গঙ্গাচড়া (রংপুর) : ৩০ হাজার মানুষের স্বস্তির সংবাদ স্টিলের সঁকো -সংবাদ
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুটির ঘাট এলাকায় অবশেষে নির্মাণ হলো একটি স্টিলের সাঁকো। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহানো অন্তত ৩০ হাজার মানুষের জন্য এটি স্বস্তির সংবাদ হলেও স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে স্টিলের সাঁকোর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা।
স্থানীয়রা জানান, নগরবন্দ, পাইকান বড়াইবাড়ি, মেছনিকুন্ডা, শয়রাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বহু বছর ধরে চরম ভোগান্তির শিকার ছিলেন।
প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ, হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই সাঁকো। এজন্য এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় অফিসার আবতাবুজ্জামনের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় লিয়ন মিয়া বলেন, আগে এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল যা দিয়ে কোনরকমে একটি সাইকেল নিয়ে পারাপার করা যেত। বর্তমান যে স্টিলের ব্রিজটি হইলো এটা দিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা মালামাল নিয়ে পারাপার করা যাচ্ছে। অতি সহজে কৃষি পণ্য নিয়েও বাজারজাত করা যাবে। এজন্য আমরা গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন ও আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ কে ধন্যবাদ জানাই।
তবে আমরা চাই এখানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ। পাইকান কুটি আলহাজ্ব তমেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাজেদা বেগম বলে, আগে বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো ছিল। নড়বড়ে সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসা যেতে ভয় পেতাম। এখন স্টিলের সাঁকো হয় আমাদের মাদ্রাসা যেতে আর সমস্যা হবে না। আলমবিদিতর ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন বলেন, অবশেষে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মানুষ কিছুটা মুক্তি পেল। তবে কংক্রিটের স্থায়ী ব্রিজ ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, জনগনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে এখানে একটি স্টিলের ব্রিজ নির্মাণ করা হলো। তবে এখানে একটি কংক্রিটের স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী থেকে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যেহেতু এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি, তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় অফিসার আফতাবুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রুহুল আমিন, রংপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, উপজেলা আমীর মাওলানা নায়েবুজ্জামান, সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের গগাচড়া উপজেলা আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ মিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গঙ্গাচড়া শাখার সভাপতি আনিচুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম প্রমূখ।
গঙ্গাচড়া (রংপুর) : ৩০ হাজার মানুষের স্বস্তির সংবাদ স্টিলের সঁকো -সংবাদ
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়নের কুটির ঘাট এলাকায় অবশেষে নির্মাণ হলো একটি স্টিলের সাঁকো। অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহানো অন্তত ৩০ হাজার মানুষের জন্য এটি স্বস্তির সংবাদ হলেও স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে স্টিলের সাঁকোর উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদ হাসান মৃধা।
স্থানীয়রা জানান, নগরবন্দ, পাইকান বড়াইবাড়ি, মেছনিকুন্ডা, শয়রাবাড়িসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বহু বছর ধরে চরম ভোগান্তির শিকার ছিলেন।
প্রতিদিন উপজেলা পরিষদ, হাটবাজার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা তহবিল ও এলাকাবাসীর অর্থায়নে প্রায় ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এই সাঁকো। এজন্য এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন এবং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় অফিসার আবতাবুজ্জামনের প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় লিয়ন মিয়া বলেন, আগে এখানে বাঁশের সাঁকো ছিল যা দিয়ে কোনরকমে একটি সাইকেল নিয়ে পারাপার করা যেত। বর্তমান যে স্টিলের ব্রিজটি হইলো এটা দিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা মালামাল নিয়ে পারাপার করা যাচ্ছে। অতি সহজে কৃষি পণ্য নিয়েও বাজারজাত করা যাবে। এজন্য আমরা গঙ্গাচড়া উপজেলা প্রশাসন ও আলমবিদিতর ইউনিয়ন পরিষদ কে ধন্যবাদ জানাই।
তবে আমরা চাই এখানে একটি স্থায়ী কংক্রিটের ব্রিজ। পাইকান কুটি আলহাজ্ব তমেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সাজেদা বেগম বলে, আগে বাঁশের নড়বড়ে সাঁকো ছিল। নড়বড়ে সাঁকো পার হয়ে মাদ্রাসা যেতে ভয় পেতাম। এখন স্টিলের সাঁকো হয় আমাদের মাদ্রাসা যেতে আর সমস্যা হবে না। আলমবিদিতর ইউনিয়ন প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান চয়ন বলেন, অবশেষে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মানুষ কিছুটা মুক্তি পেল। তবে কংক্রিটের স্থায়ী ব্রিজ ছাড়া এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদ হাসান মৃধা বলেন, জনগনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে এখানে একটি স্টিলের ব্রিজ নির্মাণ করা হলো। তবে এখানে একটি কংক্রিটের স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী থেকে ঢাকায় চিঠি পাঠানো হয়েছে।
যেহেতু এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি, তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থায়ী সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আলমবিদিতর ইউনিয়নের প্রশাসক ও উপজেলা সমবায় অফিসার আফতাবুজ্জামান এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি চাঁদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী, জাতীয়তাবাদী প্রচার দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রুহুল আমিন, রংপুর মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, উপজেলা আমীর মাওলানা নায়েবুজ্জামান, সেক্রেটারী সাইফুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের গগাচড়া উপজেলা আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ মিয়া, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর গঙ্গাচড়া শাখার সভাপতি আনিচুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী, এনসিপির উপজেলা প্রধান সমন্বয়কারী রিফাতুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম প্রমূখ।