ঝালকাঠি : আমনের মাঠে জমে থাখা হাটু পানিতে কৃষকরা বীজ রোপণ করছেন -সংবাদ
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪৬ হাজার ৭৭০ হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আমন চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধিজনিত জলাবদ্ধতার কারণে কিছু কিছু এলাকার বীজতলা পচে যাওয়ায় রোপা আমনের বীজতলা সংকট দেখা দিচ্ছে।
তবে কৃষি বিভাগ যেসকল উপজেলায় বীজতলা অতিরিক্ত রয়েছে সেখান থেকে বীজতলা এনে কৃষককে দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পুরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে কৃষকের আশংকা জমি অনাবাদী থাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি নাও হতে পারে।
এছাড়াও শ্রমিক সংকটসহ কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে পানি কমে গেলে এবং অন্যত্র জায়গার দিয়ে বীজ সরবরাহ করে এ সংকট নিরসন করা হবে।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে রাজাপুর উপজেলায় আমন বীজ সংকট দেখা দিয়েছিল। অন্যদিকে পাশ্ববর্তী ঝালকাঠি সদর উপজেলায় অতিরিক্ত বীজ কৃষকের মাঠে রয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহম্মেদ জানিয়েছেন, সদর উপজেলা পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কৃষকদের মাঠে অনেক বীজতলা রয়েছে এবং কৃষকরা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে যাদের প্রয়োজন তারা তাদের এই বীজতলা তুলে নিয়ে গিয়ে রোপন করতে পারে। বীজতলা জায়গা খালি হলে তারা সেখানে আমন বীজতলা রোপন করবে।
এক কাঠা জমির বিজ বিক্রি হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকায় । নদী নালা ভরাট ও অতিবৃষ্টির কারনে নিচু এলাকার জমিতে পানি জমে আছে। গ্রাম এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ রাস্তাঘাট এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের বাড়ির সামনে খাল ভরাট করে ব্যক্তিগত চলাচলের পথ করায় কৃত্তিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জোয়ার ভাটার পানির সাথে জুলাই আগস্ট মাসে বিভিন্ন সময় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এই পানিও এই সকল কারণে দ্রুত নামতে না পারায় কৃত্তিম জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিক সংকট, মজুরি বৃদ্ধি, সার কীটনাশকের বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে সে তুলনায় বাজারে ধানের দাম বাড়েনি, এ নিয়েও হতাশ কৃষক।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৪টি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরে আমন বীজ রোপন করা হয়েছে এবং পানি কমলে নিচু এলাকায় দ্রুত বীজ রোপনের উদ্যোগ রয়েছে কৃষকদের। উচু এলাকার বীজতলা দিয়ে সেই সমস্যা সমাধান করা যাবে। এতে করে আমনের লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
ঝালকাঠি : আমনের মাঠে জমে থাখা হাটু পানিতে কৃষকরা বীজ রোপণ করছেন -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ৪৬ হাজার ৭৭০ হেক্টরে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগ লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আমন চাষাবাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে টানা বৃষ্টি ও পানি বৃদ্ধিজনিত জলাবদ্ধতার কারণে কিছু কিছু এলাকার বীজতলা পচে যাওয়ায় রোপা আমনের বীজতলা সংকট দেখা দিচ্ছে।
তবে কৃষি বিভাগ যেসকল উপজেলায় বীজতলা অতিরিক্ত রয়েছে সেখান থেকে বীজতলা এনে কৃষককে দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা পুরণের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। ফলে কৃষকের আশংকা জমি অনাবাদী থাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি নাও হতে পারে।
এছাড়াও শ্রমিক সংকটসহ কৃষি উপকরনের দাম বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তবে জেলা কৃষি বিভাগ বলছে পানি কমে গেলে এবং অন্যত্র জায়গার দিয়ে বীজ সরবরাহ করে এ সংকট নিরসন করা হবে।
ঝালকাঠি জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে রাজাপুর উপজেলায় আমন বীজ সংকট দেখা দিয়েছিল। অন্যদিকে পাশ্ববর্তী ঝালকাঠি সদর উপজেলায় অতিরিক্ত বীজ কৃষকের মাঠে রয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিসার আলী আহম্মেদ জানিয়েছেন, সদর উপজেলা পোনাবালিয়া ইউনিয়নের কৃষকদের মাঠে অনেক বীজতলা রয়েছে এবং কৃষকরা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে যাদের প্রয়োজন তারা তাদের এই বীজতলা তুলে নিয়ে গিয়ে রোপন করতে পারে। বীজতলা জায়গা খালি হলে তারা সেখানে আমন বীজতলা রোপন করবে।
এক কাঠা জমির বিজ বিক্রি হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৮শ টাকায় । নদী নালা ভরাট ও অতিবৃষ্টির কারনে নিচু এলাকার জমিতে পানি জমে আছে। গ্রাম এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন কাজ রাস্তাঘাট এবং কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের বাড়ির সামনে খাল ভরাট করে ব্যক্তিগত চলাচলের পথ করায় কৃত্তিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
জোয়ার ভাটার পানির সাথে জুলাই আগস্ট মাসে বিভিন্ন সময় প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং এই পানিও এই সকল কারণে দ্রুত নামতে না পারায় কৃত্তিম জলাবদ্ধতা রয়ে গেছে। এছাড়া শ্রমিক সংকট, মজুরি বৃদ্ধি, সার কীটনাশকের বৃদ্ধিতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে সে তুলনায় বাজারে ধানের দাম বাড়েনি, এ নিয়েও হতাশ কৃষক।
ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারন বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৪টি উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ২৫ হাজার হেক্টরে আমন বীজ রোপন করা হয়েছে এবং পানি কমলে নিচু এলাকায় দ্রুত বীজ রোপনের উদ্যোগ রয়েছে কৃষকদের। উচু এলাকার বীজতলা দিয়ে সেই সমস্যা সমাধান করা যাবে। এতে করে আমনের লক্ষমাত্রা অর্জন হবে। আমন উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।