alt

news » bangladesh

সিলেটের সাদাপাথর লুট: প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করল দুদক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ থেকে পাথর লুটের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দায় খতিয়ে দেখতে ‘প্রকাশ্যে’ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। অভিযানের শেষে প্রতিবেদনে তারা অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছেন এবং কমিশন এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার পর অনুসন্ধান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

আগের অভিযানের প্রতিবেদনের বরাতে সাদাপাথর লুটের পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধান কাদের বিরুদ্ধে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “প্রকাশ্য অনুসন্ধানটি করা হচ্ছে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য। নথিপত্রের ভিত্তিতে যাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হবে।”

সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) দুদকের কমিশন সভায় বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য উত্থাপন করা হলে কমিশন সেটি প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়।”

সাদাপাথর থেকে পাথর লুট নিয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ওসিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন।”

পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, অন্যান্য ব্যক্তি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার তথ্য উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।

গত ১৩ অগাস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি দল সাদাপাথর পরিদর্শন করে। পরে তারা ১৬ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড করা হয়। পরিবহন ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মাঝে বণ্টন করে নেয়।

এছাড়া প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পুলিশের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা বণ্টন হত। এছাড়া অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা হতে এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ টাকা এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পায় ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রত্যেক ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে বলে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ছবি

যশোরে ৫ মাসে ৩৫ খুন ও ধর্ষণের শিকার ২২ জন

ছবি

চট্টগ্রাম ওয়াসা: লোকবল সংকটে ভোগান্তি, ১১১৯ পদের স্থলে মাত্র ৫০২ জন

ছবি

ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে গেল ট্রাক, চালক ও হেলপার নিহত

ছবি

বেতন-ভাতা দাবি: ৪ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন শ্রমিকরা

ছবি

রেলইঞ্জিন সংকট দেখিয়ে জ্বালানি তেল আসছে না রংপুর অঞ্চলে

ছবি

কথা কাটাকাটির সময় হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু ১

ছবি

পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে ডাকাতি

ছবি

বেগমগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রি, ২ জন দণ্ডিত

ছবি

মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গাছ ও সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ

ছবি

বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচি সুন্দরগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি

ছবি

রাণীনগরে নৌকা ডুবে জেলে মৃত্যু

ছবি

টেকনাফে ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ছবি

সাতছড়ি উদ্যানে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবি

ছবি

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগস্টে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন

ছবি

স্কুল ভবনের ছাদের পলেস্তরা খসে ছাত্র-শিক্ষক আহত

ছবি

গ্রামবাসীর উদ্যোগে বিদ্যালয় সংস্কার

ছবি

পেট্রাপোলে ১৫ কোটি টাকার পণ্য আটক

ছবি

মান্দা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

ছবি

ডোমারে মাদকব্যবসায়ী মা ও ছেলে আটক

ছবি

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

ছবি

পটিয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালক খুন

ছবি

বিসিকের ওএসডি হওয়া সেই কর্মকর্তা জামিনে এসে আবারো স্ত্রীকে হুমকি

ছবি

রায়পুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

আশাশুনিতে সড়কের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ছবি

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় শিক্ষক বরখাস্ত

ছবি

ইতিহাসের সাক্ষী শ্রীমঙ্গলের বনগাঁও জমিদার বাড়ি

ছবি

অসময়ে তরমুজে সফল বটিয়াঘাটার কৃষক

ছবি

আগষ্টে চট্টগ্রাম বন্দর এনসিটিতে ৭৫ হাজার ৫৭৮ কনটেইনার বক্স হ্যান্ডলিং

ছবি

চুইঝাল আবাদে ঝুঁকছে লালমনিরহাটের মানুষ

ছবি

ফরিদপুরে বিনা টাকায় কনস্টেবল নিয়োগ

ছবি

মোহনগঞ্জে হারিয়ে যাচ্ছে পরিবেশ বান্ধব তাল গাছ

ছবি

ছিনতাই করা কার বিক্রয়ের সময় আটক ৫

ছবি

আদমদীঘিতে সরকারি চাল জব্দের পাঁচদিন পর মামলা

ছবি

সারিয়াকান্দিতে গ্রোয়েন বাঁধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

বেতাগী পৌরসভার টাউনব্রিজ ঢালে সড়কে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তি

tab

news » bangladesh

সিলেটের সাদাপাথর লুট: প্রকাশ্যে অনুসন্ধান শুরু করল দুদক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেটের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র ‘সাদাপাথর’ থেকে পাথর লুটের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের দায় খতিয়ে দেখতে ‘প্রকাশ্যে’ অনুসন্ধান শুরুর তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন। এ বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে কমিশনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমাদের পক্ষ থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। অভিযানের শেষে প্রতিবেদনে তারা অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছেন এবং কমিশন এ বিষয়ে পর্যালোচনা করার পর অনুসন্ধান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

আগের অভিযানের প্রতিবেদনের বরাতে সাদাপাথর লুটের পেছনে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধান কাদের বিরুদ্ধে হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, “প্রকাশ্য অনুসন্ধানটি করা হচ্ছে দায়-দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য। নথিপত্রের ভিত্তিতে যাদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান পরিচালনা করা হবে।”

সংস্থার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) দুদকের কমিশন সভায় বিষয়টি অনুসন্ধানের জন্য উত্থাপন করা হলে কমিশন সেটি প্রকাশ্যে অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত দেয়।”

সাদাপাথর থেকে পাথর লুট নিয়ে দুদকের এনফোর্সমেন্ট অভিযানের প্রতিবেদনে বলা হয়, “ওসিসহ সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সদস্যরা অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের কমিশন গ্রহণ করে সাদাপাথর লুটপাটে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন।”

পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, অন্যান্য ব্যক্তি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ৫৩ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়ার তথ্য উঠে আসে ওই প্রতিবেদনে।

গত ১৩ অগাস্ট দুদকের সিলেট কার্যালয়ের উপপরিচালক রাফি মো. নাজমুস সাদাতের নেতৃত্বে একটি দল সাদাপাথর পরিদর্শন করে। পরে তারা ১৬ আগস্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে উত্তোলিত পাথর প্রতি ট্রাকে প্রায় ৫০০ ঘনফুট করে লোড করা হয়। পরিবহন ভাড়া ছাড়া প্রতি ট্রাকের পাথরের দাম ধরা হয় ৯১ হাজার টাকা। এর মধ্যে প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকা পুলিশ ও প্রশাসনের জন্য আলাদা করা হয়। বাকি ৮১ হাজার টাকা অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের মাঝে বণ্টন করে নেয়।

এছাড়া প্রতি ট্রাক থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে পুলিশের জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রশাসনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা বণ্টন হত। এছাড়া অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত প্রতিটি বারকি নৌকা হতে এক হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। যার মধ্যে পুলিশ বিভাগ পায় ৫০০ টাকা এবং প্রশাসন (ডিসি ও ইউএনও) পায় ৫০০ টাকা। পুলিশ নির্দিষ্ট সোর্সের মাধ্যমে প্রত্যেক ট্রাক ও নৌকা থেকে এসব চাঁদা বা অবৈধ অর্থ সংগ্রহ করে বলে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

back to top