রংপুর নগরীর একটি ফিলিং স্টেশন -সংবাদ
রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় রাষ্ট্রয়াত্ত জ্বালানি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা, পদ্মা ও যমুনার ডিপোতে তেলের মজুদ শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। তেল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফিলিং স্টেশনগুলো।
মজুদ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, বিপাকে ফিলিং স্টেশনগুলো
প্রায় ছয়শত শ্রমিক কর্মহীন, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ডিপো সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকটের কারণে তেল পরিবহণ করতে পারছে না। রেলের ইঞ্জিন সংকটে জ্বালানি তেল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। কবে নাগাদ জ্বালানি তেল আসবে তা কোনো কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
জানা গেছে, রংপুরের তিনটি জ্বালানি ডিপোতে মাসে অন্তত আড়াই কোটি লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম থেকে তেল সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ২১ লাখ লিটার। যা দিয়ে ২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
ফলে বাধ্য হয়ে কোনো কোনো ফিলিং স্টেশন বাঘাবাড়ি এবং পার্বতীপুর থেকে তেল এনে তাদের ফিলিং স্টেশন চালু রাখার চেষ্টা করছেন। এতে তাদের খরচ লাগছে অনেক বেশি।
চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আগে রেল পথে মাসে ৮/৯ র্যাক আসতো। প্রতিটি র্যাকে ২৭টি ওয়াগান থাকতো। বর্তমানে প্রতিমাসে এক থেকে দুটি র্যাক আসে। এ অবস্থা গত ৬ মাস ধরে চলে আসলেও রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জ্বালানি তেল মালিকদের।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের রংপুর রেলহেড ডিপোতে তেল সরবরাহ না থাকায় তেল সংকটে পড়েছে রংপুর বিভাগের অন্তত পাঁচ জেলা। ফলে গত কয়েক মাস ধরে এ ডিপোর অধীন পেট্রোল পাম্প মালিক ও এজেন্টদের চাহিদা মতো তেল সরবরাহ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এ অঞ্চলে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুরে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি আবেদন দিলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া গত ১৪ আগস্ট রংপুর ডিপোতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলার পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরেও লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্সের পত্রে উল্লেখ করা হয়, রংপুর ডিপো থেকে বিভাগের ৫টি জেলা রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং নীলফামারী জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম থেকে রেল পথে নিয়মিত তেল না আসার ফলে ডিলার ডিস্টিবিউটরদের চাহিদা মতো তেল সরবরাহ হচ্ছে না। যার ফলে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। রংপুরে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে একাধিক পাম্প মালিক জানান, রংপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল না থাকায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে পার্বতীপুর এবং বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তবে এতে পরিবহন বাবদ দ্বিগুণ খরচ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়াল পাওয়ার জটিলতাসহ জ্বালানি তেল নিয়ে ফিরে আসতে দুইদিনের বেশি সময় লাগছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. আজিজুর ইসলাম মিন্টু বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেল পথে থেল আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকপর্যায়ে তেল সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে দুই-একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ফিলিং স্টেশনের মালিক মঞ্জুর আজাদ বলেন, রংপুরের ডিপোতে তেল সংকট। বাঘাবাড়ি-পার্বতীপুর থেকে তেল এনে ফিলিং স্টেশন চালু রাখা হয়েছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে।
রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া লাল্লু বলেন, রংপুরে তেল না আসায় প্রায় ছয়শত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলে নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
রংপুর নগরীর একটি ফিলিং স্টেশন -সংবাদ
বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় রাষ্ট্রয়াত্ত জ্বালানি তেল বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান মেঘনা, পদ্মা ও যমুনার ডিপোতে তেলের মজুদ শূন্যের কোঠায় এসে ঠেকেছে। তেল না থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফিলিং স্টেশনগুলো।
