ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহমিদা তাহসিন কেয়া হত্যা মামলায় তার স্বামী সিফাত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, ‘ভুক্তভোগী কেয়াকে তার স্বামী সিফাত আলী হত্যা করেছে। এজন্য আমরা তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে,‘১৩ বছর আগে আসামি সিফাত আলীর সঙ্গে কেয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন ও মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে ভুগছিলেন কেয়া। ‘গত ১৪ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ২টার মধ্যে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কেয়ার স্বামী সিফাত আলী ও আরও কয়েকজন মিলে তাকে হত্যা করে।’ ?ঘটনার পর রাতে সিফাত আলী তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানিয়েছেন ,’কেয়া নেই।’ পরবর্তীতে তারা কেয়ার খোঁজে বের হলে, সিফাত প্রথমে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেন।
পরে মত পরিবর্তন করে বিআরবি হাসপাতালে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, কেয়া মারা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেয়ার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেয়ার মরদেহে গলা, ডান বাহু এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কালশিরা দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় কেয়ার মা নাজমা বেগম মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ফাহমিদা তাহসিন কেয়া হত্যা মামলায় তার স্বামী সিফাত আলীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মিনহাজুর রহমান এ আদেশ দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বলেন, ‘ভুক্তভোগী কেয়াকে তার স্বামী সিফাত আলী হত্যা করেছে। এজন্য আমরা তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করি। আদালত শুনানি শেষে আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।’
মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে,‘১৩ বছর আগে আসামি সিফাত আলীর সঙ্গে কেয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ, শারীরিক নির্যাতন ও মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতনে ভুগছিলেন কেয়া। ‘গত ১৪ আগস্ট রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ২টার মধ্যে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকার একটি ফ্ল্যাটে কেয়ার স্বামী সিফাত আলী ও আরও কয়েকজন মিলে তাকে হত্যা করে।’ ?ঘটনার পর রাতে সিফাত আলী তার শাশুড়ি নাজমা বেগমকে ফোন করে জানিয়েছেন ,’কেয়া নেই।’ পরবর্তীতে তারা কেয়ার খোঁজে বের হলে, সিফাত প্রথমে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলেন।
পরে মত পরিবর্তন করে বিআরবি হাসপাতালে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন, কেয়া মারা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেয়ার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কেয়ার মরদেহে গলা, ডান বাহু এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও কালশিরা দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় কেয়ার মা নাজমা বেগম মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।