রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গাড়ি ছাড়তে ‘দেরি হওয়ায়’ ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বেলা ৩টার দিকের এ ঘটনার পর আহত ট্রাফিকের দুই সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। আহতরা হলেন- এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম।
ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকা এমনিতেই খুব ব্যস্ত থাকে। ট্রাফিক সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই সিগনাল সামলাচ্ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী এক এক করে সিগনাল ছাড়ছিলেন। ‘সিগনালের একপাশ আটকে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল, এমন সময় সিগনালে আটকে থাকা এক চিকিৎসকের গাড়ি ছাড়ার জন্য তাড়া দেয়া হচ্ছিল। তার দিকে সিগনাল ছাড়লে ওই চিকিৎসকের গাড়ি সামনে আসার পর আবার আটকে দিয়ে আরেক পাশের সিগনাল ছাড়েন ট্রাফিক সদস্যরা।’
ওই চিকিৎসক গাড়ি নিয়ে বাসাবোর দিক থেকে খিদমা হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তখন ওই চিকিৎসক আমার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করে। টাকা নিয়ে গাড়ি ছাড়েন- এমন কথা বলতে থাকে। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই চিকিৎসক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যান।’
ফজলুল করিম বলেন, এর কিছুক্ষণ পরেই চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন ওই চিকিৎসক। তারা ট্রাফিক পুলিশের ওই দুই সদস্যকে কিল-ঘুষি ও লাথিসহ বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামের ওই চিকিৎসক মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত, যাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ফজলুল করিম। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘প্রথমে তারা এসে কনস্টেবল রবিউলে গোপনাঙ্গে লাথি মারে। এরপর উপর্যুপরি লাথি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা এএসআই রবিউল হাসান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।’
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়ে খিলগাঁও থানার এসআই মো. গুলজার হোসেন বলেন,‘আমরা তার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বলেছেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, কথাকাটাকাটি হয়েছে, এজন্য সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মারধরে অংশ নেয়া বাকিদের বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’
মঙ্গলবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রাজধানীর খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকায় গাড়ি ছাড়তে ‘দেরি হওয়ায়’ ট্রাফিক পুলিশের দুই সদস্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার,(০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বেলা ৩টার দিকের এ ঘটনার পর আহত ট্রাফিকের দুই সদস্যকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর তথ্য দিয়েছে পুলিশ। আহতরা হলেন- এএসআই রবিউল হাসান ও কনস্টেবল রবিউল ইসলাম।
ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ফজলুল করিম বলেন, ‘খিলগাঁও রেলক্রসিং এলাকা এমনিতেই খুব ব্যস্ত থাকে। ট্রাফিক সদস্যরা স্বাভাবিকভাবেই সিগনাল সামলাচ্ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী এক এক করে সিগনাল ছাড়ছিলেন। ‘সিগনালের একপাশ আটকে আরেক পাশের গাড়ি ছাড়া হচ্ছিল, এমন সময় সিগনালে আটকে থাকা এক চিকিৎসকের গাড়ি ছাড়ার জন্য তাড়া দেয়া হচ্ছিল। তার দিকে সিগনাল ছাড়লে ওই চিকিৎসকের গাড়ি সামনে আসার পর আবার আটকে দিয়ে আরেক পাশের সিগনাল ছাড়েন ট্রাফিক সদস্যরা।’
ওই চিকিৎসক গাড়ি নিয়ে বাসাবোর দিক থেকে খিদমা হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তখন ওই চিকিৎসক আমার ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রাগারাগি করে। টাকা নিয়ে গাড়ি ছাড়েন- এমন কথা বলতে থাকে। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে ওই চিকিৎসক ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ‘দেখে নেয়ার’ হুমকি দিয়ে চলে যান।’
ফজলুল করিম বলেন, এর কিছুক্ষণ পরেই চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে ১০ থেকে ১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসেন ওই চিকিৎসক। তারা ট্রাফিক পুলিশের ওই দুই সদস্যকে কিল-ঘুষি ও লাথিসহ বেধড়ক মারধর করেন। পরে তাদেরকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নামের ওই চিকিৎসক মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত, যাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান ফজলুল করিম। ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘প্রথমে তারা এসে কনস্টেবল রবিউলে গোপনাঙ্গে লাথি মারে। এরপর উপর্যুপরি লাথি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। সেখানে দায়িত্বে থাকা এএসআই রবিউল হাসান এগিয়ে গেলে তাকেও মারধর করা হয়।’
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেন তিনি। চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনকে হেফাজতে নেয়ার কথা জানিয়ে খিলগাঁও থানার এসআই মো. গুলজার হোসেন বলেন,‘আমরা তার সঙ্গে কথা বলছি। তিনি বলেছেন, ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে, কথাকাটাকাটি হয়েছে, এজন্য সে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। মারধরে অংশ নেয়া বাকিদের বিষয়েও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।’