তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। দেশের কিছু অঞ্চলে রসালো এ ফলটি বছরজুড়েই আবাদ হচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে বারোমাসি তরমুজ আবাদ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষক।
কৃষি অধিপ্তরের তথ্য বলছে, জেলার নয়টি উপজেলায় কম বেশি তরমুজ চাষ হলেও শীর্ষে রয়েছে বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা। জেলায় ৯৬৬ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বীজ বপনের ৪০-৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে। ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০-৮০ দিন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। ঘেরের পাড়ে তরমুজ আবাদের ফলে সেচ দিতেও বেশি কষ্ট করতে হয় না। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। আগে শুধু ঘেরে মাছ চাষ করা হতো। এখন তরমুজ চাষের ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অসময়ে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। উন্নত জাতের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল বীজ বাছাই করা, পলিথিন বা নেটে তরমুজ ঝুলিয়ে দেয়া, পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করা জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে বারোমাসি তরমুজ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে মৌসুমি সব ফলের উৎপাদন কমে যায়। ঠিক এ সময় শুরু হয় অসময়ের তরমুজের ফলন। খুলনা অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিন গুণ জমিতে অসময়ের তরমুজের আবাদ বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। ৬০ দিনের মাথায় ফল তোলা সম্ভব হয়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি। মাঠপর্যায়ে কৃষক প্রতি কেজি তরমুজ ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারেন।
অসময়ে তরমুজ উৎপাদনকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ। সঠিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ পেলে এ খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষের জন্য খুলনা অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ উপযোগী। মাত্র দুই-তিন মাস সময়ে পতিত ও পরিত্যক্ত জমি এবং মৎস্য ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করতে পারছেন কৃষক। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন। এ কারণে দিন দিন তরমুজচাষীর সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১০ কোটি টাকা।
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। দেশের কিছু অঞ্চলে রসালো এ ফলটি বছরজুড়েই আবাদ হচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে বারোমাসি তরমুজ আবাদ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষক।
কৃষি অধিপ্তরের তথ্য বলছে, জেলার নয়টি উপজেলায় কম বেশি তরমুজ চাষ হলেও শীর্ষে রয়েছে বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা। জেলায় ৯৬৬ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বীজ বপনের ৪০-৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে। ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০-৮০ দিন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। ঘেরের পাড়ে তরমুজ আবাদের ফলে সেচ দিতেও বেশি কষ্ট করতে হয় না। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। আগে শুধু ঘেরে মাছ চাষ করা হতো। এখন তরমুজ চাষের ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অসময়ে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। উন্নত জাতের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল বীজ বাছাই করা, পলিথিন বা নেটে তরমুজ ঝুলিয়ে দেয়া, পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করা জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে বারোমাসি তরমুজ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে মৌসুমি সব ফলের উৎপাদন কমে যায়। ঠিক এ সময় শুরু হয় অসময়ের তরমুজের ফলন। খুলনা অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিন গুণ জমিতে অসময়ের তরমুজের আবাদ বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। ৬০ দিনের মাথায় ফল তোলা সম্ভব হয়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি। মাঠপর্যায়ে কৃষক প্রতি কেজি তরমুজ ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারেন।
অসময়ে তরমুজ উৎপাদনকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ। সঠিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ পেলে এ খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষের জন্য খুলনা অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ উপযোগী। মাত্র দুই-তিন মাস সময়ে পতিত ও পরিত্যক্ত জমি এবং মৎস্য ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করতে পারছেন কৃষক। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন। এ কারণে দিন দিন তরমুজচাষীর সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১০ কোটি টাকা।