বেতাগী (বরগুনা) : কর্মচাঞ্চল্য আজ স্মৃতি, সংকটে ঐতিহ্যবাহী শিল্প করাতকল -সংবাদ
এক সময়ের কর্মচাঞ্চল্য আজ স্মৃতি, সংকটে ঐতিহ্যবাহী শিল্প। একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি জনপদে গাছ কাটার করাতকল ছিল গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য অংশ। করাতকলের শব্দ, কাঠের গন্ধ আর ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রিদের কোলাহল গ্রামের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করত। বাড়িঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে আসবাবপত্র তৈরি সবকিছুতেই কাঠ অপরিহার্য ছিল। অথচ কালের আবর্তে সেই করাতকল আজ প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে পড়ছে।
বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় একসময় বাজার ও জনবসতির পাশে একাধিক করাতকল দেখা যেত। এখন সেখানে কেবল ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ ও জরাজীর্ণ স্থাপনার চিহ্ন পড়ে আছে।
মালিকেরা আর্থিক লোকসান সামলাতে না পেরে অনেক আগেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কাঠের সংকট, বন বিভাগের কঠোর নজরদারি এবং আধুনিক নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার করাতকল শিল্পকে কার্যত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। বেতাগী পৌরসভার স্থানীয় প্রবীণ, আশির ও নব্বইয়ের দশকে প্রায় প্রতিটি গ্রামে তিন-চারটি করাতকল ছিল।
সেসময় কাঠের যোগানও প্রচুর থাকত। কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সহজেই কাঠ কেটে ঘরবাড়ি ও আসবাব তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে ইট, সিমেন্ট, রড ও টিনের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বনভূমি কমে যাওয়ায় কাঠের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক কমে গেছে। এতে করাতকলগুলো অচল হয়ে পড়েছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক খান (৬৫) করাতকল কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। মানিক খান আক্ষেপ করে বলেন, একসময় দিনে ১৫-২০ ঘনফুট কাঠ কাটতাম।
সপ্তাহে ভালো টাকা আয় হতো। কিন্তু শ্রমিকের মজুরি দিতে হয় অনেক বেশি এবং বিদ্যুতের বিল মেটাতেই কষ্ট হয়। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।
বেতাগী (বরগুনা) : কর্মচাঞ্চল্য আজ স্মৃতি, সংকটে ঐতিহ্যবাহী শিল্প করাতকল -সংবাদ
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
এক সময়ের কর্মচাঞ্চল্য আজ স্মৃতি, সংকটে ঐতিহ্যবাহী শিল্প। একসময় গ্রামবাংলার প্রতিটি জনপদে গাছ কাটার করাতকল ছিল গ্রামীণ জীবনের অপরিহার্য অংশ। করাতকলের শব্দ, কাঠের গন্ধ আর ব্যস্ত কাঠমিস্ত্রিদের কোলাহল গ্রামের অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা যোগ করত। বাড়িঘর নির্মাণ থেকে শুরু করে আসবাবপত্র তৈরি সবকিছুতেই কাঠ অপরিহার্য ছিল। অথচ কালের আবর্তে সেই করাতকল আজ প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে, গ্রামীণ ঐতিহ্য ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে পড়ছে।
বরগুনা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, বাগেরহাটসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকায় একসময় বাজার ও জনবসতির পাশে একাধিক করাতকল দেখা যেত। এখন সেখানে কেবল ভাঙাচোরা যন্ত্রাংশ ও জরাজীর্ণ স্থাপনার চিহ্ন পড়ে আছে।
মালিকেরা আর্থিক লোকসান সামলাতে না পেরে অনেক আগেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কাঠের সংকট, বন বিভাগের কঠোর নজরদারি এবং আধুনিক নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবহার করাতকল শিল্পকে কার্যত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে। বেতাগী পৌরসভার স্থানীয় প্রবীণ, আশির ও নব্বইয়ের দশকে প্রায় প্রতিটি গ্রামে তিন-চারটি করাতকল ছিল।
সেসময় কাঠের যোগানও প্রচুর থাকত। কৃষক কিংবা সাধারণ মানুষ সহজেই কাঠ কেটে ঘরবাড়ি ও আসবাব তৈরি করতেন। কিন্তু বর্তমানে ইট, সিমেন্ট, রড ও টিনের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি বনভূমি কমে যাওয়ায় কাঠের ওপর নির্ভরশীলতা অনেক কমে গেছে। এতে করাতকলগুলো অচল হয়ে পড়েছে।
বেতাগী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক খান (৬৫) করাতকল কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। মানিক খান আক্ষেপ করে বলেন, একসময় দিনে ১৫-২০ ঘনফুট কাঠ কাটতাম।
সপ্তাহে ভালো টাকা আয় হতো। কিন্তু শ্রমিকের মজুরি দিতে হয় অনেক বেশি এবং বিদ্যুতের বিল মেটাতেই কষ্ট হয়। তাই বাধ্য হয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে।