সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : খেয়া নৌকার অপেক্ষায় দুই তরুণী -সংবাদ
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নে প্রায় ৬ বছর আগে শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত হয় একটি ব্রীজ । কিন্তু ২০২০ সালের প্রবল বন্যায় পানির স্রোতে ভেঙে যায়। র্দীঘ দিন অতিবাহিত হলেও সেতুটি র্নিমানের নেই কোন উদ্যোগ। ব্রিজটি নির্মান বা সংস্কারের উদ্দ্যোগ না থাকায় হতাশায় পড়েছেনে চরাঞ্চলের অর্ধশত গ্রামের লাখো মানুষ। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সংযুক্ত রাস্তা শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর ব্রিজটি। ফসলের ভান্ডার ও জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি শিকার হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।
সরোজমনে গিয়ে জানা যায় , সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের মধ্যে বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদীতে ব্রিজটি অবস্থিত। গত ২০২০ সালে ২২ জুলাই বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে ২শত মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজের মাঝখানে ৪টি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে য়ায়। এর পর থেকে নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ। শুয়াকৈর গ্রামের মধ্যে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর উপর সেতুটি ছিল চরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতু। গত ১৯টি বছর ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। কৃষক তার জমির ফলানো ফসল নিয়ে হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ীরা, জরুরী চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সুবিধা সহজেই ভোগ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ব্রিজটি পূঃণনির্মান বা সংস্কার হলে মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরের এলজিইডি অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকায় সেতু নির্মানে কার্যাদেশ পেয়ে এম এইচ এন্টারপ্রাইজ এর স্বতাধিকার আক্তারুজ্জামান সেতুটি নির্মাণ করেন। শুয়াকৈর গ্রাম এলাকার ঝিনাই নদীর ওপর ২শত মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজটি নির্মান করে এলজিইডি। এ ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালে। নির্মানের প্রায় ১৯ বছর পর হঠাৎ ২০২০ সালে ২২ জুলাই বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে ২শত মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজের মাঝখানে ৪টি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে য়ায়। ব্রীজটি নির্মান হওয়ার পর থেকে চরাঞ্চলের অর্ধশত গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের সুবিধাসহ কৃষি উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ব্যবহার ছিল দিন-রাত ২৪ ঘন্টা। সেই সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত । সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা কৃষি পণ্যের ন্যায মুল্য বঞ্চিত হয়ে আসছে। এতে একদিকে কৃষক হারাচ্ছে তাদের ন্যায্য মূল্য অপর দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এতে করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।
তথ্য সংগ্রহ কালে প্রতিবেদককে চরাঞ্চলের যাতায়াতে ভুক্তভুগী, ম›জুরুল ইসলাম, আলী আকবর, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, হাফিজুর রহমান ও বাছেদ মিয়া জানান, নদীর ওপর ব্রীজ পুণ:নির্মান বা সংস্কার করে ভোগান্তির নিরশন করতে দাবি জানালেও কোন আশার আলো খুজেঁপাইনি তারা। হতাশায় চলছে দিন-মাস-বছর। তাদের সেতুটি নির্মান বা সংস্কার করলে দুর্ভোগ লাঘব হতো। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সেতুটি র্নিমানের দাবী করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্রীজের পাশে দিয়ে নতুন করে ব্রীজ নির্মান জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণে সকল প্রস্ততি চলমান রয়েছে। নতুন করে ব্রীজটি নির্মাণে ডিপিপিতে অর্ন্তভোক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
