড়লে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। তাদের মধ্যে আব্দুর রহিম নামের একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। অভিযানের সময় এক কথিত ভূমি মালিককে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি করতে দেখা গেলে তাকেসহ আরও দুইজনকে আটক করা হয়।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান জানিয়েছেন, সরকারি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মোট ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্য আব্দুর রহিম বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট বাঁকখালী নদীর ভরাট অংশ দখল করে লাখ লাখ টাকায় প্লট বিক্রি করেছিল। সেই জমিতে ইতোমধ্যেই গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ শত শত স্থাপনা। এর ফলে নৌবন্দর স্থাপনের জমি বেদখল হয়েছে এবং নদীর স্রোত সংকুচিত হয়ে পড়েছে।
মামলার জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার সক্রিয় ভূমিকায় এই অভিযান শুরু হয়।
তবে অনেকে বলছেন, আইনের ভেতরে থেকে বাঁকখালী নদীর দখল উচ্ছেদ করতে হবে। তাদের প্রশ্ন, যাদের বৈধ খতিয়ান রয়েছে তাদের উচ্ছেদ কি আইনসম্মত? আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি ছাড়া উচ্ছেদ করলে তা আইনি জটিলতা সৃষ্টি করবে এবং অভিযানের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।