alt

news » bangladesh

চকরিয়ায় ফসলের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার) : শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৫৫ কৃষি ব্লকের অধীনে চলতি মৌসুমে ৪৮ হাজার ৭৫০ একর জমিতে রোপণ করা আমন ধান ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে বসানো হচ্ছে ২৭৫টি আলোর ফাঁদ পদ্ধতি। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসীর সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অধীন এলাকার আমন ধান ক্ষেতে ব্লকভিত্তিক পরিবেশবান্ধব আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ইতোমধ্যে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর, ডুলাহাজারা, বদরখালী, কোনাখালী, বিএমচর, সাহারবিল, কাকারা ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, আলোক ফাঁদ পদ্ধতি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলের ক্ষেত সুরক্ষা করতে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। রাতের বেলায় ক্ষেতের মাঝখানে বসানো আলোর ফাঁদের বাল্বের আলোতে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয়। তারপর পোকাগুলো বাল্বের আলোতে এসে ফাঁদে আটকা পড়ে। এরপর সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্লকের নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি অফিসার এই ফাঁদে আটকে থাকা পোকা শনাক্ত করেন এবং পোকার উপস্থিতি নির্ণয় হওয়ার পর ফসলের ক্ষেত থেকে ক্ষতিকর পোকা দমনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, আলোক ফাঁদ পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে, ক্ষেতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ করা যায়। এছাড়া এটি একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী পদ্ধতিও বটে। কারণ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো খরচ ছাড়াই ক্ষেতের পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে পারেন চাষিরা।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের হিসাব ও উন্নয়ন শাখার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ১৯ হাজার পাঁচশত হেক্টর বা ৪৮ হাজার ৭৫০ একর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তৎমধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার একর জমিতে উফশী জাতের, ৩ হাজার ৭৫০ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে।

মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এরই মধ্যে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে আমন ধান রোপণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ৫৫টি ব্লকের অধীনে একটি ব্লকে পাঁচটি করে আমন ধান ক্ষেতের পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বসানো হচ্ছে আলোক ফাঁদ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত ৫/৬বছর ধরে আমন ধান ক্ষেতে বসানো আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এরই আলোকে চলতি মৌসুমেও মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে আমন ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসানোর কাজ শুরু করেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ইউনিয়নভিক্তিক ব্লকে উপস্থিত হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইশরাত জাহান সুইটি আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানোর কাজ তদারকি করছেন। পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারা ব্লক এলাকার কৃষকদের সঙ্গে আলোক ফাঁদ পদ্ধতির সুফল নিয়ে মতবিনিময় সভাও করছেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মতো কৃষি বিভাগের তরফ থেকে ইতোমধ্যে আমন ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসানো শুরু করা হয়েছে। জমিতে রাতেরবেলায় একটি স্থানে বালতির ওপর অংশে বৈদ্যুতিক ভাল্বের আলো ছড়ানো হচ্ছে। আলো পেয়ে আমন ক্ষেতের ভেতরে থাকা ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় উড়ে এসে জড়ো হয়ে বালতির পানিতে পড়ছে। পরে এসব পোকামাকড় পানিতে আটকে গেলে আর উঠতে পারে না। এর পর কৃষকরা এসে এসব পোকামাকড় মেরে ফেলছে।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার চাষকৃত জমিতে ৫৫টি ব্লকে ভাগ করে তাতে ২৭৫টি আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় আলোক ফাঁদ বসানো শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় বসানো হবে।

তিনি বলেন, আলোক ফাঁদ বসানোর মাধ্যমে ফসলের ক্ষেতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা করে চাষের আগে ব্লকভিত্তিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য আলোক ফাঁদ বেশ উপযোগী একটি পদ্ধতি। কারণ এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে, ফসলি জমিতে পোকামাকড় দমনে তুলনামূলক কীটনাশক ব্যবহার করতে লাগে না।

এছাড়াও এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে কৃষকের কোনো খরচ পড়েনা, বরং কোন খরচ ছাড়াই ফসলের ক্ষতি ঠেকাতে পারে কৃষকেরা।

ছবি

হাত-পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে হাসপাতালে বর, সেখানেই মালাবদল দুজনের