মজুদ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে, বিপাকে ফিলিং স্টেশনগুলো
প্রায় ছয়শত শ্রমিক কর্মহীন, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পদ্মা, মেঘনা ও যমুনার ডিপো সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকটের কারণে তেল পরিবহণ করতে পারছে না। রেলের ইঞ্জিন সংকটে জ্বালানি তেল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। কবে নাগাদ জ্বালানি তেল আসবে তা কোনো কর্মকর্তারাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।
জানা গেছে, রংপুরের তিনটি জ্বালানি ডিপোতে মাসে অন্তত আড়াই কোটি লিটার তেলের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু আগস্ট মাসে চট্টগ্রাম থেকে তেল সরবরাহ করা হয়েছে মাত্র ২১ লাখ লিটার। যা দিয়ে ২ দিনের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
ফলে বাধ্য হয়ে কোনো কোনো ফিলিং স্টেশন বাঘাবাড়ি এবং পার্বতীপুর থেকে তেল এনে তাদের ফিলিং স্টেশন চালু রাখার চেষ্টা করছেন। এতে তাদের খরচ লাগছে অনেক বেশি।
চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ের মাধ্যমে তেল সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমনটা হয়েছে। আগে রেল পথে মাসে ৮/৯ র্যাক আসতো। প্রতিটি র্যাকে ২৭টি ওয়াগান থাকতো। বর্তমানে প্রতিমাসে এক থেকে দুটি র্যাক আসে। এ অবস্থা গত ৬ মাস ধরে চলে আসলেও রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জ্বালানি তেল মালিকদের।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স সূত্রে জানা গেছে, জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের রংপুর রেলহেড ডিপোতে তেল সরবরাহ না থাকায় তেল সংকটে পড়েছে রংপুর বিভাগের অন্তত পাঁচ জেলা। ফলে গত কয়েক মাস ধরে এ ডিপোর অধীন পেট্রোল পাম্প মালিক ও এজেন্টদের চাহিদা মতো তেল সরবরাহ করতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে এ অঞ্চলে জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুরে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর একটি আবেদন দিলেও কোনো কাজ হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া গত ১৪ আগস্ট রংপুর ডিপোতে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি তেল সরবরাহের দাবিতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলার পক্ষ থেকে বিভাগীয় কমিশনার বরাবরেও লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্সের পত্রে উল্লেখ করা হয়, রংপুর ডিপো থেকে বিভাগের ৫টি জেলা রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং নীলফামারী জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমান সময়ে চট্টগ্রাম থেকে রেল পথে নিয়মিত তেল না আসার ফলে ডিলার ডিস্টিবিউটরদের চাহিদা মতো তেল সরবরাহ হচ্ছে না। যার ফলে জ্বালানি সংকট তৈরি হয়েছে। রংপুরে জ্বালানি তেল সরবরাহ নিশ্চিত করা না গেলে খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
এ ব্যাপারে একাধিক পাম্প মালিক জানান, রংপুর ডিপোতে জ্বালানি তেল না থাকায় চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে পার্বতীপুর এবং বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। তবে এতে পরিবহন বাবদ দ্বিগুণ খরচ গুনতে হচ্ছে। এছাড়া সিরিয়াল পাওয়ার জটিলতাসহ জ্বালানি তেল নিয়ে ফিরে আসতে দুইদিনের বেশি সময় লাগছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্টিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন্স, রংপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. আজিজুর ইসলাম মিন্টু বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেল পথে থেল আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলায় তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় গ্রাহকপর্যায়ে তেল সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি উত্তরণে দুই-একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ফিলিং স্টেশনের মালিক মঞ্জুর আজাদ বলেন, রংপুরের ডিপোতে তেল সংকট। বাঘাবাড়ি-পার্বতীপুর থেকে তেল এনে ফিলিং স্টেশন চালু রাখা হয়েছে। এতে পরিবহন খরচ বেশি পড়ছে।
রংপুর বিভাগীয় দাহ্য পদার্থ বহনকারী ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলাউল মিয়া লাল্লু বলেন, রংপুরে তেল না আসায় প্রায় ছয়শত শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলে নিয়মিত জ্বালানি তেল সরবরাহ করা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।