ভোলায় ঘরে ঢুকে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমিনুল ইসলাম হককে (নোমানী হুজুর) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আমিনুল ইসলাম জাতীয় ইমাম সমিতির ভোলা জেলা শাখার সহসভাপতি ও ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার সানি মুহাদ্দিস ছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করায় বাসায় একা ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এশার নামাজ শেষে বাসায় ফিরলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে আমিনুল ইসলামকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর থানার ওসি আবু শাহাদাত মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, “ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে আলেম সমাজ ও গ্রামবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল করে শহরের কে জাহান শপিংকমপ্লেক্স চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমিনুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, আনজুমানে মফিদুল ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা বনি আমিন, জামায়াতে ইসলামীর ভোলা পৌর শাখার আমির জামাল উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের পৌর সভাপতি মিজানুর রহমান আজাদী প্রমুখ। শেষে ভোলা জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন নিহত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ভোলায় ঘরে ঢুকে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আমিনুল ইসলাম হককে (নোমানী হুজুর) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরনোয়াবাদ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত আমিনুল ইসলাম জাতীয় ইমাম সমিতির ভোলা জেলা শাখার সহসভাপতি ও ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার সানি মুহাদ্দিস ছিলেন। ঘটনার সময় তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করায় বাসায় একা ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এশার নামাজ শেষে বাসায় ফিরলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে আমিনুল ইসলামকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ভোলা সদর থানার ওসি আবু শাহাদাত মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, “ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে আলেম সমাজ ও গ্রামবাসীর মধ্যে শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ জনতা হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল করে শহরের কে জাহান শপিংকমপ্লেক্স চত্বরে সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা বলেন, পরিকল্পিতভাবে আমিনুল ইসলামকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, আনজুমানে মফিদুল ইসলামের সেক্রেটারি মাওলানা বনি আমিন, জামায়াতে ইসলামীর ভোলা পৌর শাখার আমির জামাল উদ্দিন, হেফাজতে ইসলামের পৌর সভাপতি মিজানুর রহমান আজাদী প্রমুখ। শেষে ভোলা জেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্বাস উদ্দিন নিহত ব্যক্তির আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।