ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পানি পাবো ট্যাক্স দিব, পানি নাই ট্যাক্স নাই এরকম বিভিন্ন দাবি লেখা কলস ও ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিনের পানি সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন পৌরসভা নিয়মিত ট্যাক্স ও পানির বিল আদায় করলেও পৌরসভার নাগরিকরা পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চারটি পাম্প থাকলেও দুটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, আর কার্যকর দুটি দিয়ে পর্যাপ্ত চাপ তৈরি না হওয়ায় সাপ্লাই লাইন দিয়ে বাসাবাড়িতে পানি পৌঁছায় না। পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী শিকদার বলেন, রূপধন থেকে পানি উত্তোলনের জন্য যে পাইপের বরাদ্দ ছিল, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন সেটি আত্মসাৎ করে নিম্নমানের পাইপ স্থাপন করেছেন। অল্প টাকা দিয়ে করা সেই পাইপ এক বছরের মধ্যেই মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে এখন ভুগতেছি আমরা পৌরবাসী। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সমাজসেবক বদিউজ্জামান সাহেদ বলেন, নাগরিক সেবার মধ্যে পানিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে পানি পাচ্ছে না। আমরা প্রশাসককে অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। শুধু মুখে বলেন চেষ্টা করছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো চেষ্টা নেই। যদি দ্রুত সমাধান না হয়, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন আমাদের ন্যায্য অধিকার আমরা আদায় করে ছাড়বো। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক জিয়াউল হক ফাহিম, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ইসমে, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম, পাথরঘাটা উপজেলা ইমারত সমিতির সভাপতি ঠিকাদার মো. হাবিবুর রহমান,পাথরঘাটা উপজেলা বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের খানসহ প্রমুখ। ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান কালু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে পানির বিল দিচ্ছি, অথচ পানির মুখ দেখি না। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। যদি দ্রুত পানি না মেলে, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হব। এতে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
এব্যাপারে পাথরঘাটা পৌর প্রশাসক ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত পানির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
পানি পাবো ট্যাক্স দিব, পানি নাই ট্যাক্স নাই এরকম বিভিন্ন দাবি লেখা কলস ও ফেস্টুন ব্যানার নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দীর্ঘদিনের পানি সংকট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন পৌরসভা নিয়মিত ট্যাক্স ও পানির বিল আদায় করলেও পৌরসভার নাগরিকরা পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত। চারটি পাম্প থাকলেও দুটি দীর্ঘদিন ধরে বিকল, আর কার্যকর দুটি দিয়ে পর্যাপ্ত চাপ তৈরি না হওয়ায় সাপ্লাই লাইন দিয়ে বাসাবাড়িতে পানি পৌঁছায় না। পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী শিকদার বলেন, রূপধন থেকে পানি উত্তোলনের জন্য যে পাইপের বরাদ্দ ছিল, সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন সেটি আত্মসাৎ করে নিম্নমানের পাইপ স্থাপন করেছেন। অল্প টাকা দিয়ে করা সেই পাইপ এক বছরের মধ্যেই মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে এখন ভুগতেছি আমরা পৌরবাসী। পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সমাজসেবক বদিউজ্জামান সাহেদ বলেন, নাগরিক সেবার মধ্যে পানিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অথচ পৌরবাসী দীর্ঘদিন ধরে পানি পাচ্ছে না। আমরা প্রশাসককে অবহিত করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। শুধু মুখে বলেন চেষ্টা করছি, কিন্তু বাস্তবে কোনো চেষ্টা নেই। যদি দ্রুত সমাধান না হয়, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হবো। তিনি বলেন আমাদের ন্যায্য অধিকার আমরা আদায় করে ছাড়বো। এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাংবাদিক জিয়াউল হক ফাহিম, বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ইসমে, পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজমুল হক সেলিম, পাথরঘাটা উপজেলা ইমারত সমিতির সভাপতি ঠিকাদার মো. হাবিবুর রহমান,পাথরঘাটা উপজেলা বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল কাদের খানসহ প্রমুখ। ভুক্তভোগী মুজিবুর রহমান কালু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে পানির বিল দিচ্ছি, অথচ পানির মুখ দেখি না। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। যদি দ্রুত পানি না মেলে, আমরা পৌরসভা ঘেরাও করতে বাধ্য হব। এতে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক ব্যক্তি অংশ নেন।
এব্যাপারে পাথরঘাটা পৌর প্রশাসক ও পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পানি সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় কাজ দ্রুত শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দ্রুত পানির সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।