শ্রীমঙ্গল : প্লাস্টিকের বর্জ্যে খালের পানি এভাবে দূষিত হচ্ছে -সংবাদ
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাইক্কা বিল ও বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর দেশের মূল্যবান জলজ বাস্তুতন্ত্রের দুই জীবন্ত অধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যে এই দুই জলাধারের পানি দূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য হাওর বিলের কূলঘেঁষা এলাকাজুড়ে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা হচ্ছে; বাজারের ময়লাও নির্ধারিত স্থানের বদলে নদী খালে পড়ছে। ফলে পানির মান, মাছের প্রজনন ও সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হাওরের পানি ও নদী–খাল–ছড়ার সংযোগস্থলগুলোতে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্য জমে ‘বটলনেক’ তৈরি করছে।
এতে পানিপ্রবাহ ধীর হয়ে যাচ্ছে, জলজ উদ্ভিদে জট লেগে মাছের বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছ বিলুপ্তির মুখে—এমন আশঙ্কাও জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, হাকালুকি হাওর এশিয়ার বৃহত্তম মিঠাপানির জলাধার এবং দেশীয় প্রজাতির ২৬০ ধরনের মাছের আবাসস্থল। বর্তমানে হাওরে ১৪৩ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়।” তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, বিলগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না; পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে—যা পরিবেশের জন্য অতিরিক্ত আঘাত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাঈদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দপ্তর থেকে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণকে সচেতন করা হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন আশ্বস্ত করেছেন হাওরের বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা ও বালু ভরাট রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শ্রীমঙ্গল : প্লাস্টিকের বর্জ্যে খালের পানি এভাবে দূষিত হচ্ছে -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাইক্কা বিল ও বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওর দেশের মূল্যবান জলজ বাস্তুতন্ত্রের দুই জীবন্ত অধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে প্লাস্টিক ও অপচনশীল বর্জ্যে এই দুই জলাধারের পানি দূষণ উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য হাওর বিলের কূলঘেঁষা এলাকাজুড়ে যত্রতত্র বর্জ্য ফেলা হচ্ছে; বাজারের ময়লাও নির্ধারিত স্থানের বদলে নদী খালে পড়ছে। ফলে পানির মান, মাছের প্রজনন ও সামগ্রিক জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
হাওরের পানি ও নদী–খাল–ছড়ার সংযোগস্থলগুলোতে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন ও অন্যান্য অপচনশীল বর্জ্য জমে ‘বটলনেক’ তৈরি করছে।
এতে পানিপ্রবাহ ধীর হয়ে যাচ্ছে, জলজ উদ্ভিদে জট লেগে মাছের বিচরণক্ষেত্র সংকুচিত হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় দেশীয় প্রজাতির রাণী মাছ বিলুপ্তির মুখে—এমন আশঙ্কাও জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরিফ হোসেন জানান, হাকালুকি হাওর এশিয়ার বৃহত্তম মিঠাপানির জলাধার এবং দেশীয় প্রজাতির ২৬০ ধরনের মাছের আবাসস্থল। বর্তমানে হাওরে ১৪৩ প্রজাতির দেশীয় মাছ পাওয়া যায়।” তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, বিলগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইজারা দেওয়া যাচ্ছে না; পানির গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার ঝুঁকি বেড়েছে—যা পরিবেশের জন্য অতিরিক্ত আঘাত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাঈদুল ইসলাম বলেন, আমাদের দপ্তর থেকে পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জনগণকে সচেতন করা হবে।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন আশ্বস্ত করেছেন হাওরের বর্জ্য পরিচ্ছন্নতা ও বালু ভরাট রোধে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হবে।