সরিষাবাড়ী (জামালপুর) : খেয়া নৌকার অপেক্ষায় দুই তরুণী -সংবাদ
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নে প্রায় ৬ বছর আগে শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর নির্মিত হয় একটি ব্রীজ । কিন্তু ২০২০ সালের প্রবল বন্যায় পানির স্রোতে ভেঙে যায়। র্দীঘ দিন অতিবাহিত হলেও সেতুটি র্নিমানের নেই কোন উদ্যোগ। ব্রিজটি নির্মান বা সংস্কারের উদ্দ্যোগ না থাকায় হতাশায় পড়েছেনে চরাঞ্চলের অর্ধশত গ্রামের লাখো মানুষ। উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সংযুক্ত রাস্তা শুয়াকৈর ঝিনাই নদীর উপর ব্রিজটি। ফসলের ভান্ডার ও জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি শিকার হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ।
সরোজমনে গিয়ে জানা যায় , সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের শুয়াকৈর গ্রামের মধ্যে বয়ে যাওয়া ঝিনাই নদীতে ব্রিজটি অবস্থিত। গত ২০২০ সালে ২২ জুলাই বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে ২শত মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজের মাঝখানে ৪টি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে য়ায়। এর পর থেকে নদী পারাপারে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষ। শুয়াকৈর গ্রামের মধ্যে প্রবাহিত ঝিনাই নদীর উপর সেতুটি ছিল চরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেতু। গত ১৯টি বছর ওই অঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। কৃষক তার জমির ফলানো ফসল নিয়ে হাট-বাজারে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা, চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ীরা, জরুরী চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন সুবিধা সহজেই ভোগ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। ব্রিজটি পূঃণনির্মান বা সংস্কার হলে মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৩-০৪ অর্থ বছরের এলজিইডি অর্থায়নে প্রায় দুই কোটি টাকায় সেতু নির্মানে কার্যাদেশ পেয়ে এম এইচ এন্টারপ্রাইজ এর স্বতাধিকার আক্তারুজ্জামান সেতুটি নির্মাণ করেন। শুয়াকৈর গ্রাম এলাকার ঝিনাই নদীর ওপর ২শত মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজটি নির্মান করে এলজিইডি। এ ব্রীজটি নির্মান কাজ শেষ হয় ২০০৬ সালে। নির্মানের প্রায় ১৯ বছর পর হঠাৎ ২০২০ সালে ২২ জুলাই বন্যায় পানির স্রোতের তোড়ে ২শত মিটার দৈর্ঘ্য গার্ডার ব্রীজের মাঝখানে ৪টি পিলার ও তিনটি স্প্যানসহ ৬০ মিটার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে য়ায়। ব্রীজটি নির্মান হওয়ার পর থেকে চরাঞ্চলের অর্ধশত গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াতের সুবিধাসহ কৃষি উৎপাদিত পণ্য পরিবহন ব্যবহার ছিল দিন-রাত ২৪ ঘন্টা। সেই সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত । সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা কৃষি পণ্যের ন্যায মুল্য বঞ্চিত হয়ে আসছে। এতে একদিকে কৃষক হারাচ্ছে তাদের ন্যায্য মূল্য অপর দিকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এতে করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছে চরাঞ্চলের কৃষকরা।
তথ্য সংগ্রহ কালে প্রতিবেদককে চরাঞ্চলের যাতায়াতে ভুক্তভুগী, ম›জুরুল ইসলাম, আলী আকবর, সাইফুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ, হাফিজুর রহমান ও বাছেদ মিয়া জানান, নদীর ওপর ব্রীজ পুণ:নির্মান বা সংস্কার করে ভোগান্তির নিরশন করতে দাবি জানালেও কোন আশার আলো খুজেঁপাইনি তারা। হতাশায় চলছে দিন-মাস-বছর। তাদের সেতুটি নির্মান বা সংস্কার করলে দুর্ভোগ লাঘব হতো। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সেতুটি র্নিমানের দাবী করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, এ ব্রীজের পাশে দিয়ে নতুন করে ব্রীজ নির্মান জন্য ভূমি অধিগ্রহণসহ সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। ব্রীজ নির্মাণে সকল প্রস্ততি চলমান রয়েছে। নতুন করে ব্রীজটি নির্মাণে ডিপিপিতে অর্ন্তভোক্ত করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।