alt

news » bangladesh

ডিমলায় পাইলিং নয় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

প্রতিনিধি, ডিমলা (নীলফামারী) : শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডিমলা (নীলফামারী) : তিস্তার ভাঙন রোধে পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন অতিথিরা -সংবাদ

নীলফামারীর ডিমলায় নাউতারা সাতজানের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে পাইলিং কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে । শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , নীলফামারী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জুলফিকার রহমান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বুড়ি তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে পাইলিং নয়, স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর। প্রতি বছর নাউতারা বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সাতজান এলাকার সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেলে “দৈনিক সংবাদ”পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ.মিজানুর রহমান, দ্রুত বুড়ি তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পরামর্শে এলকাবাসী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়াও তারা নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সরকারের একাধিক দপ্তরে অনেক আবেদন করেও ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাননি। নীলফামারী পাউবো নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন থেকে সর্বস্বহারা পরিবারগুলো।

সর্বস্বহারা পরিবারগুলোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চললেও প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্ব হারা হয়েছে অনেকে । সাতজান মৌজা সহ বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের দাবি , শুধু মাত্র নাউতারা ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকা থেকেই এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক, যারা কৃষিকাজ ও চাষাবাদ করে যারা ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। নদীভাঙনের ফলে আবাদী জমি জমা হারিয়ে তারা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ , উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ, এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির দাবী জানানো হলেও ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসীর মতে, এসব স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের মাত্রা আরও ভয়াবহ হবে এবং চরম বিপাকে পড়বে সর্বস্ব হারা পরিবারগুলো। নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার একাধিক স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাঠ, কবরস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে হুমকিতে রয়েছে।

দিনদিন চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার একর আবাদী জমি। সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবী করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতজানের নদী ভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ।

এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সাতজান মৌজার ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গড় রোধে পাইলিং দেয়া হচ্ছে।

আশা করি দ্রুততম সময়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান মৌজায় নদীর ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। বর্তমানে তারা জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে। আশা করি দ্রুততম সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে ভাঙন রোধে স্থায়ীবাধ নির্মাণসহ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

ছবি

হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে বর, সেখানেই মালাবদল দুজনের

ছবি

রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে আগুন, রাজশাহীতে খানকায় হামলা

সোনারগাঁয়ে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাই বিএনপি নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

ভাঙ্গায় অবরোধ তুলে নিলেন স্থানীয়রা, স্বাভাবিক হলো যান চলাচল

ছবি

রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা, পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি অভিযোগ

ছবি

গোয়ালন্দে তৌহিদি জনতার হামলায় ‘নুরাল পাগলা’র মরদেহ পুড়ল, ৫০ আহত

ছবি

চকরিয়ায় ফসলের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

ছবি

গোয়ালন্দে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

নেত্রকোনা ৫ আসনের সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ছবি

কলাপাড়ায় বিরল প্রজাতির সজারু উদ্ধার

ছবি

বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

ছবি

কেন্দুয়ায় জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তি, বাল্যবিবাহের শাস্তি পাচ্ছে শিশু

ছবি

কর্ণফুলী নদী থেকে ১২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি

সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের নেতার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মহেশপুরে চার বছরের শিশুর ধর্ষক আটক

ছবি

নাগেশ্বরীতে বউ-শাশুড়ী মেলা

ছবি

সরিষাবাড়ীতে ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা খেয়া নৌকা

ছবি

বিরামপুরে নওয়াব আলী স্যার স্মৃতি সম্মাননা বৃত্তি পরীক্ষা

ছবি

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আট দফা দাবি ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের

ছবি

নদী দখলমুক্ত করতে বাধা, এস্কেভেটর ভাঙচুর

ছবি

পানির দাবিতে মানববন্ধন পাথরঘাটা পৌরবাসীর

ছবি

পাঁচবিবিতে আধুনিকমানের মুরগির খামার করে লাভবান শাহিন

ছবি

অপেক্ষার অবসান : গঙ্গাচড়ার কুটির ঘাটে স্টিলের সাঁকো

ছবি

বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত ২

ছবি

লালমোহনে হাইকোর্টের রায় অমান্য করে সড়ক ইজারা

ছবি

মোরেলগঞ্জে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

ফরিদপুরে ৪ ঘন্টা অবরোধের পর মহাসড়কে যান চলাচল

ছবি

কুমিল্লয় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ছাত্রদল নেতার

ছবি

রূপসা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাংবাদিকের আত্মহত্যা

ছবি

চান্দিনা আগুন নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া

ভাঙ্গুড়ায় তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু আটক

ছবি

দুবাইয়ে ১ হাজার দিরহামের লটারি কিনে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা পেয়েছেন চাঁদপুরের জাকির