ছবি

রাজবাড়ীতে কবর থেকে লাশ তুলে আগুন, রাজশাহীতে খানকায় হামলা

সোনারগাঁয়ে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাই বিএনপি নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

ভাঙ্গায় অবরোধ তুলে নিলেন স্থানীয়রা, স্বাভাবিক হলো যান চলাচল

ছবি

রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা, পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি অভিযোগ

ছবি

গোয়ালন্দে তৌহিদি জনতার হামলায় ‘নুরাল পাগলা’র মরদেহ পুড়ল, ৫০ আহত

ছবি

গোয়ালন্দে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

ছবি

নেত্রকোনা ৫ আসনের সাবেক এমপির পিএস গ্রেপ্তার

ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ছবি

কলাপাড়ায় বিরল প্রজাতির সজারু উদ্ধার

ছবি

বিএনপি’র কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

ছবি

কেন্দুয়ায় জন্মনিবন্ধনে ভোগান্তি, বাল্যবিবাহের শাস্তি পাচ্ছে শিশু

ছবি

কর্ণফুলী নদী থেকে ১২ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি

সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের নেতার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মহেশপুরে চার বছরের শিশুর ধর্ষক আটক

ছবি

নাগেশ্বরীতে বউ-শাশুড়ী মেলা

ছবি

সরিষাবাড়ীতে ২০ গ্রামের মানুষের ভরসা খেয়া নৌকা

ছবি

বিরামপুরে নওয়াব আলী স্যার স্মৃতি সম্মাননা বৃত্তি পরীক্ষা

ছবি

পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আট দফা দাবি ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের

ছবি

নদী দখলমুক্ত করতে বাধা, এস্কেভেটর ভাঙচুর

ছবি

পানির দাবিতে মানববন্ধন পাথরঘাটা পৌরবাসীর

ছবি

পাঁচবিবিতে আধুনিকমানের মুরগির খামার করে লাভবান শাহিন

ছবি

অপেক্ষার অবসান : গঙ্গাচড়ার কুটির ঘাটে স্টিলের সাঁকো

ছবি

বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘনায় নিহত ২

ছবি

লালমোহনে হাইকোর্টের রায় অমান্য করে সড়ক ইজারা

ছবি

মোরেলগঞ্জে আমন রোপণে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

ফরিদপুরে ৪ ঘন্টা অবরোধের পর মহাসড়কে যান চলাচল

ছবি

কুমিল্লয় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ছাত্রদল নেতার

ছবি

রূপসা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে সাংবাদিকের আত্মহত্যা

ছবি

ডিমলায় পাইলিং নয় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

চান্দিনা আগুন নির্বাপনে ফায়ার সার্ভিসের মহড়া

ভাঙ্গুড়ায় তথ্য না পাওয়ার অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু আটক

ছবি

দুবাইয়ে ১ হাজার দিরহামের লটারি কিনে প্রায় ৬৮ কোটি টাকা পেয়েছেন চাঁদপুরের জাকির

ছবি

নোয়াখালীতে স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু

tab

news » bangladesh

চকরিয়ায় ফসলের পোকা দমনে আলোক ফাঁদ

প্রতিনিধি, চকরিয়া (কক্সবাজার)

শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৫৫ কৃষি ব্লকের অধীনে চলতি মৌসুমে ৪৮ হাজার ৭৫০ একর জমিতে রোপণ করা আমন ধান ক্ষেতে পোকামাকড়ের আক্রমণ টেকাতে বসানো হচ্ছে ২৭৫টি আলোর ফাঁদ পদ্ধতি। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসীর সার্বিক মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার অধীন এলাকার আমন ধান ক্ষেতে ব্লকভিত্তিক পরিবেশবান্ধব আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানোর কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, আগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে শুরু হওয়া আলোক ফাঁদ পদ্ধতি ইতোমধ্যে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর, ডুলাহাজারা, বদরখালী, কোনাখালী, বিএমচর, সাহারবিল, কাকারা ও চিরিঙ্গা ইউনিয়নে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, আলোক ফাঁদ পদ্ধতি পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসলের ক্ষেত সুরক্ষা করতে একটি টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি। রাতের বেলায় ক্ষেতের মাঝখানে বসানো আলোর ফাঁদের বাল্বের আলোতে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয়। তারপর পোকাগুলো বাল্বের আলোতে এসে ফাঁদে আটকা পড়ে। এরপর সেখানে উপস্থিত হয়ে ব্লকের নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি অফিসার এই ফাঁদে আটকে থাকা পোকা শনাক্ত করেন এবং পোকার উপস্থিতি নির্ণয় হওয়ার পর ফসলের ক্ষেত থেকে ক্ষতিকর পোকা দমনে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

