নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের উপর হামলা করে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ও পুলিশের টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ বিএনপির সেই নেতাকে আটক করেও রহস্যজনক কারণে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়াও সোনারগাঁ থানা এলাকায় মেঘনা থানা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যেরবাজার ঘাটে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার একটি মামলার আসামি নলচর গ্রামের মহসিন ও টিটুসহ কয়েকজন সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাট এলাকায় অবস্থান করছিল। এদিন দুপুরে মেঘনা থানার তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলাম, এসআই জিয়াউর রহমান দুই পুলিশ সদস্য নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে আসে। এসময় মহসিনকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পড়ালে আসামিপক্ষের লোকজন একত্র হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়ে হাতকড়াসহ মহসিনকে ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেঘনা থানার পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করে এবং পরে আসামির হাতকড়া উদ্ধার করে দেয়। সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান জানান, সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে হাতকড়া উদ্ধার করে দেয়। তবে আসামীকে আর পাওয়া যায়নি। মেঘনা থানা পুলিশ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে মেঘনা থানার তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ছিচকে সন্ত্রাসী নিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপর হামলা করে গত আগস্ট মাসের ১৯ তারিখ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে সাইফুল ইসলাম নামের এক ওয়ান্টেভুক্ত আসামী ও পুলিশের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সুমন নামের এক ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। পরে পুলিশ আসামী না পেয়ে বিএনপি নেতাকে আটক করে নিয়ে গেলে রহস্যজনক কারণে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়। স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই চেঙ্গাকান্দী গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সোনারগাঁ থানা পুলিশের এএসআই রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মোগারাপাড়া চৌরাস্তা থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় পিরোজপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জৈনপুর গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান সুমন ৭/৮ জন ছিচকে সন্ত্রাসী নিয়ে এএসআই আঃ রশিদের সাথে ধস্তাধস্তি করে আসামী সাইফুল এবং এএসআই আঃ রশিদের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পিরোজপুর এলাকার শুকতারা সিএনজি স্টেশন থেকে বিএনপি নেতা সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার সাথে কে কে জড়িত তা জানতে চায়। এসময় চতুর বিএনপি নেতা সুমন তার সাথের সন্ত্রাসীদের নাম আড়াল করে কয়েকজন ভালো মানুষের নাম জড়িয়ে দেয়। পরবর্তিতে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেঙ্গকান্দী গ্রামের মাসুম রানা থানায় গিয়ে ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খানের সাথে কথা বলে আসামী সাইফুলকে সোপর্দ করে আটক নেতা সুমনকে ছাড়িয়ে আনে। এর ৫ দিন পর এএসআই রশিদ যুবদল নেতা মাসুম রানার বাড়ি গিয়ে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে আসে। এই বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা মাসুম রানাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়াও আসামি ছিনতাইকারী নেতার বিষয়ে পিরোজপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি জামান মিয়া পরে কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান। আর আসামি ছিনতাইকারী নেতা সোহানুর রহমান সুমন দাম্ভিকতা দেখিয়ে কথা এড়িয়ে যান। এদিকে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ও পুলিশের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি নেতাকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশি কাজে বাঁধা দেয়ার কোনো মামলা করেনি পুলিশ। এএসআই আঃ রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খাঁন আটক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কত ঘটনাইতো ঘটে। ওয়ারেন্টের আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এদিকে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পুলিশের উপর হামলা করে ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ও পুলিশের টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ বিএনপির সেই নেতাকে আটক করেও রহস্যজনক কারণে আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়াও সোনারগাঁ থানা এলাকায় মেঘনা থানা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক আসামিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। বৈদ্যেরবাজার ঘাটে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার একটি মামলার আসামি নলচর গ্রামের মহসিন ও টিটুসহ কয়েকজন সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ঘাট এলাকায় অবস্থান করছিল। এদিন দুপুরে মেঘনা থানার তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলাম, এসআই জিয়াউর রহমান দুই পুলিশ সদস্য নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে আসে। এসময় মহসিনকে গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পড়ালে আসামিপক্ষের লোকজন একত্র হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়ে হাতকড়াসহ মহসিনকে ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মেঘনা থানার পুলিশ সদস্যদের রক্ষা করে এবং পরে আসামির হাতকড়া উদ্ধার করে দেয়। সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান জানান, সোনারগাঁ থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে হাতকড়া উদ্ধার করে দেয়। তবে আসামীকে আর পাওয়া যায়নি। মেঘনা থানা পুলিশ লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই বিষয়ে মেঘনা থানার তদন্ত ওসি আমিনুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ছিচকে সন্ত্রাসী নিয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশের উপর হামলা করে গত আগস্ট মাসের ১৯ তারিখ রাত সাড়ে ৮ টার দিকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে সাইফুল ইসলাম নামের এক ওয়ান্টেভুক্ত আসামী ও পুলিশের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে সুমন নামের এক ওয়ার্ড বিএনপির নেতা। পরে পুলিশ আসামী না পেয়ে বিএনপি নেতাকে আটক করে নিয়ে গেলে রহস্যজনক কারণে গভীর রাতে তাকে ছেড়ে দেয়। স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই চেঙ্গাকান্দী গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলামের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সোনারগাঁ থানা পুলিশের এএসআই রশিদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মোগারাপাড়া চৌরাস্তা থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় পিরোজপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জৈনপুর গ্রামের জলিল মিয়ার ছেলে সোহানুর রহমান সুমন ৭/৮ জন ছিচকে সন্ত্রাসী নিয়ে এএসআই আঃ রশিদের সাথে ধস্তাধস্তি করে আসামী সাইফুল এবং এএসআই আঃ রশিদের পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পিরোজপুর এলাকার শুকতারা সিএনজি স্টেশন থেকে বিএনপি নেতা সুমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং তার সাথে কে কে জড়িত তা জানতে চায়। এসময় চতুর বিএনপি নেতা সুমন তার সাথের সন্ত্রাসীদের নাম আড়াল করে কয়েকজন ভালো মানুষের নাম জড়িয়ে দেয়। পরবর্তিতে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক চেঙ্গকান্দী গ্রামের মাসুম রানা থানায় গিয়ে ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খানের সাথে কথা বলে আসামী সাইফুলকে সোপর্দ করে আটক নেতা সুমনকে ছাড়িয়ে আনে। এর ৫ দিন পর এএসআই রশিদ যুবদল নেতা মাসুম রানার বাড়ি গিয়ে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ২০ হাজার টাকা ফেরত নিয়ে আসে। এই বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা মাসুম রানাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। এছাড়াও আসামি ছিনতাইকারী নেতার বিষয়ে পিরোজপুর ইউপি বিএনপির সভাপতি জামান মিয়া পরে কথা বলবেন বলে এড়িয়ে যান। আর আসামি ছিনতাইকারী নেতা সোহানুর রহমান সুমন দাম্ভিকতা দেখিয়ে কথা এড়িয়ে যান। এদিকে পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ও পুলিশের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিএনপি নেতাকে আটক করা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশি কাজে বাঁধা দেয়ার কোনো মামলা করেনি পুলিশ। এএসআই আঃ রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দেখা করে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন। পুলিশের উপর হামলা করে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খাঁন আটক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, কত ঘটনাইতো ঘটে। ওয়ারেন্টের আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এদিকে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইনগত কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে সাধারণ মানুষ।