ছবি

নোয়াখালীতে স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু

tab

news » bangladesh

ডিমলায় পাইলিং নয় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

প্রতিনিধি, ডিমলা (নীলফামারী)

ডিমলা (নীলফামারী) : তিস্তার ভাঙন রোধে পাইলিং কাজের উদ্বোধন করেন অতিথিরা -সংবাদ

শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারীর ডিমলায় নাউতারা সাতজানের বুড়ি তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে পাইলিং কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে । শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১১ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , নীলফামারী পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জুলফিকার রহমান। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বুড়ি তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে পাইলিং নয়, স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবী এলাকাবাসীর। প্রতি বছর নাউতারা বুড়ি তিস্তার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সাতজান এলাকার সহস্রাধিক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়ে। ভাঙনের কবলে পড়ে বসতভিটা, ফসলি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনা ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেলে “দৈনিক সংবাদ”পত্রিকায় গত ১৯ আগস্ট সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। পানি উন্নয়ন বোর্ডের রংপুর অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ.মিজানুর রহমান, দ্রুত বুড়ি তিস্তার ভাঙন কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর পরামর্শে এলকাবাসী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেন। এ ছাড়াও তারা নদী খনন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সরকারের একাধিক দপ্তরে অনেক আবেদন করেও ভাঙন রোধে পাউবো কর্তৃপক্ষের কোন সাড়া পাননি। নীলফামারী পাউবো নদী ভাঙন রোধে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন থেকে সর্বস্বহারা পরিবারগুলো।

সর্বস্বহারা পরিবারগুলোর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীভাঙন চললেও প্রশাসন কিংবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর ফলে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে সর্ব হারা হয়েছে অনেকে । সাতজান মৌজা সহ বিভিন্ন গ্রাম ইতোমধ্যেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে । স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের দাবি , শুধু মাত্র নাউতারা ইউনিয়নের অন্তর্গত এলাকা থেকেই এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অধিকাংশই কৃষক, যারা কৃষিকাজ ও চাষাবাদ করে যারা ফসল উৎপাদনের উপর নির্ভরশীল। নদীভাঙনের ফলে আবাদী জমি জমা হারিয়ে তারা চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ , উপজেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে লিখিতভাবে আবেদনে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে নদী খনন, সড়ক ও বাঁধ নির্মাণ, এবং পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার তৈরির দাবী জানানো হলেও ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এলাকাবাসীর মতে, এসব স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ভাঙনের মাত্রা আরও ভয়াবহ হবে এবং চরম বিপাকে পড়বে সর্বস্ব হারা পরিবারগুলো। নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কারণে এলাকার একাধিক স্কুল, মসজিদ, মন্দির, মাঠ, কবরস্থানসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে হুমকিতে রয়েছে।

দিনদিন চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে হাজার হাজার একর আবাদী জমি। সাতজান মৌজার নদী খনন ও ভাঙনপ্রবণ এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ পানি নিষ্কাশন স্ট্রাকচার নির্মাণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণ প্রদান এলাকার সেচ ও কৃষিকাজে সহায়ক অবকাঠামো তৈরি নদীসংলগ্ন এলাকায় গাইড ওয়াল প্রোটেকশন বাঁধ নির্মাণের দাবী করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাতজানের নদী ভাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ।

এ ব্যাপারে নীলফামারী পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, সাতজান মৌজার ভাঙ্গন কবলীত এলাকা পরিদর্শন করে জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গড় রোধে পাইলিং দেয়া হচ্ছে।

আশা করি দ্রুততম সময়ে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরুজ্জামান জানান, নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান মৌজায় নদীর ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। নীলফামারী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলেছি। বর্তমানে তারা জরুরী ভিত্তিতে পাইলিং এর মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে। আশা করি দ্রুততম সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সমন্বয়ে ভাঙন রোধে স্থায়ীবাধ নির্মাণসহ সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হবে।

back to top