alt

news » bangladesh

খুলনায় মৎস্য ঘেরে বারোমাসি তরমুজে বাড়তি আয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা : রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। দেশের কিছু অঞ্চলে রসালো এ ফলটি বছরজুড়েই আবাদ হচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে বারোমাসি তরমুজ আবাদ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষক।

কৃষি অধিপ্তরের তথ্য বলছে, জেলার নয়টি উপজেলায় কম বেশি তরমুজ চাষ হলেও শীর্ষে রয়েছে বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা। জেলায় ৯৬৬ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বীজ বপনের ৪০-৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে। ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০-৮০ দিন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। ঘেরের পাড়ে তরমুজ আবাদের ফলে সেচ দিতেও বেশি কষ্ট করতে হয় না। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। আগে শুধু ঘেরে মাছ চাষ করা হতো। এখন তরমুজ চাষের ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অসময়ে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। উন্নত জাতের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল বীজ বাছাই করা, পলিথিন বা নেটে তরমুজ ঝুলিয়ে দেয়া, পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করা জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে বারোমাসি তরমুজ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে মৌসুমি সব ফলের উৎপাদন কমে যায়। ঠিক এ সময় শুরু হয় অসময়ের তরমুজের ফলন। খুলনা অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিন গুণ জমিতে অসময়ের তরমুজের আবাদ বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। ৬০ দিনের মাথায় ফল তোলা সম্ভব হয়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি। মাঠপর্যায়ে কৃষক প্রতি কেজি তরমুজ ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারেন।

অসময়ে তরমুজ উৎপাদনকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ। সঠিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ পেলে এ খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষের জন্য খুলনা অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ উপযোগী। মাত্র দুই-তিন মাস সময়ে পতিত ও পরিত্যক্ত জমি এবং মৎস্য ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করতে পারছেন কৃষক। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন। এ কারণে দিন দিন তরমুজচাষীর সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১০ কোটি টাকা।

ছবি

হিলি স্থলবন্দর: ৩ মাসে ভারতে ৩,১০০ টন পণ্য রপ্তানি, ৩০ কোটি টাকা আয়

ছবি

দেশে নিরক্ষতার হার ২২ দশমিক ১ শতাংশ

ছবি

ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৫৮০, ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

৫৪৬ মায়ানমার নাগরিককে ফেরত পাঠালো বিজিবি

ছবি

বেপরোয়া আরাকান আর্মির দাপট এখন নাফ নদে

ছবি

এবার সংসদ ভবন এলাকায় নিষিদ্ধ আ’লীগের মিছিল

সিরাতুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা

ধোবাউড়ায় সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের লাখ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা ঝাড়–দার

ছবি

জামালপুরে গণপিটুনিতে চোর নিহত

ছবি

অবৈধ সংযোগ কর্তন করতে গিয়ে বৈধ সংযোগও বন্ধ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

কুবির দ্বিতীয় সমাবর্তন ৭ ডিসেম্বর

ছবি

নারায়ণগঞ্জে রেডিমিক্স সিমেন্ট কারখানায় যুবক পিটিয়ে হত্যা

ছবি

বগুড়ায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক গ্রেপ্তার

ছবি

কলাপাড়ায় গৃহবধূকে ডাকাতি শেষে গণধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

ছবি

ভেঙে যাওয়া সুইস গেইট নির্মাণের খবরে স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়

ছবি

চলন বিলে শামুকে জীবিকা নির্বাহ হাজারো মানুষের

ছবি

ধামরাইয়ে সাদ হত্যায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

গাইবান্ধায় আউশের ফলনে খুশি কৃষক

ছবি

বোয়ালমারীতে পাগলা ঘোড়ার আক্রমনে আহত ১০

ছবি

খানা খন্দে ভরা চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়ক

ছবি

দুর্গাপুরের হাট-বাজার পলিথিনে সয়লাব

ছবি

চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান মাদকসহ আটক ১১

ছবি

রাউজানে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, আটক ১

ছবি

ডলফিন রক্ষায় সুন্দরবন অভয়ারণ্যে লাল ফ্ল্যাগ, মাছ ধরায় বিধি নিষেধ

ছবি

বাসর রাতে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে দিল নববধূ

ছবি

জলদস্যুর আস্তানায় মিলল অস্ত্র-গুলি

ছবি

কুষ্টিয়ার লালন আখড়াবাড়িতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ছবি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে যারা জুটমিলগুলো ধ্বংস করেছে তাদের বিচার করা হবে -ড. মঈন খান

