ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
দিনাজপুরের বিরামপুরে শিক্ষার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। মরহুম নওয়াব আলী স্যার স্মৃতি সম্মাননা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ এই শহরের শিক্ষার আঙ্গিনায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিরামপুর চাইল্ড কেয়ার ক্যাডেট একাডেমি, যার প্রতিপাদ্য আলোকিত মানুষ তৈরির অবিরাম প্রয়াস, এই পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উজ্জ্বল, প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জুনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জানুয়ারি ২০২৩ থেকে নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ২৪ শতকের জায়গায়, ১৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উদ্দীপনা ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে এটি কেবল পড়াশোনার স্থান নয়, বরং সামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও ক্রীড়া চর্চার ক্ষেত্রেও আলোকবর্তিকা। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন ৮ জন। পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুশফিকুর রহমান লিটন। বাকি ৭ জন পরিচালক যারা স্থানীয় সন্তান, বন্ধু, সহকর্মী ও ছোট ভাই হিসেবে একত্রিত অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ভালো ছাত্র তৈরি নয় আমরা চাই সৎ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করতে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক উন্নয়নকে সমন্বয় করেই আমরা একাডেমি পরিচালনা করি। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান আরও বাড়াতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কেবল একাডেমিক জ্ঞানই অর্জন করবে না, বরং নৈতিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়ে উঠবে, যা একাডেমিটিকে একটি জাতীয় মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। বৃত্তি পরীক্ষায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন থেকে, আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল থেকে অংশ নিতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ফি সরকারি স্কুলের জন্য ২০০ টাকা, বেসরকারি স্কুলের জন্য ৩০০ টাকা, এবং অসছল মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সর্বোচ্ছ ১০% শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং আরও ২০% সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করবে।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও এককালীন আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হবে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, এটি কেবল একটি বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং বিরামপুরের শিক্ষার ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অনুরাগ, আত্মবিশ্বাস ও মেধা বিকাশে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিটি ছোট্ট শিক্ষার্থী, যে নিজের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে এই বৃত্তি পরীক্ষা তার জন্য একটি নতুন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে, যা আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
দিনাজপুরের বিরামপুরে শিক্ষার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। মরহুম নওয়াব আলী স্যার স্মৃতি সম্মাননা বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ এই শহরের শিক্ষার আঙ্গিনায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিরামপুর চাইল্ড কেয়ার ক্যাডেট একাডেমি, যার প্রতিপাদ্য আলোকিত মানুষ তৈরির অবিরাম প্রয়াস, এই পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি উজ্জ্বল, প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জুনে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জানুয়ারি ২০২৩ থেকে নিয়মিত একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করে। মাত্র ২৪ শতকের জায়গায়, ১৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উদ্দীপনা ও নিষ্ঠার সমন্বয়ে এটি কেবল পড়াশোনার স্থান নয়, বরং সামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক কর্মকা- ও ক্রীড়া চর্চার ক্ষেত্রেও আলোকবর্তিকা। প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন ৮ জন। পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুশফিকুর রহমান লিটন। বাকি ৭ জন পরিচালক যারা স্থানীয় সন্তান, বন্ধু, সহকর্মী ও ছোট ভাই হিসেবে একত্রিত অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার স্বার্থে প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মুশফিকুর রহমান লিটন বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ভালো ছাত্র তৈরি নয় আমরা চাই সৎ, নৈতিক ও দায়িত্বশীল মানুষ তৈরি করতে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও সামাজিক উন্নয়নকে সমন্বয় করেই আমরা একাডেমি পরিচালনা করি। প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মান আরও বাড়াতে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি ও ধর্মীয় শিক্ষার সমন্বয়েও গুরুত্ব দিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা কেবল একাডেমিক জ্ঞানই অর্জন করবে না, বরং নৈতিক মূল্যবোধ, সৃজনশীলতা এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হয়ে উঠবে, যা একাডেমিটিকে একটি জাতীয় মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করবে। বৃত্তি পরীক্ষায় তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন থেকে, আর পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র বেসরকারি স্কুল থেকে অংশ নিতে পারবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। ফি সরকারি স্কুলের জন্য ২০০ টাকা, বেসরকারি স্কুলের জন্য ৩০০ টাকা, এবং অসছল মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে অংশগ্রহণ করতে পারবে। সর্বোচ্ছ ১০% শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং আরও ২০% সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি লাভ করবে।
বৃত্তিপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদপত্র ও এককালীন আর্থিক সম্মাননা প্রদান করা হবে। স্থানীয় শিক্ষানুরাগীরা মনে করছেন, এটি কেবল একটি বৃত্তি পরীক্ষা নয়, বরং বিরামপুরের শিক্ষার ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অনুরাগ, আত্মবিশ্বাস ও মেধা বিকাশে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রতিটি ছোট্ট শিক্ষার্থী, যে নিজের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষার পথে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে এই বৃত্তি পরীক্ষা তার জন্য একটি নতুন আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে, যা আগামী প্রজন্মকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।