তিনি বলেন, আলোক ফাঁদ পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে, ক্ষেতে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ দূষণ রোধ করা যায়। এছাড়া এটি একটি ব্যয়-সাশ্রয়ী পদ্ধতিও বটে। কারণ এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো খরচ ছাড়াই ক্ষেতের পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে পারেন চাষিরা।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের হিসাব ও উন্নয়ন শাখার উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় ১৯ হাজার পাঁচশত হেক্টর বা ৪৮ হাজার ৭৫০ একর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। তৎমধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার একর জমিতে উফশী জাতের, ৩ হাজার ৭৫০ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে।

মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছে, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে এরই মধ্যে আরো বেশি পরিমাণ জমিতে আমন ধান রোপণ শেষ হয়েছে। বর্তমানে উপজেলার ৫৫টি ব্লকের অধীনে একটি ব্লকে পাঁচটি করে আমন ধান ক্ষেতের পোকার আক্রমণ ঠেকাতে বসানো হচ্ছে আলোক ফাঁদ।

কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিগত ৫/৬বছর ধরে আমন ধান ক্ষেতে বসানো আলোক ফাঁদ পদ্ধতি স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এরই আলোকে চলতি মৌসুমেও মাঠপর্যায়ে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তাদের নিবিড় তদারকিতে আমন ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসানোর কাজ শুরু করেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ইউনিয়নভিক্তিক ব্লকে উপস্থিত হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ইশরাত জাহান সুইটি আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানোর কাজ তদারকি করছেন। পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তারা ব্লক এলাকার কৃষকদের সঙ্গে আলোক ফাঁদ পদ্ধতির সুফল নিয়ে মতবিনিময় সভাও করছেন।

চকরিয়া উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, প্রতি বছরের মতো কৃষি বিভাগের তরফ থেকে ইতোমধ্যে আমন ধান ক্ষেতে আলোক ফাঁদ বসানো শুরু করা হয়েছে। জমিতে রাতেরবেলায় একটি স্থানে বালতির ওপর অংশে বৈদ্যুতিক ভাল্বের আলো ছড়ানো হচ্ছে। আলো পেয়ে আমন ক্ষেতের ভেতরে থাকা ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় উড়ে এসে জড়ো হয়ে বালতির পানিতে পড়ছে। পরে এসব পোকামাকড় পানিতে আটকে গেলে আর উঠতে পারে না। এর পর কৃষকরা এসে এসব পোকামাকড় মেরে ফেলছে।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার চাষকৃত জমিতে ৫৫টি ব্লকে ভাগ করে তাতে ২৭৫টি আলোক ফাঁদ পদ্ধতি বসানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮ ইউনিয়ন ও পৌরসভার আংশিক এলাকায় আলোক ফাঁদ বসানো শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে পুরো উপজেলার ১৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় বসানো হবে।

তিনি বলেন, আলোক ফাঁদ বসানোর মাধ্যমে ফসলের ক্ষেতে পোকামাকড়ের উপস্থিতি শনাক্তকরণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে একাধিক মতবিনিময় সভা করে চাষের আগে ব্লকভিত্তিক কৃষকদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবার বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের জন্য আলোক ফাঁদ বেশ উপযোগী একটি পদ্ধতি। কারণ এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে, ফসলি জমিতে পোকামাকড় দমনে তুলনামূলক কীটনাশক ব্যবহার করতে লাগে না।

এছাড়াও এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে কৃষকের কোনো খরচ পড়েনা, বরং কোন খরচ ছাড়াই ফসলের ক্ষতি ঠেকাতে পারে কৃষকেরা।

back to top