গাইবান্ধা : অনুকুল আবহাওয়ায় বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশ আবাদে ফলনে খুশি চাষীরা -সংবাদ
গাইবান্ধায় বোরো-আমনের মাঝের সময়ে ক্লাস্টার আকারে আউশ ধানের চাষ করেন কৃষকরা। ধান পাকায় জেলাজুরে চলছে কাটা মাড়াইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। অনুকুল আবহাওয়ায় বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশ আবাদে ফলনে খুশি চাষীরা। চলছে আগাম রবি ফসল চাষের প্রস্তুতি। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এতে করে জেলায় প্রায় ৫৮ হাজার ৩২ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদন হবে। এ বছর জেলার আনেক এলাকার কৃষক বন্যা প্রবল পতিত নিচু জমিতে ক্লাস্টার আকারে আউশ চাষ করেন। সোনালী বর্ণের পাকা ধানে ভরে উঠে এসব আউশ ধানের ক্ষেত। অনুকুল আবহাওয়ায় বোরো-আমনের মাঝে পতিত জমিতে এবার আউশের আশানুরূপ ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। সেই সাথে পতিত জমি আউশ ধান চাষের আওতায় আসায় এলাকার চিত্র অনেকটাই পাল্পে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। ক্লাস্টার আকারে আউশ আবাদে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান চাষীরা।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় বোয়ালিযা ও খলসী চাঁদপুরে ক্লাস্টার আকারে এবার প্রায় ১শ’৫৫ বিঘা জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। কৃষকরা অর্জন চন্দ্র বলছেন বোরো ধান কাটার পর দির্ঘ সময় এসব জমি পতিত পরে থাকতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রণোদনা সহায়তায় সল্প উপকরণ ব্যয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে আউশ আবাদ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এবার আউশের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকেন্দার মন্ডল জানান বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশের এমন আসাতিত ফলন পাওয়ায় খুশি তারা। এছাড়াও গো-খাদ্যের চাহিদা থাকায় খড়ও ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন বলে জানান তারা। আউশ ধান কাটার পর ফাকা হওয়ায় জামিতে চলছে আগাম রবি শস্য চাষের প্রস্তিতি। সুমিতা রানী বলেন উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আউশ আবাদে তারা আনেকটা লাভবান। আউশ ধান ১১০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এবার অনুকুল আবহাওয়ায় আউশ আবাদে ব্যয় কম কারণ সেচ ও পোকার আক্রমন কম ছিলো। এবছর এ ধানের ফলন ১৮ থেকে প্রায় ২০ মণ পর্যন্ত। খরের চাহিদা থাকায় জমি থেকে খর ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য্য জানান কৃষকদের মাঝে আউশের উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত সম্পর্কে ধরনা দেওয়া হয়। এরপর ক্লাস্টার আউশ চাষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে করে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়। সেচ সুবিধা পাওয়া যায়। এতে পরে থাকা জমিতে বারতি ফসল পাওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সেইসাথে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। আউশ ধান কাটার পর ফাকা হওয়ায় জামিতে কৃষক আগাম আলু, সরিষা, ভুট্টা ঘাষ, শীত কালিন শাক সবজি লাগানোর প্রস্তিতি শুরু করেছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনান ক্লাস্টার আউশ চাষ কৃষক ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষনিক মাঠে থেকে কৃষকদের সঠিক নিয়মে আউশ চাষে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দিয়েছেন। ১৭শ ৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করায় আউশ চাষে আগ্রহী হন তারা। অনুকুল আবহাওয়ায় বোরো-আমনের মাঝে পতিত জমিতে স্বপ্ল ব্যয়ে আউশের আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা এ কৃষি কর্মকর্তার। এ উপজেলায় ১৪শ’৪২ হেক্টর জমিতে আউশের চাষ করা হয়। যার সম্ভাব্য ধান উৎপাদন ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪শ’২ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক খোরশেদ আলম জানান ব্রি ধান-৪৮,৯৮ বিনা ধান-১৭ উফশি নতুন জাত আউশে ধানের ফলন অনেক বেশি হয় বলে এবাদে আগ্রহ বড়ছে কৃষকের, বন্যা প্রবল পতিত নিচু জমিতে আউশ ধানের ভালো ফলনে লাভবান হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক।
গাইবান্ধা : অনুকুল আবহাওয়ায় বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশ আবাদে ফলনে খুশি চাষীরা -সংবাদ
