নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গাঁজা সেবন করে মাতাল অবস্থায় দুই বন্ধুর ঝগড়া ও হাতাহাতিতে পুকুরের পানিতে ডুবে এক বন্ধুর মৃত্যু। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ডালিম চন্দ্র মজুমদার (৪০) নামে একজন আটক করেছে। তবে পুলিশ মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কোন কারণ জানাতে পারেনি।

গতকাল বুধবার দুপুরে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুমোদ মজুমদারের বাড়ির পুকুর পাড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম তপন চন্দ্র মজুমদার (৪২)। তিনি একই ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের মৃত ননী গোপাল মজুমদারের ছেলে। অপরদিকে, আটক ডালিম ও একই গ্রামের ভবতোষের বাড়ির ভবতোষ চন্দ্র মজুমদারের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডালিম ও তপন দুই বন্ধু প্রায় একসঙ্গে গাঁজা সেবন করত। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তপনকে একই এলাকার তার বন্ধু ডালিমের সাথে রাস্তায় হাঁটতে দেখে স্থানীয় লোকজন। তারপর গাঁজা সেবন করার কিছুক্ষণ পর উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পযায়ে ডালিম তপনকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পুকুরে পড়ার সময় তপন ডালিমকে সাথে নিয়েই পড়ে। এর পর তাদের শোরচিৎকার শুনে স্থানীয় ডেকোরেশন মিস্ত্রি মো.মনসুর (৪৫) ও অটোরিকশা চালক নারায়ণ মজুমদার (৪৭) ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তারা কুমোদ মজুমদারের পুকুরের পানি থেকে আওয়াজ শুনতে পায়। তাৎক্ষণিক তারা ডালিমকে ওই পুকুরের পানি থেকে উদ্ধার করে। তপনকে পুকুরের পানিতে খোজাঁখুজি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে রাত সোয়া ২ টার দিকে তপনের লাশ পুকুরে ভেসে উঠে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার।

ডালিমের হাতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তবে নিহত তপনের শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ দেখা যায়নি।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন,পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অসুস্থ থাকায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। তার পর আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।