ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
হাইকোর্টের আদেশ, টার্মিনাল ছাড়া কোনও সড়ক/মহাসড়ক থেকে টোল উত্তোলন করা যাবেনা, তবুও ভোলার লালমোহনে আঞ্চলিক মহাসড়ক ইজারা দিয়েছেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. শাহ আজিজ। ফলে টোল উত্তোলনের নামে সড়কে রীতিমতো চাঁদাবাজিসহ নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-৪৬৪০/২০২২ এর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিলের আদেশ মোতাবেক টার্মিনাল ব্যতিরেকে কোনও সড়ক বা মহাসড়ক থেকে টোল উত্তোলন না করতে সব পৌর মেয়রদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়াও পৌর বিধানের ৯৮ ধারার ৭নং অনুচ্ছেদ অনুসারে শুধুমাত্র পৌরমেয়র নির্মিত টার্মিনাল ছাড়া পার্কিং ফি’র নামে টোল আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, লালমোহন পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত কোনো পরিবহন টার্মিনাল/স্ট্যান্ড কিংবা নির্দিষ্ট কোনো পার্কিং এলাকা নেই। এদিকে গত ২০ এপ্রিল ‘স্ট্যান্ড দিন, টোল নিন’ দাবিতে থানার মোড়ে মানববন্ধন করেছিল লালমোহন রেন্ট এ কার মালিক সমিতি।
অভিযোগ উঠেছে, পরদিন তাদেরকে কয়েক দফায় মারধর করেছে ইজারাদারের লোকজন। অপরদিকে, অদৃশ্য স্ট্যান্ড ইজারার নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় আরেক যুবকের বাস কাউন্টার ভাঙচুর ও দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। এসব হামলা পৌর প্রশাসকের ইশারায় হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনটি অদৃশ্য স্ট্যান্ডের নাম জানিয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মো. শাহ আজিজ বলেন, ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে লালমোহনের পার্শ্ববর্তী দুই পৌরসভায় কোনো স্ট্যান্ড ইজারা দেয়া হয়নি। ফলে জনমনে প্রশ্ন, কী স্বার্থে হাইকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক ইজারা দিলেন পৌর প্রশাসক তা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
হাইকোর্টের আদেশ, টার্মিনাল ছাড়া কোনও সড়ক/মহাসড়ক থেকে টোল উত্তোলন করা যাবেনা, তবুও ভোলার লালমোহনে আঞ্চলিক মহাসড়ক ইজারা দিয়েছেন লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. শাহ আজিজ। ফলে টোল উত্তোলনের নামে সড়কে রীতিমতো চাঁদাবাজিসহ নানা বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-৪৬৪০/২০২২ এর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিলের আদেশ মোতাবেক টার্মিনাল ব্যতিরেকে কোনও সড়ক বা মহাসড়ক থেকে টোল উত্তোলন না করতে সব পৌর মেয়রদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। এছাড়াও পৌর বিধানের ৯৮ ধারার ৭নং অনুচ্ছেদ অনুসারে শুধুমাত্র পৌরমেয়র নির্মিত টার্মিনাল ছাড়া পার্কিং ফি’র নামে টোল আদায় সম্পূর্ণ অবৈধ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, লালমোহন পৌরসভা কর্তৃক নির্মিত কোনো পরিবহন টার্মিনাল/স্ট্যান্ড কিংবা নির্দিষ্ট কোনো পার্কিং এলাকা নেই। এদিকে গত ২০ এপ্রিল ‘স্ট্যান্ড দিন, টোল নিন’ দাবিতে থানার মোড়ে মানববন্ধন করেছিল লালমোহন রেন্ট এ কার মালিক সমিতি।
অভিযোগ উঠেছে, পরদিন তাদেরকে কয়েক দফায় মারধর করেছে ইজারাদারের লোকজন। অপরদিকে, অদৃশ্য স্ট্যান্ড ইজারার নামে চাঁদাবাজি বন্ধের জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করায় আরেক যুবকের বাস কাউন্টার ভাঙচুর ও দখলেরও অভিযোগ উঠেছে। এসব হামলা পৌর প্রশাসকের ইশারায় হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনটি অদৃশ্য স্ট্যান্ডের নাম জানিয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌরসভার প্রশাসক মো. শাহ আজিজ বলেন, ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে লালমোহনের পার্শ্ববর্তী দুই পৌরসভায় কোনো স্ট্যান্ড ইজারা দেয়া হয়নি। ফলে জনমনে প্রশ্ন, কী স্বার্থে হাইকোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক ইজারা দিলেন পৌর প্রশাসক তা খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনের দৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।