রোববার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
গাইবান্ধায় বোরো-আমনের মাঝের সময়ে ক্লাস্টার আকারে আউশ ধানের চাষ করেন কৃষকরা। ধান পাকায় জেলাজুরে চলছে কাটা মাড়াইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। অনুকুল আবহাওয়ায় বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশ আবাদে ফলনে খুশি চাষীরা। চলছে আগাম রবি ফসল চাষের প্রস্তুতি। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে এতে করে জেলায় প্রায় ৫৮ হাজার ৩২ মেট্রিক টন আউশ ধান উৎপাদন হবে। এ বছর জেলার আনেক এলাকার কৃষক বন্যা প্রবল পতিত নিচু জমিতে ক্লাস্টার আকারে আউশ চাষ করেন। সোনালী বর্ণের পাকা ধানে ভরে উঠে এসব আউশ ধানের ক্ষেত। অনুকুল আবহাওয়ায় বোরো-আমনের মাঝে পতিত জমিতে এবার আউশের আশানুরূপ ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। সেই সাথে পতিত জমি আউশ ধান চাষের আওতায় আসায় এলাকার চিত্র অনেকটাই পাল্পে গেছে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় আউশ ধান কাটামাড়াইয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে। ক্লাস্টার আকারে আউশ আবাদে ভালো ফলন পাওয়ায় লাভবান চাষীরা।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভায় বোয়ালিযা ও খলসী চাঁদপুরে ক্লাস্টার আকারে এবার প্রায় ১শ’৫৫ বিঘা জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। কৃষকরা অর্জন চন্দ্র বলছেন বোরো ধান কাটার পর দির্ঘ সময় এসব জমি পতিত পরে থাকতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রণোদনা সহায়তায় সল্প উপকরণ ব্যয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে আউশ আবাদ করছেন তারা। গত বছরের চেয়ে এবার আউশের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেকেন্দার মন্ডল জানান বন্যা প্রবল পতিত জমিতে আউশের এমন আসাতিত ফলন পাওয়ায় খুশি তারা। এছাড়াও গো-খাদ্যের চাহিদা থাকায় খড়ও ভালো দামে বিক্রি করতে পারছেন বলে জানান তারা। আউশ ধান কাটার পর ফাকা হওয়ায় জামিতে চলছে আগাম রবি শস্য চাষের প্রস্তিতি। সুমিতা রানী বলেন উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের আউশ আবাদে তারা আনেকটা লাভবান। আউশ ধান ১১০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এবার অনুকুল আবহাওয়ায় আউশ আবাদে ব্যয় কম কারণ সেচ ও পোকার আক্রমন কম ছিলো। এবছর এ ধানের ফলন ১৮ থেকে প্রায় ২০ মণ পর্যন্ত। খরের চাহিদা থাকায় জমি থেকে খর ভালো দামে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিলাস কুমার ভট্টাচার্য্য জানান কৃষকদের মাঝে আউশের উচ্চ ফলনশীল নতুন জাত সম্পর্কে ধরনা দেওয়া হয়। এরপর ক্লাস্টার আউশ চাষ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে করে ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়। সেচ সুবিধা পাওয়া যায়। এতে পরে থাকা জমিতে বারতি ফসল পাওয়ায় কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। সেইসাথে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। আউশ ধান কাটার পর ফাকা হওয়ায় জামিতে কৃষক আগাম আলু, সরিষা, ভুট্টা ঘাষ, শীত কালিন শাক সবজি লাগানোর প্রস্তিতি শুরু করেছে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জনান ক্লাস্টার আউশ চাষ কৃষক ভালো ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ সার্বক্ষনিক মাঠে থেকে কৃষকদের সঠিক নিয়মে আউশ চাষে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দিয়েছেন। ১৭শ ৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে প্রণোদনা সহায়তা প্রদান করায় আউশ চাষে আগ্রহী হন তারা। অনুকুল আবহাওয়ায় বোরো-আমনের মাঝে পতিত জমিতে স্বপ্ল ব্যয়ে আউশের আশানুরূপ ফলন পাওয়ায় আগামীতে এর চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আশা এ কৃষি কর্মকর্তার। এ উপজেলায় ১৪শ’৪২ হেক্টর জমিতে আউশের চাষ করা হয়। যার সম্ভাব্য ধান উৎপাদন ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৪শ’২ মেট্রিক টন। জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক খোরশেদ আলম জানান ব্রি ধান-৪৮,৯৮ বিনা ধান-১৭ উফশি নতুন জাত আউশে ধানের ফলন অনেক বেশি হয় বলে এবাদে আগ্রহ বড়ছে কৃষকের, বন্যা প্রবল পতিত নিচু জমিতে আউশ ধানের ভালো ফলনে লাভবান হওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা কৃষি বিভাগের উপ পরিচালক।