দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মাণ করা ক্লাস রুম -সংবাদ
চলতি বছরের মে মাসে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হয় চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জায়গার অভাবে ঝড়ে পড়তে বসেছিলো পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন সময় পার্শ্ববর্তী ফাড়াজিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা গ্রামীণ শিশুদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে স্কুলটিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করেন। এবার সংস্কারও করে দিলেন।
শিক্ষার্থীরা পাকা দালান হারিয়ে একটি বেড়াহীন ছাপরা ঘরে ক্লাস করে আসছিলো। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতেই ফাড়াজিপাড়াবাসী ছাপরা ঘরটির পাশেই আরেকটি দোচালা ঘর নির্মাণ করে দিলেন ।
ফাড়াজিপাড়ার বাসিন্দা লুৎফর রহমান ভান্ডারী, জাহিদ, রফিকুল ইসলাম, নাছিমা, সাজেদা, আজেদাসহ অনেকের ভাষ্য, বিদ্যালয়টিতে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই এলাকার (ফাড়াজিপাড়ার)। ছাপরা ঘরটিতে রোদ, বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসে বাচ্চারা কষ্ট করে । বৃষ্টির দিনে বই ভিজে যায়, বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে । স্যেঁতস্যেঁতে পরিবেশে বাচ্চাদের পায়ে ঘা হয়ে গেছে । তাই এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে ছাপরা ঘরটির পাশে আরেকটি দোচালা ক্লাসরুম উত্তোলন করে দিয়েছে ।
দোচালা ক্লাস রুম পেয়ে শিক্ষার্থীরা মহাখুশি। ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া জান্নাত কণিকা, ৪র্থ শ্রেণীর ফেরদৌস, মো. জাহিদ, হাবিবা জান্নাত হাসি, ৫ম শ্রেণীর নয়ন মিয়া, হুমাইয়া জান্নাত হিমু, সিহাব মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করে বলে, এখন আর বৃষ্টিতে বই ভিজবে না , বৃষ্টি এলে দৌড় দিয়ে ক্লাসরুম ছাড়তে হবেনা। রোদে কষ্ট হবে না । আরামে বসে বসে ক্লাস করতে পারবো ।
প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন সিদ্দিকা বলেন, ভাঙা ঘরে বাচ্চাদের পড়াশুনা করতে কষ্ট হচ্ছে। গ্রামবাসীর সংস্কার করে দেওয়া দোচালা ঘরটি ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়টির জায়গা নির্ধারণ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান করে খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টির একটি পরিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ তৈরি করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। এলাকাবাসী সবাই মিলে সহায়তা করলে স্কুলের উন্নয়ন আরো দ্রুত সম্ভব। স্কুলের সকল সমস্যা সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত সমাধান করা হবে।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মাণ করা ক্লাস রুম -সংবাদ
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
চলতি বছরের মে মাসে যমুনা নদীর ভাঙনের শিকার হয় চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জায়গার অভাবে ঝড়ে পড়তে বসেছিলো পুরো বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এমন সময় পার্শ্ববর্তী ফাড়াজিপাড়া এলাকার বাসিন্দারা গ্রামীণ শিশুদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করে স্কুলটিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বিদ্যালয়ের নামে জমি দান করেন। এবার সংস্কারও করে দিলেন।
শিক্ষার্থীরা পাকা দালান হারিয়ে একটি বেড়াহীন ছাপরা ঘরে ক্লাস করে আসছিলো। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব করতেই ফাড়াজিপাড়াবাসী ছাপরা ঘরটির পাশেই আরেকটি দোচালা ঘর নির্মাণ করে দিলেন ।
ফাড়াজিপাড়ার বাসিন্দা লুৎফর রহমান ভান্ডারী, জাহিদ, রফিকুল ইসলাম, নাছিমা, সাজেদা, আজেদাসহ অনেকের ভাষ্য, বিদ্যালয়টিতে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী এই এলাকার (ফাড়াজিপাড়ার)। ছাপরা ঘরটিতে রোদ, বৃষ্টি এবং ঝড়ো বাতাসে বাচ্চারা কষ্ট করে । বৃষ্টির দিনে বই ভিজে যায়, বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে । স্যেঁতস্যেঁতে পরিবেশে বাচ্চাদের পায়ে ঘা হয়ে গেছে । তাই এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে ছাপরা ঘরটির পাশে আরেকটি দোচালা ক্লাসরুম উত্তোলন করে দিয়েছে ।
দোচালা ক্লাস রুম পেয়ে শিক্ষার্থীরা মহাখুশি। ৩য় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাদিয়া জান্নাত কণিকা, ৪র্থ শ্রেণীর ফেরদৌস, মো. জাহিদ, হাবিবা জান্নাত হাসি, ৫ম শ্রেণীর নয়ন মিয়া, হুমাইয়া জান্নাত হিমু, সিহাব মিয়াসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আনন্দ প্রকাশ করে বলে, এখন আর বৃষ্টিতে বই ভিজবে না , বৃষ্টি এলে দৌড় দিয়ে ক্লাসরুম ছাড়তে হবেনা। রোদে কষ্ট হবে না । আরামে বসে বসে ক্লাস করতে পারবো ।
প্রধান শিক্ষিকা ফাতেমা খাতুন সিদ্দিকা বলেন, ভাঙা ঘরে বাচ্চাদের পড়াশুনা করতে কষ্ট হচ্ছে। গ্রামবাসীর সংস্কার করে দেওয়া দোচালা ঘরটি ব্যবহার করলে শিক্ষার্থীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে ।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়টির জায়গা নির্ধারণ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সমস্যাগুলো সমাধান করে খুব শীঘ্রই বিদ্যালয়টির একটি পরিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবেশ তৈরি করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, শিশু শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা চিন্তা করে এলাকাবাসী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তা প্রশংসনীয়। এলাকাবাসী সবাই মিলে সহায়তা করলে স্কুলের উন্নয়ন আরো দ্রুত সম্ভব। স্কুলের সকল সমস্যা সরেজমিন তদন্ত করে দ্রুত সমাধান করা হবে।