ছবি

চিরিরবন্দরে সাপের কামড়ে মৃত্যু ১

ছবি

জয়পুরহাটে ৩৩ বছরেও জমি দখল না পেয়ে ভুক্তভোগীর মানববন্ধন

ছবি

বগুড়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৫

ছবি

বাঞ্ছারামপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

ছবি

লালপুরে অপরিকল্পিত নদী খননে গ্রামীণ সড়ক, ঘরবাড়ি নদীগর্ভে

ছবি

বসতভিটা উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

দাবদাহে বিপর্যস্ত শ্রীমঙ্গল

tab

news » bangladesh

খুলনায় মৎস্য ঘেরে বারোমাসি তরমুজে বাড়তি আয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, খুলনা

রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

তরমুজ মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তরমুজ চাষের জন্য উপযুক্ত সময়। দেশের কিছু অঞ্চলে রসালো এ ফলটি বছরজুড়েই আবাদ হচ্ছে। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় উপকূলীয় জেলা খুলনায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে বারোমাসি তরমুজ আবাদ করে বাড়তি আয় করছেন কৃষক।

কৃষি অধিপ্তরের তথ্য বলছে, জেলার নয়টি উপজেলায় কম বেশি তরমুজ চাষ হলেও শীর্ষে রয়েছে বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া উপজেলা। জেলায় ৯৬৬ হেক্টর জমিতে বারোমাসি তরমুজ আবাদ হয়েছে, যা থেকে ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বীজ বপনের ৪০-৫০ দিনের মাথায় ফুল আসে। ফুল থেকে পরিপুষ্ট তরমুজ হতে সময় লাগে ৭০-৮০ দিন। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচাং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে এ অঞ্চলের কৃষকদের। ঘেরের পাড়ে তরমুজ আবাদের ফলে সেচ দিতেও বেশি কষ্ট করতে হয় না। পোকামাকড়ের আক্রমণও কম হয়। আগে শুধু ঘেরে মাছ চাষ করা হতো। এখন তরমুজ চাষের ফলে বাড়তি আয় হচ্ছে। প্রতি মণ তরমুজ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে অসময়ে তরমুজ চাষের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। উন্নত জাতের পাশাপাশি আবহাওয়া অনুকূল বীজ বাছাই করা, পলিথিন বা নেটে তরমুজ ঝুলিয়ে দেয়া, পোকা দমনে বালাইনাশক স্প্রে করা জরুরি। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে বারোমাসি তরমুজ এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, আগস্ট মাসে মৌসুমি সব ফলের উৎপাদন কমে যায়। ঠিক এ সময় শুরু হয় অসময়ের তরমুজের ফলন। খুলনা অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। পাঁচ বছরের ব্যবধানে তিন গুণ জমিতে অসময়ের তরমুজের আবাদ বেড়েছে। এক বিঘা জমিতে কৃষকের উৎপাদন খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। ৬০ দিনের মাথায় ফল তোলা সম্ভব হয়। প্রতিটি ফলের গড় ওজন তিন থেকে পাঁচ কেজি। মাঠপর্যায়ে কৃষক প্রতি কেজি তরমুজ ৩০-৩৫ টাকা দরে বিক্রি করেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে কৃষক ১ লাখ ২০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারেন।

অসময়ে তরমুজ উৎপাদনকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে কৃষি বিভাগ। সঠিক প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ পেলে এ খাত ভবিষ্যতে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে বলে মনে করেন কৃষি কর্মকর্তারা।

এ ব্যাপারে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষের জন্য খুলনা অঞ্চলের মাটি ও পরিবেশ উপযোগী। মাত্র দুই-তিন মাস সময়ে পতিত ও পরিত্যক্ত জমি এবং মৎস্য ঘেরের পাড়ে তরমুজ চাষ করতে পারছেন কৃষক। ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দামও পাচ্ছেন। এ কারণে দিন দিন তরমুজচাষীর সংখ্যাও বাড়ছে। চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০ হাজার ৯০০ টন তরমুজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ১১০ কোটি টাকা।

back to top